আন্তর্জাতিক ডেস্ক : পাহাড়ঘেরা দুর্গম এলাকায় জীবনদায়ী ওষুধ পৌঁছে দিল ড্রোন। খুব কম সময়ের মধ্যে দীর্ঘ পথ পাড়ি দিয়ে ওষুধ পৌঁছানো যায় কিনা, তার পরীক্ষা করতেই ড্রোনের পরীক্ষা করেছিল ঋষিকেশ এইমস । কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রী মনসুখ মাণ্ডব্য জানিয়েছেন, এই কাজে যথেষ্ট সাফল্য পেয়েছেন তাঁরা। আগামী দিনে এই প্রযুক্তিকে আরও ভাল ভাবে কাজে লাগানোর পরিকল্পনা রয়েছে তাঁদের।
এইমস ঋষিকেশ থেকে উত্তরাখণ্ডের তেহরি গাড়োয়াল এলাকায় টিবির ওষুধ পৌঁছতেই ড্রোনের ব্যবহার করা হয়। মাত্র ৩০ মিনিটের মধ্যে ৪০ কিলোমিটার পথ পাড়ি দিয়েছে ড্রোনটি। সড়কপথে এই দূরত্ব পাড়ি দিতে ২ ঘণ্টা সময় লাগে।
স্বাস্থ্যমন্ত্রী মনসুখ মাণ্ডব্য জানিয়েছেন, ২০২৫ সালের মধ্যে দেশ থেকে টিবি নির্মূল করতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নেবে এই ড্রোনগুলি। ভারতের নানা দুর্গম প্রান্তে চিকিৎসা ও পর্যাপ্ত ওষুধের অভাবে এই রোগে ভোগেন সাধারণ মানুষ। তাছাড়াও অসুস্থ মানুষের শরীর থেকে জীবাণুর নমুনা পরীক্ষা করতে দীর্ঘ সময় লাগে। সব মিলিয়ে, টিবি নির্মূল করতে একাধিক সমস্যার মোকাবিলা করতে হয় ভারতকে।
টিবি আক্রান্ত রোগীর কাছে দ্রুত ওষুধ পৌঁছে দেওয়ার জন্যই ড্রোন ব্যবহার করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। বৃহস্পতিবার পরীক্ষামূলকভাবে ঋষিকেশ থেকে গাড়োয়াল পর্যন্ত এই ড্রোন চালানো হল। কিছুদিন পরে এই ড্রোন চালানো হবে নয়া দিল্লি এইমস থেকে ঝজ্জর পর্যন্ত। প্রসঙ্গত, আগেও ড্রোনের মাধ্যমে ওষুধ পাঠানো হয়েছে ভারতে। কাশ্মীরের দুর্গম এলাকায় সেনার জন্য কোভিড ভ্যাকসিন পাঠানো হয়েছিল।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।