জুমবাংলা ডেস্ক : গেলো রমজানেও আলুর দাম ছিল কেজিপ্রতি ২৫ থেকে ৩০ টাকা। আড়াই মাসের ব্যবধানে ২০ থেকে ২৫ টাকা দাম বেড়ে এখন ৪৫ থেকে ৫০ টাকা হয়েছে। রবিবার রাজধানীর বিভিন্ন বাজার ঘুরে এমন চিত্র দেখা গেছে।
সরেজমিনে ঘুরে দেখা গেছে, পাইকারি আলুর কেজিপ্রতি ৪০ থেকে ৪২ টাকায় বিক্রি করছেন পাইকারি ব্যবসায়ীরা, যা গত পাঁচ দিন আগেও ৩২ থেকে ৩৫ টাকায় কিনছেন খুচরা বিক্রেতারা। এছাড়া খুচরা ব্যবসায়ীরা সাদা আলুর কেজি প্রতি ৪৫ থেকে ৫০ টাকা, বগুড়ার আলু ৬০ টাকা, কাট আলু (লাল রঙের গোল আলু), জাম আলু ও গুড়া আলু ৫০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। এসব আলু গত রমজানে ২৫ টাকা থেকে ৩০ টাকা দরে বিক্রি হয়েছে খুচরা বাজারে। তবে রোজার ঈদের পর থেকে ধাপে ধাপে বাড়তে শুরু করে আলুর দাম।
ক্রেতাদের ভাষ্য, ব্যবসায়ীদের কারসাজি ও সিন্ডিকেটের কারণে বাজারে নিত্যপণ্যের দাম মানুষের নাগালের বাইরে। বিক্রেতারা বলছেন, বাজরে আলুর সরবরাহ কম। ফলে দাম বাড়তে শুরু করছে।
মধুবাগ এলাকার ভাসমান আলু বিক্রেতা মনির মিয়া বলেন, বাজারে অস্থিরা শুরু হয়েছে। একটা পণ্যের দাম কমলে আরেকটার দাম বেড়ে যায়। আমরা ছোট ব্যবসায়ী যারা আছি মহা বিপদে আছি। কোনো কিছুর দাম বাড়লে ক্রেতারা আমাদের সঙ্গে ঝগড়া করে। কিন্তু আমাদের সঙ্গে ঝগড়া করে লাভ নাই। বড় বড় সিন্ডকেটের সঙ্গে যারা জড়িত তাদেরকে ধরতে পারলেই বাজারের পরিস্থিতি শান্ত হবে।
মধুবাগ এলাকার আলু কিনতে আসা রবিন আহমদ বলেন, বাজারে গেলে জান কাঁপে। প্রতিদিন নিত্যপণ্যের দাম বাড়ে। এরকম চলতে থাকলে মানুষ বাঁচবো কেমন করে!
আলুর দাম বাড়ার কারণ জানতে চাইলে কারওয়ান বাজার এলাকার আলু বিক্রেতা রহিম বলেন, আলুর সরবরাহ কম। এবং মজুদদাররা আলু ছাড়ছেন না। আর ছাড়লেও বেশি দামে বিক্রি করছেন।
কারওয়ান বাজার এলাকার শফিক নামে এক ক্রেতা বলেন, সবকিছুর দাম বাড়ার কারণে আলু দিয়েই সংসার চলে আমাদের মতো নিম্ন আয়ের মানুষের। কিন্তু দুঃখের বিষয় হলো এই ২০ টাকার আলু গত আড়াই-তিন মাসে দ্বীগুণ দাম বাড়িয়ে দিয়েছে ব্যবসায়ীরা।
শফিক বলেন, সবাই বলছে ব্যবসায়ীদের কারসাজি ও সিন্ডকেটের কারণে বাজারে অস্থির অবস্থা চলছে। এরকম চলতে থাকলে মানুষ তো না খেয়ে মরবে।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।