জুমবাংলা ডেস্ক : রাজধানীর মশা প্রতিরোধে সাধারণত ফগিং ও হ্যান্ড স্প্রে মেশিন ব্যবহার করা হয়ে থাকে। এবার ডেঙ্গু প্রতিরোধে রাজধানী বাসা-বাড়ির ছাদবাগানে এডিস মশার উৎস ধ্বংসে ড্রোন ব্যবহার করছে ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন।
এ কাজে ব্যবহৃত হচ্ছে দুটি ড্রোন। এর একটি জাইকার বর্জ্য ব্যবস্থাপনা প্রকল্প হতে এবং বাকিটি আউটসোর্সিং করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের (ডিএনসিসি) প্রধান স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ব্রিগেডিয়ার জেনারেল জোবায়দুর রহমান।
গণমাধ্যমে দেয়া এক সাক্ষাৎকারে তিনি জানিয়েছেন, এই ড্রোনের মাধ্যমে উত্তরা, বনানী, গুলশান ও নিকুঞ্জ এলাকায় প্রত্যেকটা বাড়ির ছাদবাগানেই এডিস মশার সন্ধানে নজরদারি করা হবে। উত্তরা এলাকা থেকে শুরু হচ্ছে। এটা এখন প্রতিদিনই হবে। যে বাড়িগুলোতে ছাদবাগান রয়েছে সেগুলোতে ড্রোনের মাধ্যমে ভিডিও ও ছবি তুলে দেখা হচ্ছে।
ব্রিগেডিয়ার জেনারেল জোবায়দুর রহমান বলেন, কোনও বাড়ির ছাদে পানি জমা থাকলে সেই বাড়িতে মশক নিধন কর্মীবাহিনী যাচ্ছে। এক্ষেত্রে আগে হাইরাইজ ভবনের ছবি নেওয়া হচ্ছে। ছবি নেওয়া যে বাড়ির ছাদে মশার উৎসস্থল পাওয়া যায় নগরভবন থেকে কর্মীবাহিনী গিয়ে সেখানে মশার উৎস ধ্বংস করছে।
ড্রোন ব্যবহার করে এডিস মশার উৎস ধ্বংস করে ভালো সুফল পাওয়া যাচ্ছে বলেও জানিয়েছেন ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের (ডিএনসিসি) প্রধান এই স্বাস্থ্য কর্মকর্তা।
তিনি বলেন, আমরা বিশেষ ব্যবস্থা হিসেবে নোভালিউরন ট্যাবলেট ব্যবহার করছি বাসাবাড়ির পানির মিটারে। যেটা একবার পানির মধ্যে রাখলে তিন মাস মশা জন্মায় না। আমাদের পর্যাপ্ত নোভালিউরন আছে। আরও কেনা হচ্ছে। প্রত্যেকটা খাল, ডোবা নর্দমায় গাপটি মাছ ছেড়ে দিচ্ছি। প্রথম ও দ্বিতীয় রাউন্ড ছেড়েছি। তৃতীয় রাউন্ড চলছে।
তিনি আরও বলেন, আমাদের ৩৪টি স্বাস্থ্যকেন্দ্রে পর্যাপ্ত ডেঙ্গু পরীক্ষার কিট মজুত আছে। নগরবাসীরা বিনামূল্যে এসব সেন্টারে ডেঙ্গু টেস্ট করাতে পারবে। ডিএনসিসি কিছু নতুন মশককর্মী নিয়েছে। তাদের ট্রেনিং দেওয়া হয়েছে। এছাড়া আমরা কিছু নতুন মেশিন ক্রয় করেছি। ২৫০ টি ফগিং, ৩৬টি হুইলবারো ও ৪৫০ হ্যান্ড স্প্রে মেশিন কিনেছি। ডিএনসিসিতে আট মাসের মশার কীটনাশক মজুত আছে।
স্বাস্থ্য অধিদফতরের জরিপ অনুযায়ী, উত্তরার সঙ্গে তেজগাঁও এলাকাকে এই ড্রোন অভিযানে বিশেষ গুরুত্ব দেয়া হচ্ছে। বিশেষ ব্যবস্থা হিসেবে বাসাবাড়ির পানির মিটারে নোভালিউরন ট্যাবলেট ব্যবহার করা হচ্ছে ।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।