স্পোর্টস ডেস্ক : বৈষম্যের শিকার হওয়াটাই যেন নারী ফুটবলারদের নিয়তি। সামাজিক প্রতিবন্ধকতা, পরিবারে অর্থনৈতিক সংকট, দৈনন্দিন জীবনের সংগ্রামসহ নানা প্রতিকূলতা পাড়ি দিয়ে দেশের জন্য নারী ফুটবলাররা সাফল্য বয়ে আনেন। ফুটবল কন্যাদের বেতন বকেয়া থাকার বিষয়টি নিয়ে অতীতেও হয়েছে বহু আলোচনা-সমালোচনা। তাদের নিয়মিত অর্থ পরিশোধে বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশনের (বাফুফে) অক্ষমতা নিয়ে চলেছে প্রতিনিয়ত সংবাদ।
সাফ নারী চ্যাম্পিয়নশিপ চলাকালেই পাওয়া গিয়েছিল বিস্ময়কর এ তথ্য। তিন মাসের বেতন বকেয়া রেখেই নেপালে টুর্নামেন্ট খেলতে গিয়েছিলেন শিরোপাজয়ীরা। ফেডারেশন থেকে বেতন প্রদানের আশ্বাস দেওয়া সত্ত্বেও কতদিনের মধ্যে তা পরিশোধ করা হবে, ফুটবলাররা এ বিষয়ে কিছুই জানেন না।
নারী ফুটবলাররা যে পরিমাণ বেতন পান, সেটি মোটেও পর্যাপ্ত নয়। অধিনায়ক সাবিনা খাতুন এবার সেই কথাটি প্রধান উপদেষ্টা ড. মোহাম্মদ ইউনূসের মুখোমুখি হয়েই পরিষ্কারভাবে জানিয়ে দিলেন। একইসঙ্গে খেলোয়াড়রা যেন মানসম্মত বেতন পান, সেই চাওয়াটাও দলের পক্ষ থেকে তুলে ধরেন। অনেক খেলোয়াড়ের দরিদ্র পরিবার থেকে উঠে আসার বিষয়টিও উত্থাপন করেন বাংলাদেশ দলের এই অধিনায়ক।
শনিবার (২ নভেম্বর) সকাল সাড়ে ১০টায় ফুটবলাররা যমুনায় প্রবেশ করেন। এরপর তাদের সংবর্ধনা দেন প্রধান উপদেষ্টা। এ সময় রাষ্ট্রপ্রধানকে সাবিনা বলেন, বেতন আমাদের খুব বেশি সহায়তা প্রদান করে না। কারণ, আমরা তেমন কিছু পাই না।
সাবিনা দলের সবাইকে সংবর্ধনার আয়োজনের জন্য প্রধান উপদেষ্টাকে ধন্যবাদ জানান। ২০০৯ সালে ফুটবল ক্যারিয়ার শুরু করা এই অভিজ্ঞ খেলোয়াড় বলেন, সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে যোগ দিতে পেরে আমরা সম্মানিত বোধ করছি। অনেক বাধা অতিক্রম করে আমরা এই পর্যায়ে এসেছি। শুধু নারী ফুটবল দলই নয়, বাংলাদেশের নারীরা অনেক সংগ্রামের মুখোমুখি হয়।
প্রধান উপদেষ্টা খেলোয়াড়দের দাবিগুলো মনোযোগ সহকারে শুনেছেন এবং তাদের সকল চাহিদা অগ্রাধিকার ভিত্তিতে সমাধানের প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন। এ সময় তিনি বাঘিনীদের সমস্যাগুলো লিখিতভাবে চান।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।