বিজ্ঝান ও প্রযুক্তি ডেস্ক: গত বছর সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পকে নিষিদ্ধ করেছিল সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম টুইটার। তবে টুইটারের মালিকানায় পরিবর্তন আসার সঙ্গে সঙ্গে এই নিষেধাজ্ঞাও বাতিল হয়ে যাচ্ছে। মার্কিন ধনকুবের ইলন মাস্ক ৪৪ বিলিয়ন ডলার দিয়ে টুইটার কিনে নেয়ার চুক্তি করেছেন। এবার তিনি স্পষ্ট করেই জানালেন যে, তিনি ট্রাম্পের উপর থাকা এই নিষেধাজ্ঞা তুলে নিচ্ছেন। এ খবর দিয়েছে টেলিগ্রাফ ইন্ডিয়া।
এক অনুষ্ঠানে যোগ দিয়ে মাস্ক বলেন, সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্টের উপরে এই নিষেধাজ্ঞা অনৈতিক এবং নির্বুদ্ধিতার উদাহরণ। মাস্কের টুইটার কেনা নিশ্চিত হওয়ার পর সোশ্যাল মিডিয়াটির যেসব পরিবর্তন নিয়ে সবথেকে বেশি আলোচনা হয়েছিল তার একটি হচ্ছে ট্রাম্পের একাউন্ট বাতিল প্রসঙ্গ। প্রথম থেকেই ধারণা করা হচ্ছিল ইলন মাস্ক ট্রাম্পকে টুইটারে ফিরিয়ে আনবেন। তাই মাস্ক টুইটার কিনছেন শুনে অনেক রিপাবলিকান নেতাই তাকে অভিনন্দন জানিয়েছিলেন। তবে এতদিন ইলন মাস্ক স্পষ্ট করে বিষয়টি নিয়ে কথা বলেননি। মাস্কের এমন ‘ঘোষণা’ টুইটারে বাক স্বাধীনতার অধিকার নিয়ে তার যে প্রতিশ্রুতি ছিল তারই প্রতিফলন বলে মনে করা হচ্ছে।
এমনকি মাস্কের এই সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানিয়েছেন টুইটারের সাবেক সিইও জ্যাক ডর্সিও। তার আমলেই ট্রাম্পকে নিষিদ্ধ করেছিল টুইটার। কিন্তু এবার তিনি জানালেন, ট্রাম্পের উপর নিষেধাজ্ঞা জারি করা ছিল সম্পূর্ণ ব্যবসায়িক সিদ্ধান্ত। যা উচিত হয়নি। টুইটারের উচিত, প্রয়োজনে প্রত্যেকটি সিদ্ধান্ত পুর্নবিবেচনা করা। এমনকী তিনি এও মেনে নিয়েছেন যে কারও উপর চিরদিনের জন্য নিষেধাজ্ঞা জারি করার সিদ্ধান্ত সম্পূর্ণ ভুল। তা আদতে সংস্থার ক্ষতিই করে। তবে শুধুমাত্র স্প্যামারদের নিষিদ্ধ করা উচিৎ।
মাস্কের টুইটার কিনে নেয়ার চুক্তিটি পুরোপুরি কার্যকর হতে এ বছরের শেষ পর্যন্ত অপেক্ষা করা লাগতে পারে। প্রাথমিক ভাবে মাস্ক নিজেই এই সিইও হিসেবে দায়িত্ব পালন করবেন বলে জানিয়েছে রয়টার্স। এসময়ই মাস্ক টুইটারের বিভিন্ন বিষয়ে পরিবর্তন আনবেন বলে ধারণা করা হচ্ছে। যদিও ট্রাম্প এর আগে জানিয়েছিলেন, তিনি আর টুইটারে ফিরতে চান না। শুধু ট্রাম্পই নন, আরও অনেক যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক এক্টিভিস্টকে নিষিদ্ধ করেছে টুইটার।
মূলত ট্রাম্পের একাধিক পোস্ট নিয়ে বিতর্ক তৈরি হওয়ায় টুইটার তার উপর নিষেধাজ্ঞা চাপিয়েছিল। শুধু টুইটার নয়, জনপ্রিয় সোশ্যাল মিডিয়া ফেসবুকও ট্রাম্পকে নিষিদ্ধ করে রেখেছে। এরপর ট্রাম্প নিজেই একটি নতুন সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্ম তৈরির ঘোষণা দেন, যেটি চালু হওয়ার দ্বারপ্রান্তে রয়েছে। এর নাম দেওয়া হয় ‘ট্রুথ’। এখন দেখার বিষয় মত বদলে আবারও টুইটারে ফিরবেন কিনা ট্রাম্প।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।