লাইফস্টাইল ডেস্ক : আসছে গ্রীষ্ম। আর গ্রীষ্ম এলেই আসার সময় হয় ফলের রাজা আমের। কাচা কিংবা পাকা দুই অবস্থায়ই খাওয়া যায় সুস্বাদু এ ফল। কিন্তু আপনি কি জানেন, স্বাদে অনন্য হলেও এ ফলটি অনেকের ক্ষেত্রেই বিপদের কারণ হয়ে ওঠে।
ফলের রাজা আম ভিটামিন এ, বিটা ক্যারোটিন, আলফা-ক্যারোটিন, বিটা-ক্রিপ্টোক্সানথিন, পটাশিয়াম, পানি এবং ডায়েটরি ফাইবারে ভরপুর। যে কারণে শরীরে আমের উপকারিতা বলে শেষ করা যাবে না।
তবে বিশেষজ্ঞরা বলছেন, টক-মিষ্টি অথবা রসালো মিষ্টি স্বাদের এ ফলটিই অনেকের স্বাস্থ্যঝুঁকি বাড়িয়ে দেয়।
যেমন: যাদের ওজন বেশি, তারা বেশি পরিমাণ আম খেলেই বিপদ। কেননা, আমে ভিটামিন সি এবং ক্যালরির পরিমাণ বেশি। তাই মোটারা আরও মুটিয়ে যেতে পারেন আম বেশি খাওয়ার কারণে।
আমে ফ্রুকটোজের পরিমাণ অনেক বেশি। যে কারণে রক্তে চিনির মাত্রা বাড়িয়ে দেয় আম। তাই ডায়াবেটিসের রোগীদের ডাক্তারের পরামর্শ ছাড়া আম খাওয়া বিপদের কারণ হয়ে উঠতে পারে।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, পরিমাণমতো আম খাওয়া অত্যন্ত উপকারী। কিন্তু নিয়মিতই যদি ডায়েটে আম থাকে তবে তা গ্যাসটাইট্রিসের সমস্যাকে উসকে দিতে পারে, যা হজমশক্তিকে দুর্বল করে তোলে।
ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এই সময়ের একটি প্রতিবেদন থেকে জানা যায়, আর্থ্রাইটিস বা বাতের ব্যথা আরও বাড়িয়ে তোলে আম। তাই এ ধরনের রোগীদের আম খাওয়া থেকে দূরে থাকা উচিত।
এ ছাড়া আম খেলে চোখ জ্বালা, হাঁচি, পেটে ব্যথা, ঠান্ডা লেগে যাওয়ার মতো সমস্যা হতে পারে। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, ত্বকে অ্যালার্জির সমস্যায় ভুগছেন তাদের আম খাওয়ায় সতর্ক থাকতে হবে। সতর্ক না হলেই সুস্বাদু এ আমই হয়ে উঠবে বিপদের কারণ।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।