আন্তর্জাতিক ডেস্ক : যুক্তরাষ্ট্রের ৪৭তম প্রেসিডেন্ট হিসেবে শপথ নিলেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। বাংলাদেশ সময় সোমবার রাত এগারোটায় (মার্কিন সময় দুপুর ১২টা) তিনি শপথ নেন।
এর আগে একই গাড়িতে করে হোয়াইট হাউস থেকে শপথস্থল ক্যাপিটল ভবনে পৌঁছেন ডোনাল্ড ট্রাম্প ও জো বাইডেন।
গত বছরে নভেম্বরের নির্বাচনে জয় পান রিপাবলিকান প্রার্থী ডোনাল্ড ট্রাম্প। এর মধ্য দিয়ে তিনি দ্বিতীয়বার প্রেসিডেন্ট হিসেবে দায়িত্ব নিলেন।
এই শপথ অনুষ্ঠানে সদ্য বিদায়ী প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন উপস্থিত ছিলেন। এ ছাড়া সাবেক প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা, জর্জ বুশ ও বিল ক্লিনটনও শপথ অনুষ্ঠানে যোগ দেন।
গত কয়েক বছরে ক্যাপিটল হিলের পশ্চিম লনে শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠান হলেও, এবার সেটি হয়েছে ক্যাপিটল রোটুন্ডায়। বিরূপ আবহাওয়ার কারণে অনুষ্ঠানটি ইনডোরে সরিয়ে নেয়া হয়।
যুক্তরাষ্ট্রের সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি জন রবার্টস দ্বিতীয়বারের মতো ট্রাম্পকে শপথবাক্য পাঠ করিয়েছেন। মার্কিন সংবিধানের দ্বিতীয় অনুচ্ছেদের প্রথম ধারায় নেওয়া শপথে ট্রাম্প বলেছেন, আমি দৃঢ়ভাবে শপথ করছি, বিশ্বস্ততার সঙ্গে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট কার্যালয়ের দায়িত্ব সম্পাদন করব এবং আমার সর্বোচ্চ সক্ষমতা দিয়ে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সংবিধান রক্ষা, সংরক্ষণ ও সুরক্ষা নিশ্চিত করব।
একবার নির্বাচনে পরাজিত হয়ে আবার ভোটে জিতে প্রেসিডেন্টের দায়িত্ব ফিরে পাওয়ার নজির যুক্তরাষ্ট্রের গত ১৩২ বছরের ইতিহাসে এই প্রথম। বিভিন্ন সমীক্ষায় হাড্ডাহাড্ডি লড়াইয়ের পূর্বাভাস মিললেও, রিপাবলিকান প্রার্থীর অন্তত ৪% হারে এগিয়ে থাকতে দেখা গেছে। মোট প্রাপ্ত ভোট সহ “ইলেক্টোরাল কলেজ” ভোটে সংখ্যাগরিষ্ঠতা পেয়ে মার্কিন মুলুকের ৪৭ তম প্রেসিডেন্ট হিসেবে নির্বাচিত হয়েছেন ট্রাম্প।
এর আগে তিনি ২০১৭ থেকে ২০২১ সাল পর্যন্ত মার্কিন প্রেসিডেন্ট হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছিলেন। এদিন ভাইস-প্রেসিডেন্ট জেডি ভ্যান্সও শপথ গ্রহণ করছেন। ক্ষমতা হস্তান্তরের মাধ্যমে জো বাইডেন প্রশাসনিক নিয়ন্ত্রণ ডোনাল্ড ট্রাম্পের কাছে হস্তান্তর করলেন।
ট্রাম্পের শপথ অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন ইলন মাস্ক, জেফ বেজোস এবং মার্ক জাকারবার্গ-সহ প্রযুক্তি জগতের বেশ কয়েকজন শীর্ষ ব্যক্তিত্ব। বিদায়ী প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন এই অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন। যদিও ২০২০ সালে বাইডেনের শপথগ্রহণ অনুষ্ঠানে ছিলেন না ট্রাম্প।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।