জুমবাংলা ডেস্ক : মাসিক স্মার্ট সুদহারের ভিত্তিতে ডলার বুকিং অর্থাৎ ডলারের আগাম বেচাকেনার দর নির্ধারণের নতুন নিয়ম চালু করেছে বাংলাদেশ ব্যাংক। এই সুদহারের সঙ্গে সর্বোচ্চ ৫ শতাংশ যোগ করে যে সুদহার হবে, তা ডলারের বিদ্যমান বাজারদরের সঙ্গে যোগ করা যাবে। গতকাল রোববার এক প্রজ্ঞাপনে এই নিয়ম চালু করেছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক।
স্মার্ট বা সিক্স মান্থস মুভিং অ্যাভারেজ রেট অব ট্রেজারি বিলের ওপর ভিত্তি করে এখন ঋণের সুদহার নির্ধারিত হচ্ছে। মাসের শুরুতে এই হার জানিয়ে দেয় বাংলাদেশ ব্যাংক। চলতি সেপ্টেম্বরে স্মার্ট রেট ৭ দশমিক ১৪ শতাংশ। আগের মাসেও তাই ছিল। এর সঙ্গে ৫ শতাংশ যোগ করলে ১২ দশমিক ১৪ শতাংশ।
অর্থাৎ এই মাসে আগাম বেচাকেনার ক্ষেত্রে চুক্তির সময় বিদ্যমান ডলারের দরের সঙ্গে বার্ষিক সর্বোচ্চ ১২ দশমিক ১৪ শতাংশ সুদ যোগ করতে পারবে। কেন্দ্রীয় ব্যাংকের আজকের ডলার দর ১১০ টাকা। সে হিসেবে ১২ দশমিক ১৪ শতাংশ সুদ যোগ করে এক বছর পর প্রতি ডলারের জন্য ১২৩ টাকা ৩৫ পয়সা পরিশোধ করতে হবে।
দুই বছরের জন্য বুকিং হলে তার সঙ্গে আরো ১২ দশমিক ১৪ শতাংশ সুদ যোগ হবে। আর ছয় মাস বা আর মাসভিত্তিক দাম হলে এই সুদহারকে সেভাবে ভাগ করে আরোপ করতে হবে।
আমদানিকারকদের কাছে বেশি দামে ডলার বিক্রির জন্য বেসরকারি খাতের ১০ ব্যাংকের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার পর বাংলাদেশ ব্যাংক গতকাল নতুন নিয়মটি চালু করেছে।
ডলার বেচা ও কেনা- উভয় ক্ষেত্রে ভবিষ্যৎ দাম নির্ধারণ করা যায়। কোনো আমদানিকারক এখনই ডলার কিনে এক বছরের মধ্যে পণ্য আমদানি করতে পারেন। এ জন্য তাঁকে বর্তমান ডলার দরের সঙ্গে ব্যাংককে কমিশন দিতে হয়।
নিস্পত্তির সময় দাম কমে গেলেও আমদানিকারককে বর্তমান দাম দিতে হবে। তবে দাম বেড়ে গেলে তিনি সুবিধা পাবেন। অর্থাৎ বাড়তি দাম দিতে হবে না। এদিকে রপ্তানিকারকও নির্দিষ্ট সময় ডলার বিক্রি করতে পারেন। এ ক্ষেত্রে দাম কমে গেলে রপ্তানিকারক লোকসানে পড়তে পারেন।
বাংলাদেশ ব্যাংকের পরামর্শে বাংলাদেশ ফরেন এক্সচেঞ্জ ডিলার্স অ্যাসোসিয়েশন (বাফেদা) ও অ্যাসোসিয়েশন অব ব্যাংকার্স, বাংলাদেশ (এবিবি) ডলারের জোগান ও চাহিদার ওপর নির্ভর করে সময়ে সময়ে ডলারের দাম নির্ধারণ করে আসছে। ডলারের আনুষ্ঠানিক দাম প্রতি মাসেই বাড়ছে।
নতুন সিদ্ধান্ত অনুযায়ী চলতি মাস থেকে পণ্য বা সেবা খাতের রপ্তানি আয়ের ডলার ও প্রবাসী আয়ের ডলার কেনায় দাম নির্ধারণ করা হয়েছে ১০৯ টাকা ৫০ পয়সা। আগে ব্যাংকগুলো আনুষ্ঠানিকভাবে প্রতি ডলারের জন্য প্রবাসীদের ১০৯ টাকা ও রপ্তানিকারকদের ১০৮ টাকা ৫০ পয়সা দিত।
অন্যদিকে ব্যাংকগুলো এখন আমদানিকারকদের কাছে ১১০ টাকায় ডলার বিক্রি করছে। আগে আমদানি দায় মেটাতে ব্যাংকগুলো আমদানিকারকদের কাছে প্রতি ডলার ১০৯ টাকা ৫০ পয়সায় বিক্রি করত। তবে অভিযোগ আছে, বাস্তবে এই দামে ডলার কেনা-বেচা হচ্ছে খুব কম।
সব ব্যাংক নিজেদের ঘোষিত দামেই ডলার বিক্রির কথা বলে। ১০ হাজার ডলারের বেশি হলে দাম নির্ধারিত হবে ব্যাংক-গ্রাহক সম্পর্কের ভিত্তিতে। ঘোষিত দামে নয়।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।