আন্তর্জাতিক ডেস্ক : ইন্দোনেশিয়ান নারী তাদের কুকুরদের জন্য একটি জমকালো বিয়ের আয়োজন করে অবশেষে ক্ষমা চেয়েছেন। বিশেষ করে ইন্দোনেশিয়ার মতো মধ্যম আয়ের দেশে, যেখানে সম্পদ বণ্টন নিয়ে বৈষম্য রয়েছে। দুই আলাস্কান মালামুট জাতির কুকুরকে শুক্রবার রাজধানী জাকার্তার একটি মলে বিয়ে দেয়া হয়।
অনুষ্ঠানে কুকুরের মালিকরা আত্মীয়দের সাথে ঐতিহ্যবাহী জাভানিজ পোশাক পরেছিলেন যার মূল্য ১৩,৩৫০ ডলার। নেকড়ে-সদৃশ কুকুরগুলির বিয়ের ছবি প্রকাশের পর সামাজিক মিডিয়ায় হৈচৈ পড়ে যায়, এতো টাকা নয়ছয় করার জন্য সমালোচনার মুখে পড়েন কুকুরদের মালিকরা। পরিস্থিতি বেগতিক দেখে তারা ক্ষমা চাইতে বাধ্য হন।
লুনা নামক মেয়ে কুকুরটির মালিক ইন্দিরা রত্নাসারি বলেছেন, “আমরা অত্যন্ত দুঃখিত। আমরা জাভানিজ এবং সমস্ত ইন্দোনেশিয়ানদের কাছে ক্ষমা চাইতে চাই যারা ঘটনাটি অস্বস্তিকর বলে মনে করেছেন এবং আহত হয়েছেন। ইন্দোনেশিয়ান এবং জাভানিজ সংস্কৃতিকে অপমান করার কোন উদ্দেশ্য আমাদের ছিল না।”
বিশ্বের চতুর্থ-সর্বোচ্চ জনবহুল দেশে সম্পদের জাহিরপূর্ণ প্রদর্শনকে সমালোচনার চোখে দেখা হয়।জাকার্তায় ন্যূনতম মাসিক মজুরি হল ৩২৭ ডলার এবং বিশ্বব্যাংক গত বছর বলেছে যে ইন্দোনেশিয়ার ২৭০ মিলিয়ন লোকের প্রায় দশমাংশ এখনও দারিদ্র্যসীমার নীচে বাস করে।
স্থানীয় সংবাদমাধ্যম জানিয়েছে, রত্নাসারি ইন্দোনেশিয়ার প্রেসিডেন্ট অফিসের বেতনভোগী। ইন্দোনেশিয়ার প্রেসিডেন্ট জোকো উইডোডো মার্চের ভাষণে সরকারী কর্মকর্তাদের বলেছিলেন যে সামাজিক মিডিয়ায় কোনো ছবি পোস্ট করার আগে তারা যেন সাবধানতা অবলম্বন করেন। পুরুষ কুকুর জোজোর মালিক ভ্যালেন্টাইন কাহান্দ্রা, দাবি করেছেন জাভানিজ সংস্কৃতির প্রচারের জন্য এই বিয়ে দেয়া হয়েছে।
কিন্তু ক্ষুব্ধ ইন্দোনেশিয়ানরা সোশ্যাল মিডিয়ায় এই বিবাহের নিন্দা জানিয়েছে।
একজন টুইটার ব্যবহারকারী পোস্ট করেছেন, “এটি অর্থের অপচয় এবং ঈশ্বরকে অমান্য করা হয়েছে। কুকুরদের মালিকরা সাধারণ জ্ঞান হারিয়েছেন।” অন্য একজন লিখেছেন: “অপ্রয়োজনীয়ভাবে সম্পদ নষ্ট করার পরিবর্তে অভাবী লোকদের সাহায্য করা উচিত ছিল।” সূত্র : খালিজ টাইমস
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।