অধিকৃত পশ্চিম তীরে ইসরায়েলের দখলনীতি বাস্তবায়ন করতে অবৈধ ইহুদি বসতি সম্প্রসারণে কাজ করছে বিশ্বের ১৫০টিরও বেশি কোম্পানি।
শুক্রবার (২৬ সেপ্টেম্বর) এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে জাতিসংঘ। খবর আল জাজিরার।
প্রতিবেদন অনুযায়ী, জাতিসংঘের মানবাধিকার কার্যালয় তাদের ডাটাবেজ হালনাগাদ করেছে, যেখানে ১৫৮টি কোম্পানিকে তালিকাভুক্ত করা হয়েছে যারা আন্তর্জাতিক বিচার আদালত কর্তৃক অবৈধ ঘোষিত বসতিগুলোতে কার্যক্রম পরিচালনা করছে।
কোম্পানিগুলোর বেশিরভাগই ইসরায়েলি। তবে, তালিকায় যুক্তরাষ্ট্র, কানাডা, চীন, ফ্রান্স এবং জার্মানিতে নিবন্ধিত বহুজাতিক প্রতিষ্ঠানও রয়েছে।
প্রতিবেদনটিতে জোর দিয়ে বলা হয়েছে, ব্যবসা প্রতিষ্ঠানগুলোর উচিত মানবাধিকার লঙ্ঘনকে উসকে দেওয়া থেকে বিরত থাকা।
সর্বশেষ হালনাগাদে জুন ২০২৩ সালের পর থেকে আরও ৬৮টি কোম্পানি অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে এবং সাতটি প্রতিষ্ঠানকে বাদ দেওয়া হয়েছে। এর মধ্যে রয়েছে ব্রিটেনে নিবন্ধিত অনলাইন ভ্রমণ সংস্থা ওপোডো এবং স্পেনে নিবন্ধিত অনলাইন ট্রাভেল এজেন্ট ই-ড্রিমস।
অন্য যে প্রতিষ্ঠানগুলো অন্তর্ভুক্ত হয়েছে, তাদের বেশিরভাগই নির্মাণ, রিয়েল এস্টেট, খনন এবং পাথর কোয়ারি খাতের সঙ্গে জড়িত, যা ইসরায়েলের বসতি সম্প্রসারণ প্রচেষ্টার কেন্দ্রে রয়েছে। আরও ৩০০টিরও বেশি প্রতিষ্ঠান এখনও পর্যালোচনার অধীনে রয়েছে।
জাতিসংঘের মানবাধিকার বিষয়ক প্রধান ভলকার তুর্ক বলেছেন, এই অনুসন্ধানের ফলাফল সংঘাতপূর্ণ অঞ্চলে করপোরেট দায়বদ্ধতার বিষয়টি তুলে ধরে।
এই পর্যালোচনাটি এমন এক সময়ে এসেছে যখন পশ্চিম তীরে ইসরায়েলের দখলদারিত্ব ও চলমান বর্ণবৈষম্যের পাশাপাশি ২০২৩ সালের অক্টোবর থেকে গাজায় চলমান গণহত্যা নিয়ে তীব্র নজরদারি চলছে।
পশ্চিম তীরে সশস্ত্র ইহুদি বসতি স্থাপনকারীরা, যারা সরকারের প্রত্যক্ষ মদদে উৎসাহিত, ফিলিস্তিনি জনগোষ্ঠীকে আতঙ্কিত করেছে, নাগরিক হত্যা করেছে, পরিবারগুলোকে উৎখাত করেছে এবং জমি দখল করেছে। মানবাধিকার সংগঠনগুলো এটিকে জাতিগত নির্মূল বলে অভিহিত করছে।
ইসরায়েল ১৯৬৭ সালের যুদ্ধের পর পশ্চিম তীর দখল করে। এরপর থেকে তারা সেখানে বসতি সম্প্রসারণ অব্যাহত রেখেছে, যেখানে সড়ক, দেয়াল ও চেকপয়েন্ট তৈরি করে ফিলিস্তিনিদের খণ্ডিত ও সামরিক শাসনের অধীনে আটকে রাখা হচ্ছে।
সিভিল সোসাইটি সংগঠনগুলো বলছে, ২০১৬ সালে জাতিসংঘ মানবাধিকার কাউন্সিল কর্তৃক অনুমোদিত এই ডাটাবেজটি কোম্পানিগুলোকে বসতি থেকে সরে আসতে চাপ সৃষ্টি করার জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ হাতিয়ার।
মানবাধিকার কর্মীদের মতে, আন্তর্জাতিক কোম্পানিগুলো যারা ইসরায়েলকে তার দখলদারিত্ব আরও দৃঢ় করতে সাহায্য করছে, তারা আন্তর্জাতিক আইন লঙ্ঘনেও সহায়ক।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।