জুমবাংলা ডেস্ক : যশোরে দুর্বৃত্তদের ছুরিকাঘাতে সাজেদ হোসেন রাজিম (১৭) নামের এক কিশোর নিহত হয়েছে। বৃহস্পতিবার (৯ নভেম্বর) রাত সাড়ে ৮টার দিকে শহরের বড়বাজার মোহনগঞ্জ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সামনে এ ঘটনা ঘটে।
রাজিম সদর উপজেলার ঝুমঝুমপুর স্কুল মোড় এলাকার বাদল হোসেনের ছেলে ও যশোর টেকনিক্যাল স্কুল এন্ড কলেজের দশম শ্রেণির শিক্ষার্থী ছিল।
পুলিশ ও নিহতের স্বজনেরা জানান, রাজিম পড়াশোনার পাশাপাশি শহরের বড়বাজারে একটি দোকানে বিক্রয়কর্মী হিসাবে কাজ করত। বৃহস্পতিবার রাত ৮টার দিকে দোকানে কাজ করার সময় অজ্ঞাত কয়েকজন যুবক রাজিমকে পার্শ্ববর্তী একটি চায়ের দোকানে নিয়ে যায়।
সেখানে ওই যুবকদের সঙ্গে রাজিম চা খায়। একপর্যায়ে তাদের মধ্যে বাকবিতণ্ডা শুরু হয়। এ সময় অজ্ঞাত যুবকেরা মারধর শুরু করলে রাজিম দৌড় দেয়। পরে ওই যুবকেরাও দৌড়ে রাজিমকে এলোপাথাড়ি ছুরিকাঘাত করে। স্থানীয়রা রাজিমকে উদ্ধার করে যশোর জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করে।
রাজিমের চাচা দেলোয়ার হোসেন বলেন, আমাদের জানামতে রাজিমের সঙ্গে কারও দ্বন্দ্ব নেই। রাজিম যখন রাতে দোকানে বসেছিল, তখন ৬-৭ জন যুবক তাকে ডেকে নিয়ে যায়। পরে শুনি রাজিমকে ছুরি মেরেছে।
রাজিমের বাবা বাদল হোসেন বলেন, আমার ছেলেকে যারা মেরেছে তারা ওর পূর্বপরিচিত ছিল। তা না হলে ডাক দিলেই রাজিম দোকান থেকে বের হতো না।
টাকা লোভে বিক্রি করে দেওয়া হলো গৃহবধূকে, ভুলেও কারও সামনে দেখবেন না এই সিরিজ
কান্নাজড়িত কণ্ঠে তিনি আরও বলেন, এলাকার প্রায় যুবক মাদক সেবনে ঝুঁকে পড়েছে। রাজিমকে ভালো রাখতে তাই পড়াশোনার পাশাপাশি বড় বাজারের একটি দোকানে কাজে দিয়েছিলাম। যশোর কোতয়ালী মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুর রাজ্জ্বাক বলেন, ধারণা করছি, বন্ধুদের সঙ্গে পূর্ব শত্রুতার জেরে এ ঘটনা ঘটেছে। ইতিমধ্যে সিসিটিভি ক্যামেরার ফুটেজ সংগ্রহ করা হয়েছে। পুলিশ জড়িতের গ্রেপ্তারে অভিযান অব্যাহত রেখেছে।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।