নাসা এবং সিয়েরা স্পেস যৌথ সিদ্ধান্তে ড্রিম চেজার স্পেসপ্লেনের আন্তর্জাতিক মহাকাশ স্টেশন (আইএসএস) ভ্রমণ বাতিল করেছে। এই মিশনটি এখন ২০২৬ সালে ফ্রি-ফ্লাইং ডেমোনস্ট্রেশন হিসেবে পরিচালিত হবে। প্রযুক্তিগত জটিলতা এবং সময়সূচি পিছিয়ে যাওয়ায় এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। এটি ড্রিম চেজার প্রোগ্রামের একটি বড় পরিবর্তন।
এই পরিবর্তনের ফলে নাসার আইএসএসে সরবরাহ পাঠানোর দায়িত্ব থেকে ড্রিম চেজার সাময়িকভাবে মুক্ত হলো। তবে ভবিষ্যতে প্রয়োজনে নাসা আবারও এটিকে কাজে লাগাতে পারবে। সিয়েরা স্পেস এখন তাদের স্পেসপ্লেনটিকে বাণিজ্যিক ও নিরাপত্তা মিশনে ব্যবহারের দিকে মনোনিবেশ করবে।
ড্রিম চেজারের বহুমুখী সম্ভাবনা
ড্রিম চেজার একটি পুনর্ব্যবহারযোগ্য স্পেসপ্লেন। এটি পৃথিবীর বায়ুমণ্ডলে ফিরে এসে বিমানের মতো রানওয়ে ল্যান্ডিং করতে সক্ষম। এটি প্রথমে নভোচারী বহনের জন্য ডিজাইন করা হয়েছিল। পরে কার্গো বা পণ্য পরিবহনের জন্য রূপান্তরিত হয়।
সিয়েরা স্পেস নাসার CRS-2 চুক্তির অধীনে আইএসএসে সরবরাহ পাঠানোর দায়িত্ব পায়। কিন্তু বহুবার সময়সূচি পেছানোর পর এই পরিকল্পনা থেকে সরে আসা হয়। এখন প্রথম মিশনে এটি শুটিং স্টার কার্গো মডিউল নিয়ে উড়বে। কিন্তু আইএসএস-এর সাথে ডক করবে না।
মিশন পরিবর্তনের মূল কারণ কী?
মিশন পরিবর্তনের পেছনে বেশ কয়েকটি কারণ কাজ করেছে। আইএসএস ২০৩০ সালে অবসরে যাবে। তাই নতুন স্পেসপ্লেনের জন্য সরবরাহ মিশনের সংখ্যা সীমিত হয়ে আসছে। এছাড়াও ড্রিম চেজারের উন্নয়ন কাজ শেষ করতে দেরি হচ্ছে।
নাসা এখন বাণিজ্যিক মহাকাশ স্টেশনের দিকে এগুচ্ছে। তাই ড্রিম চেজারকে আইএসএস-এর বাইরে বহুমুখী মিশনে ব্যবহারের পরিকল্পনা করা বুদ্ধিমানের কাজ হবে। সিয়েরা স্পেসের টেনাসিটি নামের প্রথম স্পেসপ্লেনটি ২০২৬ সালের শেষের দিকে উড়ানের কথা রয়েছে।
নতুন যুগের সূচনা করবে ড্রিম চেজার
ড্রিম চেজারের এই সিদ্ধান্ত আমেরিকান বাণিজ্যিক মহাকাশ উড্ডয়নের নতুন এক যুগের সূচনা করতে পারে। এটি শাটল যুগের পর প্রথম আমেরিকান অরবিটাল স্পেসপ্লেন হতে যাচ্ছে। এর সাফল্য ভবিষ্যতে দ্রুত ও পুনর্ব্যবহারযোগ্য মহাকাশ যানের পথ প্রশস্ত করবে।
ড্রিম চেজার এর নতুন মিশন প্রমাণ করবে যে বাণিজ্যিক মহাকাশ সংস্থাগুলো এখন সরকারি মহাকাশ সংস্থাগুলোর বিশ্বস্ত অংশীদার। এটি নাসা এবং সিয়েরা স্পেস উভয়ের জন্যই একটি বড় মাইলফলক হয়ে থাকবে।
জেনে রাখুন-
Q1: ড্রিম চেজার কি আবারও আইএসএস-এ যাবে?
হ্যাঁ, ভবিষ্যতে নাসা চাইলে ড্রিম চেজার দিয়ে আইএসএস-এ সরবরাহ পাঠাতে পারবে। কিন্তু এখনই এর কোনো পরিকল্পনা নেই।
Q2: ড্রিম চেজারের প্রথম মিশনের নাম কী?
প্রথম ড্রিম চেজার স্পেসপ্লেনটির নাম রাখা হয়েছে টেনাসিটি। এটি Vulcan রকেটে করে উড্ডয়ন করবে।
Q3: ড্রিম চেজারের বিশেষত্ব কী?
এটি একটি স্পেসপ্লেন যা রানওয়ে ল্যান্ডিং করতে পারে। এটি পুনরায় ব্যবহারযোগ্য এবং কার্গো ফেরত নিয়ে আসতে সক্ষম।
Q4: আইএসএস কবে অবসরে যাবে?
আন্তর্জাতিক মহাকাশ স্টেশন বা আইএসএস ২০৩০ সালের দিকে অবসরে যাওয়ার পরিকল্পনা রয়েছে। তখন বাণিজ্যিক স্টেশনগুলো কাজ শুরু করবে।
Q5: সিয়েরা স্পেস কোম্পানিটি কিসের জন্য পরিচিত?
সিয়েরা স্পেস একটি আমেরিকান বাণিজ্যিক মহাকাশ কোম্পানি। ড্রিম চেজার ছাড়াও তারা প্রাইভেট স্পেস স্টেশন অরবিটাল রিফ বানাচ্ছে।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।