জুমবাংলা ডেস্ক : বৃহস্পতিবার (২৩ মে) রাজধানীর শ্রম আপিল ট্রাইব্যুনালে হাজিরা শেষ হওয়ার পর ট্রাইব্যুনাল থেকে বের হয়ে সাংবাদিকদের বিভিন্ন প্রশ্নের জবাব দেন নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদ ড. মুহাম্মদ ইউনূস। আর সেখানেই তার মুখ থেকে বেরিয়ে আসে চমকপ্রদ এক তথ্য।
সামাজিক ব্যবসা ধারণার প্রবর্তক অধ্যাপক ইউনূস কথা প্রসঙ্গে বলছিলেন, ‘একটু আগে আমরা অপেক্ষা করছিলাম এখানে (ট্রাইব্যুনালে) আসার জন্য। সেখানে হঠাৎ করে এক বিদেশি ভদ্রলোক এসে আমার সঙ্গে দেখা করলেন একটা কথা বলার জন্য। তিনি ভারতীয় লোক। বললেন, আমি ব্যবসা করি, বাংলাদেশের সঙ্গেও আমি ব্যবসা করি, বহু টাকা অর্জন করেছি। কিন্তু, কিছু টাকা সবসময়ই আমি পৃথকভাবে রেখে দিই। এটা আমার টাকা বলে মনে করি না। বেশ বড় অংকের টাকা জমা হয়েছে। আমি অপেক্ষা করছি আপনার সঙ্গে আলাপ করার জন্য। আমি কি করতে পারি এই টাকা দিয়ে? আপনার সামাজিক ব্যবসার কথা আমি শুনেছি, পড়েছি।
এটা কিভাবে সামাজিক ব্যবসায় লাগাতে পারি?’
ড. ইউনূস সমবেত মানুষের উদ্দেশ্যে প্রশ্ন রেখে বলেন, ‘এই লোককেতো আমি চিনি না? এই লোকের এতো টাকা। সে এটা খরচ করতে চায়। কিভাবে করবে সে পরামর্শের জন্য আমার কাছে এসেছে। আমার অফিসে যাওয়ার কথা ছিল। সে বলেছে যে – না, আমি এখানেই দেখা করতে চাই, এইটাই আমার জন্য যথেষ্ট। আপনি সময় দিলে আমি আবার দেখা করবো৷’
ড. ইউনূস আক্ষেপের সুরে বলেন, ‘এই যে মানুষকে উদ্বুদ্ধ করা, তরুণকে উদ্বুদ্ধ করা, ব্যবসায়ীকে উদ্বুদ্ধ করা- এটা নতুন এক কাঠামো। আমরা বলছি- তিন শূন্যের পৃথিবী সৃষ্টি করবো। মানুষ এক কথায় এটা উড়িয়ে দিতে পারতো, তা না করে তারা এটা গ্রহণ করছে, কাজে লাগাচ্ছে। এই যে কাজ করার একটা উঁচু লেভেলে আমরা আসতে পেরেছি… প্রচুর কাজ করতে পারতাম যদি আমরা টানাহেঁচড়ার মধ্যে পড়ে না যেতাম, এই দুর্যোগের মধ্যে না পড়তাম। এতে ঠকছে কারা? আমি কি ঠকছি? আমার ঠকার কি আছে? আমি যা করার করেছি। শেষ বয়সে যেটুকুন করে যেতে চেয়েছিলাম, আমাকে সে সুযোগটা দেওয়া হচ্ছে না। আমাকে নানা টানাহেঁচড়ার মধ্যে রাখা হচ্ছে। এতে দেশের মানুষ ঠকছে। আরো কিছু করতে পারলে মানুষ উল্লেখ করতো- বাংলাদেশ থেকে এটা আমরা শিখেছি। সেই সুযোগটা হলো না। সেটাই হলো দুঃখের বিষয়। এই দুর্যোগ থেকে যাতে আমরা মুক্তি পেতে পারি সেজন্য আপনারা দোয়া করেন। আমি দেশবাসীর কাছে এই দোয়া চাচ্ছি।’
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।