জুমবাংলা ডেস্ক : মেট্রোরেলের যাত্রীদের প্রায় দেড় হাজার র্যাপিড পাস দিয়েছে ঢাকা পরিবহন সমন্বয় কর্তৃপক্ষ (ডিটিসিএ)। ৩০ নভেম্বর পর্যন্ত আগারগাঁও, মিরপুর-১০, মতিঝিল ও দিয়াবাড়ী স্টেশন থেকে কেনা যাবে এই কার্ড। এর পর রেজিস্ট্রেশন করে নিতে হবে ডাচ বাংলা ব্যাংক থেকে। আর রিচার্জ করা যাবে মেট্রোরেল স্টেশনে।
স্মার্ট কার্ডে স্বয়ংক্রিয়ভাবে ভাড়া নেওয়ার ব্যবস্থা হলো র্যাপিড পাস। শুধু মেট্রোরেল নয় এর মাধ্যমে চলাচল করা যাবে নানা গণপরিবহনে। পয়লা নভেম্বর থেকেই এ কার্ড দিচ্ছে ডিটিসিএ।
কার্ডধারীরা প্রতি যাত্রায় ভাড়ায় ছাড় পাবেন ১০ শতাংশ। শুরুতে ৪০০ টাকায় নিতে হবে এই স্মার্ট কার্ড। এর পর রিচার্জ করে ব্যবহার করা যাবে আজীবন। ক্যাশলেস এই লেনদেনে বাঁচবে সময়, যাত্রাও হবে নির্বিঘ্ন।
ডিটিসিএ কম্পিউটার অপারেটর মাহফুজা খাতুন বন্যা জানান, এই র্যাপিড পাসে ব্যালেন্স শেষ হয়ে গেলে যে কোনো মেট্রো স্টেশন থেকে রিচার্জ করা যাবে। এ ছাড়া ডাচ বাংলা ব্যাংকের যে কোনো শাখা থেকেই রিচার্জ সম্ভব।
র্যাপিড পাস সংগ্রহ নিয়ে এক যাত্রী বলছেন, এমআরটি পাস মেট্রোরেলের জন্য আর র্যাপিড পাস সরকারি অন্য পরিবহনের জন্য। এক কার্ডে অনেক সুবিধা বলেই সংগ্রহ করছেন এই র্যাপিড পাস।
এরই মধ্যে বিক্রি হয়েছে প্রায় দেড় হাজার কার্ড। মেট্রোরেল ছাড়াও ব্যবহার করা যাচ্ছে দিয়াবাড়ীর বিআরটিসি শাটল সার্ভিসে। আগামীতে বিআরটি ছাড়াও রাজধানীর সব গণপরিবহন এর আওতায় আসবে।
ডিটিসিএ ডেপুটি ট্রান্সপোর্ট প্ল্যানার ধ্রুব আলম বলেন, কার্ড কেনার সঙ্গে সঙ্গেই এটি ব্যবহার করা যাবে। একবার এটি হারিয়ে গেলে, ফেরত পাওয়া যাবে না বলে কার্ড কিনে ভোটার আইডি কার্ড দিয়ে রেজিস্ট্রেশন করে নিতে হবে।
গণপরিবহন নেটওয়ার্কে স্মার্ট টিকিট ব্যবস্থা চালুর অংশ হিসেবে বাড়ানো হচ্ছে র্যাপিড পাসের ব্যবহার। রাজধানীতে পাঁচ বছর আগে থেকে সীমিত পরিসরে মিলছিল এ সেবা।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।