Close Menu
Bangla news
  • Home
  • Bangladesh
  • Business
  • International
  • Entertainment
  • Sports
  • বাংলা
Facebook X (Twitter) Instagram
Bangla news
  • Home
  • Bangladesh
  • Business
  • International
  • Entertainment
  • Sports
  • বাংলা
Bangla news
Home ডলারের দাম বৃদ্ধির সুফল মিলবে তো?
অর্থনীতি-ব্যবসা

ডলারের দাম বৃদ্ধির সুফল মিলবে তো?

Saiful IslamMay 11, 20244 Mins Read
Advertisement

গোলাম মওলা : ডলারের দাম এক লাফে ৭ টাকা বাড়ানো হয়েছে। এর ফলে ডলারের বিপরীতে টাকার মান কমেছে ৬ দশমিক ৩ শতাংশ। অর্থাৎ ডলারের বিপরীতে টাকার বড় ধরনের অবমূল্যায়ন হয়েছে। কারও কাছে থাকা ১ লাখ টাকার মান এখন ৯৩ হাজার ৬৪০ টাকায় নেমেছে। এ কারণে হঠাৎ করে বিপাকে পড়ে গেছেন আমদানিকারকরা। তারা বলছেন, কেন্দ্রীয় ব্যাংকের এক ঘোষণায় ছোট ও মাঝারি ধরনের আমদানিকারদেরই এলসি পেমেন্টে অতিরিক্ত খরচ বেড়েছে কোটি টাকার ওপরে। বড় আমদানিকারকদের খরচ আরও বেড়ে গেছে।

Dolar

এ প্রসঙ্গে আলভীনা টেক্সটাইলের মালিক এস এম ওবায়দুল্লাহ বলেন, বুধবার (৮ মে) আমার একটি এলসি পেমেন্ট করার বাধ্যবাধকতা ছিল। ওইদিন সকালে আমাকে ব্যাংক থেকে বলা হলো, বিকালে পেমেন্ট করতে হবে। তবে সকালে যে পরিমাণ টাকা চেয়েছিল বিকালে তার চেয়ে আরও ৩০ লাখ টাকা বেশি পেমেন্ট করতে হলো। কেন্দ্রীয় ব্যাংকের এই এক সিদ্ধান্তে আমার প্রায় এক কোটি টাকা খরচ বেড়ে গেছে।

খোলা বাজারেও এর প্রভাব পড়েছে। প্রতি ডলার ১২৫ টাকায় কিনতে হয়েছে। বুধবার খোলাবাজারে প্রতি ডলার বিক্রি হয়েছিল ১১৬ থেকে ১১৭ টাকায়।

আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ) পরামর্শে বিনিময় হার নির্ধারণের ‘ক্রলিং পেগ’ পদ্ধতি চালু করায় আপতত এই পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে। এর আগে দেশে ডলারের দাম কখনো একসঙ্গে এতটা বাড়েনি। ফলে আরও চাপ তৈরি হতে পারে বিদ্যুৎ ও জ্বালানির দামের ওপর। কারণ ব্যবসায়ীরা পণ্য আমদানিতে অতিরিক্ত দরে ডলার কিনলেও বিদ্যুৎ ও জ্বালানির মতো পণ্য আমদানিতে এতো দিন ১১০ টাকা দামে ডলার দিত বাংলাদেশ ব্যাংক।

প্রসঙ্গত, বাংলাদেশ ব্যাংক দীর্ঘ একটা সময় ধরে টাকার বিপরীতে ডলারের দাম বেঁধে রেখেছিলো। অর্থনীতিবিদরা এতদিন একটি ভাসমান বিনিময় হারের কথা বলে আসছিলেন। তবে আর্থিক খাতের নিয়ন্ত্রক সংস্থাটি তাতে মোটেও কর্ণপাত করেনি। এতে ডলারের বাজারে অস্থিরতা আরও বেড়েছে।

অবশেষে বাংলাদেশ ব্যাংক নিয়ন্ত্রিত ভাসমান বিনিময় হার চালু করলো, যার নাম দেওয়া হয়েছে ক্রলিং পেগ পদ্ধতি। এই পদ্ধতিতে একটি মুদ্রার বিনিময় হারকে একটি নির্দিষ্ট সীমার মধ্যে ওঠানামা করার অনুমতি দেওয়া হয়। অর্থাৎ এক্ষেত্রে মুদ্রার দর একবারেই খুব বেশি বাড়তে পারবে না, আবার কমতেও পারবে না।

ডলারের বিপরীতে টাকার অবমূল্যায়নে মূলত রফতানিকারক ও প্রবাসীরা লাভবান হন। প্রতি ডলার ১১৭ টাকায় উঠানোর ফলে রফতানিকারকেরা প্রতি ডলার আয় থেকে বাড়তি ৭ টাকা বেশি হাতে পাবেন। এতে তারা আরও বেশি উৎসাহী হন। একইভাবে প্রবাসীরাও রেমিট্যান্সের প্রতি ডলারের বিপরীতে ৭ টাকা বেশি পাবেন।

তবে এতে আমদানি ব্যয় বেড়ে যাবে। আমদানি ব্যয় বেড়ে যাওয়ায় সাধারণ মানুষের ওপরও ব্যাপক প্রভাব ফেলে। এর ফলে দেশের মূল্যস্ফীতি বেড়ে যায়। টাকার অবমূল্যায়নের আগে সাধারণ মানুষ যে পরিমাণ উপার্জন করতেন এখনও তাই করছেন। তারা চাইলেই আগের মতো একই পরিমাণ পণ্য বা পরিষেবা কিনতে পারবেন না।

