আন্তর্জাতিক ডেস্ক : অর্থনীতি বিষয়ক বিখ্যাত বই ‘রিচ ড্যাড পুওর ড্যাড’-এর লেখক রবার্ট কিয়োসাকি বলেছেন, অর্থনৈতিক মন্দার সৃষ্টি হলে স্বর্ণ, রুপা ও বিটকয়েনের দাম ব্যাপক বৃদ্ধি পাবে। কানাডাভিত্তিক প্রভাবশালী বাণিজ্যিক সংবাদমাধ্যম কিটকোর এক প্রতিবেদনে এ তথ্য পাওয়া গেছে।
এতে বলা হয়, গত সোমবার একাধিক টুইট বার্তায় কিয়োসাকি বলেন, শেয়ারবাজার ও বন্ড মার্কেটে অস্থিরতা দেখা দিলে স্বর্ণ ও রুপা ব্যাপক ঊর্ধ্বমুখী হবে। অর্থনীতির জন্য যা মন্দ খবর।
তিনি মনে করেন, এখন রুপায় দীর্ঘমেয়াদে বিনিয়োগ করা ভালো হবে। স্বর্ণের চেয়ে রুপার দাম বহু গুণ কম। এতে লোকসানের আশঙ্কা কম থাকে। তার পরামর্শ, রুপা একটি মূল্যবান ধাতু। বিভিন্ন শিল্প পণ্যে তা ব্যাপক ব্যবহৃত হয়। কিন্তু সেটি ধীরে ধীরে বিরল হয়ে উঠছে। ফলে এতে দীর্ঘমেয়াদী বিনিয়োগ করা শ্রেয় হবে।
বর্তমানে প্রতি আউন্স স্বর্ণ বিক্রি হচ্ছে ১৯০২ ডলার ২৩ সেন্টে। আর রুপা বিকোচ্ছে ২২ ডলার ৫১ সেন্টে। স্বর্ণের চেয়ে তা ৮৪ দশমিক ৫ গুণ কম। গত জুলাইয়ে এক টুইটে কিয়োসাকি জানান, যুক্তরাষ্ট্রের মুদ্রা ডলারের পতন আসন্ন। কারণ, শিগগিরই স্বর্ণ সহায়ক মুদ্রা আনতে পারে ব্রিকস।
ব্রিকস হলো শিল্পোন্নত দেশ রাশিয়া, ব্রাজিল, ভারত, চীন ও দক্ষিণ আফ্রিকা নিয়ে গঠিত একটি জোট। চলতি মাসের শেষদিকে জোনেসবার্গে বৈঠকে বসবে তারা। সেখানেই এই ঘোষণা আসতে পারে।
১১ জুলাই টুইটে তিনি বলেন, স্বর্ণ সহায়ক ক্রিপ্টো মুদ্রা আনতে পারে ব্রিকস। এমনটি হলে ডলারের দাপট শেষ হবে। বিশ্বের রিজার্ভ মুদ্রা হিসেবে ডলারের আধিপত্য কমবে। এতে স্বর্ণ, রুপা ও বিটকয়েনের দর বেড়ে যাবে। প্রতি বিটকয়েনের মূল্য ১ লাখ ২০ হাজার ডলারে উঠতে পারে।
এর আগে ৩ জুলাই কেনিয়ায় রুশ দূতাবাস এক টুইটে জানায়, আসন্ন সম্মেলনে স্বর্ণ সহায়ক মুদ্রা চালু করার প্রস্তুতি নিচ্ছে ব্রিকস। এর সদস্যভুক্ত দেশগুলো সেই পরিকল্পনাই করছে।
তবে ২০ জুলাই তা অস্বীকার করেন ব্রিকসে দক্ষিণ আফ্রিকার দূত অনিল সুখলাল। তিনি বলেন, আমাদের এক দেশ আরেক দেশের সঙ্গে স্থানীয় মুদ্রায় বাণিজ্য করার চিন্তাভাবনা করছে। বাণিজ্যিক নিষ্পত্তি দেশীয় কারেন্সিতে লেনদেনের চেষ্টা চলছে।
তবে তিনি বলেন, ডলার কেন্দ্রীক বিশ্বের দিন শেষ। এটা বাস্তবতা। ব্রিকসের দেশগুলো মার্কিন মুদ্রা ব্যবহার থেকে দূরে সরে আসতে চাচ্ছে। কারণ, ইউক্রেনে হামলার জেরে রাশিয়ার ওপর অসংখ্য নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে পশ্চিমা বিশ্ব। বিলিয়ন ডলারের রুশ সম্পদ বাজেয়াপ্ত করেছে তারা। অদূর ভবিষ্যতে এই সংকটের মুখোমুখি হতে চায় না অন্য দেশগুলো।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।