আন্তর্জাতিক ডেস্ক : কুকুর ভেবে দুই বছর ধরে বাড়িতে এক হিংস্র প্রাণী পুষেছিলেন চিনের এক দম্পতি। তারপর কী হয়েছিল? বেশ আদরেই বড় হচ্ছিল বাড়ির পোষ্য প্রাণীটি। তবে বছর দুই যেতে না যেতেই বাড়তে থাকে আকার।
সঙ্গে প্রাণীটির অত্যাধিক খিদেও। তাও পোষ্যের যত্নের কোনও অভাব ছিল না। তবে তার আচরণও যে আর পাঁচটা কুকুরের মতো নয়। তখনই দানা বাঁধে সন্দেহ। শেষে জানা গেল, পোষ্য হিসাবে আদরের প্রাণীটি আসলে কুকুর নয়, এ যে ভাল্লুক। সম্প্রতি এমনই একটি ঘটনা সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়েছ। যা শুনে চক্ষু চড়কগাছ সকলের।
পোষ্য হিসাবে সবচেয়ে বেশি মানুষের কুকুরই পছন্দ। তেমনই চিনের এক দম্পতি একটি ছোট কুকুর ছানা পুষতে শুরু করেন। যদিও তাঁদের মনে কুকুরটিকে নিয়ে প্রথম থেকেই খানিকটা সন্দেহ ছিল। তবে কুকুর পুষতে গিয়ে যে বেজায় বিপাকে পড়তে চলেছেন তা তাঁরা ঘূণাক্ষরেও আন্দাজ করতে পারেননি। আসলে কুকুর ভেবে আদর যত্নে যাকে বড় করে তুলেছিলেন সে যে আদতে ভাল্লুক! আর বিষয়টি বুঝতে পেরে কার্যত দম্পত্তির আত্মারাম খাঁচাছাড়া হওয়ার অবস্থা!
চিনের এক পরিবার ২০১৬ সালে বাড়িতে পোষ্যটিকে নিয়ে আসেন। ‘টিবেটিয়ান ম্যাস্টিফ’প্রজাতির কুকুর বলেই দম্পতির কাছে প্রাণীটিকে তুলে দেওয়া হয়। প্রাথমিকভাবে পোষ্যের খাওয়া-দাওয়া দেখেই তাদের মনে সংশয় তৈরি হয়েছিল। তবে তাঁদের আদরের পোষ্য যে ভাল্লুক হতে পারে, এমনটা একবারও ভাবেননি তাঁরা। তাও সাধারণ ভাল্লুক নয়, তার ওজন প্রায় ১২৫ কেজি। যার খাওয়া-দাওয়ার তালিকায় ফল থেকে নুডলস কোনও কিছুই বাদ থাকত না।
দম্পত্তি বেশ অনেকদিন হয়ে যাওয়ার পর খানিকটা কুকুরের মতো দেখতে হলেও প্রাণীটি দুপায়ে দাঁড়িয়ে পড়ছে বলে খেয়াল করেন। তারপরই রীতিমতো ভয় পেয়ে যান পরিবারটি। এরপর তাঁরা বিশেষজ্ঞদের পরামর্শ নেওয়ার সিদ্ধান্ত নেন।
বিষয়টি বুঝতে পেরেই দম্পতি পরবর্তীকালে বন দফতরে খবর দেন। এরপরই তাঁরা যে দুই বছর ধরে কুকুর নয়, আসলে ভাল্লুককেই বাড়িতে পুষছিলেন সেবিষয়ে নিশ্চিত হন। তাও সাধারণ ভাল্লুক নয়, অত্যন্ত হিংস্র প্রজাতির এশিয়ান ভাল্লুক৷ যার ওজন ৪০০ পাউন্ট পর্যন্ত হতে পারে৷ শেষ পর্যন্ত বন দফতরের কর্মীরা ভাল্লুকটিকে উদ্ধার করে নিয়ে যান।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।