জুমবাংলা ডেস্ক: ব্যাংকগুলোর জন্য বেঁধে দেওয়া ডলারের একক রেট চার দিনের মাথায় প্রত্যাহার করে নিলো আর্থিক খাতের নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ ব্যাংক।
গত রবিবার সব ব্যাংকে ডলারের এক রেট ৮৯ টাকা বেঁধে দেওয়ার পর প্রবাসী আয়ে ভাটা ও রফতানিকারকরা বিল নবায়ন না করার পর বৃহস্পতিবার (২ জুন) আগের সিদ্ধান্ত থেকে সরে এসেছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। ইতোমধ্যে ব্যাংকগুলোকে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে—বাজারের সঙ্গে সঙ্গতি রেখে তারা নিজেরাই ডলারের দাম নির্ধারণ করতে পারবে।
বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন বাংলাদেশ ব্যাংকের মুখপাত্র সিরাজুল ইসলাম। তিনি বলেন, ‘ব্যাংকগুলো বাজারের সঙ্গে সঙ্গতি রেখে ও চাহিদা বিবেচনায় ডলারের দাম ঠিক করবে। আজ থেকেই এ সিদ্ধান্ত কার্যকর হয়েছে।’ রেমিট্যান্স প্রবাহে ধস নামার আশঙ্কা থেকে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলেও জানান তিনি। তিনি বলেন, ‘তবে এই সুযোগে কেউ যেন খারাপ কিছু না করে, সেদিকে নজর রাখতে বলা হয়েছে ব্যাংকগুলোকে। পাশাপাশি বিদেশি এক্সচেঞ্জ হাউজগুলো যাতে দাম বেশি বাড়াতে না পারে, সেদিকেও খেয়াল রাখতে বলা হয়েছে।’
প্রসঙ্গত, টাকার বিপরীতে ডলারের দাম ক্রমাগত বাড়তে থাকায় বিভিন্ন পক্ষের সঙ্গে আলাপ-আলোচনা করে গত রবিবার দাম বেঁধে দিয়েছিল বাংলাদেশ ব্যাংক। আন্তব্যাংক লেনদেনে ডলারের রেট ছিল ৮৯ টাকা। আমদানি পর্যায়ে ৮৯ টাকা ১৫ পয়সা। আর প্রবাসী আয় আনার ক্ষেত্রে ব্যাংকগুলোর জন্য ডলারের দাম বেঁধে দেওয়া হয়েছিল ৮৯ টাকা ২০ পয়সা। কিন্তু এ দাম নির্ধারণের পর কমে যায় প্রবাসী আয়। রফতানিকারকরাও বেঁধে দেওয়া দামে রফতানি বিল নগদায়ন করছেন না। এতে আমদানি বিল মেটাতে গিয়ে সংকটে পড়ে কয়েকটি ব্যাংক। এমন পরিস্থিতিতে বুধবার (১ জুন) সন্ধ্যায় বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর ফজলে কবিরসহ সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের সঙ্গে সার্বিক পরিস্থিতি নিয়ে আলোচনা করেন অ্যাসোসিয়েশন অব ব্যাংকার্স বাংলাদেশের (এবিবি) চেয়ারম্যান ও ব্র্যাক ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক সেলিম আর এফ হোসেন। এ সময় বাস্তব পরিস্থিতি তুলে ধরা হয়। তখনই ডলারের দামের সীমা তুলে দেওয়ার বিষয়ে একমত পোষণ করে বাংলাদেশ ব্যাংক।
জানা গেছে, কোনও কোনও ব্যাংক এখন থেকে আমদানিকারকদের কাছ থেকে ৯৮ টাকা পর্যন্ত আদায় করছে।
Own the headlines. Follow now- Zoom Bangla Google News, Twitter(X), Facebook, Telegram and Subscribe to Our Youtube Channel