জুমবাংলা ডেস্ক : টাকার বিপরীতে ডলারের দরপতন অব্যাহত থাকায় বাজার স্থিতিশীল রাখতে হস্তক্ষেপ করেছে বাংলাদেশ ব্যাংক। গত দুই কার্যদিবসে ৪০টি বাণিজ্যিক ব্যাংক থেকে মোট ৪৮৪ মিলিয়ন মার্কিন ডলার কিনে নিয়েছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক, যা দেশের বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভে যোগ হবে। তবে উচ্চ মূল্যস্ফীতির এই সময়ে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের এমন পদক্ষেপের যৌক্তিকতা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন অর্থনীতিবিদরা।
কেন ডলার কিনছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক?
গত সপ্তাহে টাকার বিপরীতে ডলারের দাম কমতে শুরু করলে রপ্তানিকারক ও প্রবাসীদের আয় কমে যাওয়ার আশঙ্কা তৈরি হয়। এই দরপতন ঠেকাতে ও বৈদেশিক মুদ্রাবাজারের অতিরিক্ত অস্থিতিশীলতা রোধ করতে কেন্দ্রীয় ব্যাংক বাজারে হস্তক্ষেপ করার সিদ্ধান্ত নেয়।
বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্বাহী পরিচালক ও মুখপাত্র আরেফ হোসেন খান বলেন, ‘আমরা বাজার স্থিতিশীল রাখতে চাই, কারণ অতিরিক্ত দরপতন বা দরবৃদ্ধি—দুটিই নেতিবাচক। ডলারের দাম খুব বেশি পড়ে গেলে রপ্তানিকারক ও প্রবাসীদের আগ্রহ কমে যায়।’
এরই ধারাবাহিকতায় গত সোমবার (১৫ জুলাই) ১৮টি ব্যাংক থেকে ১৭১ মিলিয়ন ডলার কেনার পর মঙ্গলবার (১৫ জুলাই) আরও ২২টি ব্যাংক থেকে ৩১৩ মিলিয়ন ডলার কেনা হয়। সোমবার প্রতি ডলারের বিনিময় হার ১২০ টাকা ১০ পয়সা থাকলেও মঙ্গলবার তা বেড়ে দাঁড়ায় ১২১ টাকা ৫০ পয়সায়।
মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণের উদ্বেগ
কেন্দ্রীয় ব্যাংকের এই নীতিকে ভিন্ন দৃষ্টিতে দেখছেন অর্থনীতিবিদরা। বিশ্বব্যাংকের ঢাকা অফিসের সাবেক প্রধান অর্থনীতিবিদ ড. জাহিদ হোসেন মনে করেন, ডলারের দাম কমলে আমদানি খরচ কমে আসত, যা উচ্চ মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণে ইতিবাচক ভূমিকা রাখতে পারত। তিনি বলেন, ‘উচ্চ মূল্যস্ফীতির কারণে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের এমন পদক্ষেপের যৌক্তিকতা নেই।’
রিজার্ভের সর্বশেষ অবস্থা
বাজার থেকে কিনে নেওয়া এই বিপুল পরিমাণ ডলার সরাসরি দেশের বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভে যুক্ত হচ্ছে। আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ) হিসাব অনুযায়ী, গত ১০ জুলাই পর্যন্ত দেশের বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভের পরিমাণ ছিল ২৪ দশমিক ৫৪ বিলিয়ন ডলার। গত বছর একই সময়ে এই রিজার্ভের পরিমাণ ছিল ২১ দশমিক ০৬ বিলিয়ন ডলার।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।