জুমবাংলা ডেস্ক : ফরিদপুরের সালথায় দোকানের ভেতর থেকে আবেদ শেখ (২৫) নামে এক যুবকের লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। তবে এটি হত্যাকাণ্ড নাকি আত্মহত্যা তা নিয়ে সন্দেহ সৃষ্টি হয়েছে।
বুধবার সকাল ১০টার দিকে উপজেলার ভাওয়াল ইউনিয়নের গোপালিয়া গ্রামে নিজ দোকানের ভেতর থেকে তার লাশ উদ্ধার করা হয়।
এদিকে মাত্র পাঁচ মাস আগে আবেদ শেখ বিয়ে করেছেন। বিয়ের মাত্র পাঁচ মাসের মাথায় স্বামীকে হারিয়ে পাগলপ্রায় নববধূ সুমাইয়া আক্তার।
নিহত আবেদ শেখ গোপালিয়া গ্রামের মো. ছাকেন শেখের ছেলে। তিন ভাই দুই বোনের মধ্যে আবেদ ছিল মেজো।
পরিবারের সদস্যরা জানান, আবেদ বাড়ির সামনে ছোট একটি মুদি দোকান করতেন। পাঁচ মাস আগে তিনি বিয়ে করেন। বিয়ের পর থেকে ওই দোকানেই নববধূকে নিয়ে থাকত। প্রতিদিনের মতো মঙ্গলবার রাতে স্বামী-স্ত্রী দোকানে ঘুমিয়ে ছিল। বুধবার সকালে স্থানীয়রা দোকানে গিয়ে দেখেন দোকানের একটি ঝাপ খোলা। ভিতরে আড়ার সঙ্গে রশি দিয়ে পেঁচানো আবেদের লাশ ঝুলছে। তবে তার দুটি পা হাঁটু ভাঙ্গা অবস্থায় দোকানের ফ্লোরের সঙ্গে মিশে ছিল।
আবেদের ভাবি সাবিনা আক্তার বলেন, ছোট ওই দোকানের ভিতরে গলায় রশি পেঁচিয়ে আত্মহত্যা করার মতো জায়গা নেই। তাই বিষয়টি নিয়ে সন্দেহ সৃষ্টি হয়েছে সবার মনে।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে স্থানীয় এক ব্যক্তি বলেন, কয়েক দিন আগে আবেদ প্রতিপক্ষের এক যুবক পিটিয়ে আহত করে। ঘটনাটি নিয়ে উভয়পক্ষের মধ্যে বিরোধ চলছিল।
নিহত আবেদের স্ত্রী সুমাইয়া আক্তার বলেন, মঙ্গলবার রাত ১০টার দিকে দোকানের সামনে আড্ডা দেওয়া লোকজন চলে যাওয়ার পর আমার শাশুড়ি আমাকে দোকানে গিয়ে ঘুমাতে বলেন। আমি দোকানে যাওয়ার পর আমার স্বামী আর আমি শুয়ে মোবাইলে একটি মুভি দেখি। এ সময় মশায় কামড়ালে আবেদ আমাকে বলে, তোমাকে মশায় কামড়াচ্ছে তুমি বাড়িতে গিয়ে ঘুমাও। পরে আমাকে বাড়িতে এগিয়ে দিয়ে সে আবার দোকানে গিয়ে ঘুমায়। সকালে ওঠে তার লাশ পাই দোকানের ভেতর। কিভাবে কী হয়েছে, তা বুঝতে পারছি না। আমার বা পরিবারের কারো সঙ্গে কোনো ঝগড়াঝাটি হয়নি।
সালথা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. শেখ সাদিক বলেন, খবর পেয়ে পুলিশ পাঠিয়ে ওই যুবকের লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে পাঠানো হয়েছে। এটি হত্যা না আত্মহত্যা সেটি ময়নাতদন্তের রিপোর্ট হাতে পেলেই জানা যাবে। এ ঘটনায় থানায় একটি ইউডি মামলা হয়েছে।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।