জুমবাংলা ডেস্ক : ডলারের বিনিময় হার গতকাল চার মাসের সর্বনিম্নে নেমেছে। যুক্তরাষ্ট্রের মূল্যস্ফীতি তথ্য প্রকাশের আগে এ দরপতন ঘটল মুদ্রাটির। বাজার বিশ্লেষকদের পূর্বাভাস, যুক্তরাষ্ট্রের মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণে আসতে শুরু করেছে। এর অর্থ হচ্ছে আগামী বছর সুদ হার কামিয়ে আনতে পারে ফেডারেল রিজার্ভ (ফেড)। আর নিম্নসুদ হার বাজারে ডলারের অবমূল্যায়ন ঘটায়। খবর রয়টার্স।
বিশ্বের বৃহত্তম অর্থনীতিতে মূল্যস্ফীতি কতটা মন্থর হচ্ছে সে সম্পর্কে ধারণা পেতে সবার নজর এখন মার্কিন ব্যক্তিগত ভোগ ব্যয় (পিসিই) সূচকের দিকে। মূল্যস্ফীতি পরিমাপে পিসিইকে গুরুত্বপূর্ণ মাপকাঠি হিসেবে বিবেচনা করে ফেড।
এদিকে এশিয়ায় ইউরো মুদ্রার বিপরীতে তিন সপ্তাহের সর্বনিম্নে নেমেছে ডলার। প্রতি ইউরোর দাম ১ ডলার ১০১২৫ সেন্টে উঠেছে। বিশ্লেষকদের প্রত্যাশা, অক্টোবরের ৩ দশমিক ৫ শতাংশের তুলনায় বার্ষিক ভিত্তিতে পিসিই সূচক ৩ দশমিক ৩ শতাংশ বেড়েছে।
পেপারস্টোনের গবেষণা প্রধান ক্রিস ওয়েস্টন বলেন, ‘যুক্তরাষ্ট্রের মূল্যস্ফীতি এখন একতরফা মনে হচ্ছে। প্রয়োজন দেখা দিলে ফেড সুদ হার কমিয়ে আনবে। ফেড কর্মকর্তারা বলেছেন, তাদের কাজ শেষ হয়নি। ২ শতাংশ মূল্যস্ফীতি লক্ষ্যমাত্রা অর্জেনের শেষ ধাক্কাটাই সবচেয়ে কঠিন পর্ব। পিসিই যখন ৩ দশমিক ৫ শতাংশ থেকে কমতে শুরু করবে তখন সুদ হার কমানো হতে পারে।’
অন্যান্য প্রতিদ্বন্দ্বী মুদ্রার বিপরীতে মার্কিন ডলারের মূল্যসূচক গতকাল ১০১ দশমিক ৭৬-এ নেমেছে। গত চার মাসের সর্বনিম্ন সূচক ছিল ১০১ দশমিক ৭২।
ডলার সূচক গতকাল সাপ্তাহিক দশমিক ৮ শতাংশ পতনের পথে ছিল। এর আগের সপ্তাহেও মুদ্রাটির ১ দশমিক ৩ শতাংশ অবমূল্যায়ন ঘটেছিল। ২০২৩ সালে ফেডের সর্বশেষ নীতিনির্ধারণী বৈঠকের বরাত দিয়ে নতুন বছর সুদ কমানো হতে পারে—এমন ইঙ্গিত ডলারের দরপতনকে প্রভাবিত করেছে।
বাজার তথ্য বলছে, প্রতি অস্ট্রেলিয়ান ডলার দশমিক শূন্য ৯ শতাংশ কমে দশমিক ৬৭৯৭ ডলারে নেমেছে। যদিও বৃহস্পতিবার দর ছিল দশমিক ৬৮০৩৫ ডলারের ঘরে, যা গত পাঁচ মাসের সর্বোচ্চ স্তরের কাছাকাছি।
স্টার্লিংয়ের দর গতকাল সামান্য পরিবর্তন হয়ে ১ ডলার ২৬৯০৫ সেন্টে ছিল এবং সাপ্তাহিক প্রবৃদ্ধির পথে রয়েছে। ব্রিটিশ মূল্যস্ফীতি তথ্যের কারণে এ সপ্তাহে মুদ্রাটি চাপের মধ্যে ছিল।
রাবোব্যাংকের সিনিয়র ফরেন কারেন্সি স্ট্র্যাটেজিস্ট জেন ফোলি বলেন, ‘মূল্যস্ফীতি লক্ষ্যমাত্রার কাছাকাছি হওয়ায় এখন নীতিনির্ধারকদের অযৌক্তিক মন্তব্য উপেক্ষা করার প্রবণতা বৃদ্ধি পাবে।’
এশিয়ায় সর্বশেষ প্রতি ডলার ১৪২ দশমিক শূন্য ৯ ইয়েনে দাঁড়িয়েছে। গতকাল প্রকাশিত তথ্য বলছে, জাপানের মূল ভোক্তা মূল্য গত বছরের তুলনায় নভেম্বরে ২ দশমিক ৫ শতাংশ বেড়েছে, যা এক বছরেরও বেশি সময়ের মধ্যে সবচেয়ে ধীর গতিতে বেড়েছে। ফলে ব্যাংক অব জাপানের (বিওজে) ওপর থেকে চাপ কমেছে।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।