টাকার অবমূল্যায়নের কারণে ভ্রমণ ও বিদেশি শিক্ষার ব্যয় বেড়ে যাবে। টিউশন ফি ও ফ্লাইটের টিকিট ডলারে পরিশোধ করতে হয়। তাই এতে অতিরিক্ত অর্থ খরচ করতে হয়।

চিকিৎসার জন্য দেশের বাইরে যাবেন এমন মতিঝিল খোলা বাজারে এসেছিলেন খুচরা ডলার কিনতে। তিনি বলেন, কমপক্ষে ৬টি মানি এক্সচেঞ্জে ঘুরলাম কেউ ডলার বিক্রি করলো না। এখানে কয়েকটি ব্যাংকে গেলাম, ভিসা পাসপোর্ট দেখালাম। তারপরও বললো সরাসরি ডলার দেওয়া যাবে না।

খোলাবাজারের পাশাপাশি ব্যাংকের এলসি খোলার দরও বেড়েছে আড়াই থেকে তিন টাকা। বুধবার ১১৫ টাকায় এলসি করছিল এরকম ব্যাংক বৃহস্পতিবার ১১৭ টাকা ৫০ পয়সা থেকে ১১৮ টাকা দর নিয়েছে বলে জানা গেছে।

খোলাবাজারের নগদ ডলার বেচাকেনা করেন যে ব্যবসায়ীরা তারা জানিযেছেন, এখন একান্ত প্রয়োজন না হলে কেউ ডলার কিনছেন না। ডলার কত টাকায় স্থির হবে, এটা বোঝার জন্য আগামী সপ্তাহ পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হবে।

মতিঝিলের একটি মানি চেঞ্জারের মালিক বলেন, ১১৮ টাকার ডলার এক দিনেই ১২৩ টাকায় উঠে গেল। কেউ কেউ ১২৫ টাকাতেও বিক্রি করছে। মনে হচ্ছে দাম আরও বাড়বে। জানা গেছে, ব্যাংকগুলোর কাছে ৫ কোটি ১০ লাখ ডলার মজুত রয়েছে।

বেশ কয়েক মাস ধরেই ডলারের বাড়তি দামের কারণে খুচরা বাজারে বেড়েছে আমদানি করা নিত্যপণ্যের দাম। দেশে খাদ্যশস্য এবং অন্য পণ্য আমদানি করতে হয় পুরোপুরি জোগান মেটাতে। যে কারণে দেশের বাজারে পণ্যের দামে ডলারের সবচেয়ে বড় প্রভাব থাকে। বিশেষ করে চিনি, পাম তেল, সয়াবিন তেল, দুধ ও দুগ্ধজাত পণ্য, আদা, মরিচ, গম, চাল, মসুর ডাল, পেঁয়াজ, আদা, রসুন, তেলবীজ রয়েছে শীর্ষ খাদ্যসামগ্রী আমদানির মধ্যে। এছাড়া সাধারণ মানুষের নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্য সাবান, শ্যাম্পু থেকে শুরু করে শিক্ষা, চিকিৎসা, পরিবহনসহ খাদ্যবহির্ভূত খাতেও খরচ বাড়বে।

ভোগ্যপণ্য আমদানিকারক প্রতিষ্ঠানে এক শীর্ষ কর্মকর্তা বলেন, ডলারের দাম বাড়ায় সবচেয়ে বড় বিপদে পড়েছেন আমদানিকারকরা। ডলারের অপ্রতুলতায় বেশিরভাগ ব্যাংকই এলসি খুলতে অনীহা প্রকাশ করছে। এ প্রবণতা বাড়বে। আমদানি কমে গেলে পণ্যের দামও বাড়বে।

জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।
অর্থনীতি-ব্যবসা ডলারের তো? দাম, বৃদ্ধির মিলবে সুফল!
Related Posts
স্বর্ণের দাম

২০২৬ সালেও স্বর্ণের দাম বৃদ্ধির পূর্বাভাস

December 17, 2025

তৈরি পোশাক খাতে নারী নেতৃত্ব তৈরিতে দায়িত্বশীল নীতিমালায় জোর বিশেষজ্ঞদের

December 17, 2025

রেমিট্যান্স অ্যাওয়ার্ডে প্রথম হয়েছে ইসলামী ব্যাংক

December 17, 2025
Latest News
স্বর্ণের দাম

২০২৬ সালেও স্বর্ণের দাম বৃদ্ধির পূর্বাভাস

তৈরি পোশাক খাতে নারী নেতৃত্ব তৈরিতে দায়িত্বশীল নীতিমালায় জোর বিশেষজ্ঞদের

রেমিট্যান্স অ্যাওয়ার্ডে প্রথম হয়েছে ইসলামী ব্যাংক

সোনার দাম

দেশের বাজারে আরো বাড়ল সোনার দাম, ভরিতে যত টাকা

আবারও বিকাশের ব্র্যান্ড এনডোর্সার হলেন মেহজাবীন

মোবাইল ফোনের দাম

কমে যেতে পারে মোবাইল ফোনের দাম

সোনার দাম

আজ দেশের বাজারে যে দামে বিক্রি হবে সোনা

বিকাশ অ্যাপের মাধ্যমে সিটি ব্যাংকের ৫ হাজার কোটি টাকার ডিজিটাল লোন বিতরণ

Bank

জামানত ছাড়াই ২ লক্ষ টাকা পর্যন্ত লোন, কিস্তি মাত্র ২,০৭৬ টাকা!

Gold

দেশে সোনার দামে বড় লাফ, ভরিতে যত টাকা

  • About Us
  • Contact Us
  • Career
  • Advertise
  • DMCA
  • Privacy Policy
  • Feed
  • Banglanews
© 2025 ZoomBangla News - Powered by ZoomBangla

Type above and press Enter to search. Press Esc to cancel.