আন্তর্জাতিক ডেস্ক : চীনের জনগণ আশা করছে যে ২০২৪ সাল জন্মহার হ্রাসের সমস্যা থেকে মুক্তি দেবে। এর কারণ হলো, এটা ড্রাগন বর্ষ। চীনারা বিশ্বাস করে, ড্রাগন বর্ষ শিশুদের জন্য খুবই অনুকূল। শুভ রাশিচক্র দেখে চীনা মা-বাবা সন্তান জন্ম দেবে বলে আশা করা হচ্ছে।
চীনাদের কাছে শুভ বিবেচিত এই বর্ষ শুরু হবে ১০ ফেব্রুয়ারি। উল্লেখ্য, ২০২৩ সালটিতে টানা দ্বিতীয় বছরের মতো চীনে জনসংখ্যা হ্রাস পায়।
২০২৩ সালে মৃত্যু ছিল ব্যাপক। প্রতি হাজারে মারা গেছে ৭.৮৩ হারে। ১৮৭০-এর দশকের পর এটাই সর্বোচ্চ হার। ২০২২ সালে চীনে মারা যায় সাড়ে আট লাখ লোক। ৬০ বছর আগে মনুষ্য সৃষ্ট দুর্ভিক্ষের পর তখনই সবচেয়ে বেশি লোক মারা গেছে।
ক্যালিফোর্নিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের চীনা জনসংখ্যাবিষয়ক বিশেষজ্ঞ ওয়াং ফেং বলেন, চীনে জনসংখ্যা হ্রাসের হারটি বাড়ছে না।
চীনা আশা করছে, প্রতি ১২ বছরে একবার করে আসা ড্রাগন বর্ষে অন্য যেকোনো বছরের তুলনায় বেশি শিশুর জন্ম হবে।
চীন, তাইওয়ান, সিঙ্গাপুর ও হংকংয়ে বিশ্বাস করা হয় যে ড্রাগন বর্ষে জন্মগ্রহণ করা ‘ড্রাগন বেবিরা’ সৌভাগ্য বয়ে আনে।
আর বিশেষজ্ঞরা মনে করেন, চীনা অর্থনীতির জন্যও ২০২৪ সালটি গুরুত্বপূর্ণ।
চীনা ন্যাশনাল ব্যুরো অব স্ট্যাটিসটিক্স তার প্রতিবেদনে বলেছে, ড্রাগন বর্ষে তাদের জন্মহার কিছুটা বাড়বে। তবে এ ধরনের কুসংস্কার পরিস্থিতির উন্নতি ঘটাতে পারবে কিনা তা নিয়ে বিশেষজ্ঞদের মধ্যে সংশয় রয়েছে।
ওয়াং বলেন, অতীতে শুভ বর্ষে শিশুর জন্ম বেশি হয়েছে। কিন্তু এখন যখন অর্থনৈতিক ভবিষ্যত নিয়ে শঙ্কা রয়েছে, তরুণদের মধ্যে হতাশা রয়েছে, তখন এবার জন্মহার উল্লেখযোগ্য হারে বাড়বে কিনা তা নিয়ে সন্দেহ থেকে যায়।
একই ধারণা পোষণ করেন ৩১ বছর বয়স্কা ডোরা গাও। সাংহাইয়ে বসবাসকারী এই তরুণী বলেন, একটি শিশু লালন পালন করার মতো পর্যাপ্ত আত্মবিশ্বাস তিনি পাচ্ছেন না। শিশুকে পড়াশোনা করানোর মতো পর্যাপ্ত অর্থ তার কাছে নেই বলেও তিনি জানান।
সূত্র : রয়টার্স
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।