জুমবাংলা ডেস্ক : মুক্তিযোদ্ধা কোটার পক্ষে পবিত্র কোরআন থেকে ‘দলিল’ তুলে ধরেছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাজবিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক ড. আ ক ম জামাল উদ্দীন। বিশ্ববিদ্যালয়ের বার্ষিক সিনেট অধিবেশনে শিক্ষক প্রতিনিধি থেকে নির্বাচিত সিনেট সদস্যের বক্তব্যে তিনি বলেন, পবিত্র কোরআনের সুরা আনফালে পরিষ্কারভাবে বলা আছে, ‘যারা বিজিত বাহিনী হবে তারা দেশের সম্পদ, চাকরি, অর্থ ও ভূখণ্ডের ৮০ ভাগ অর্থাৎ ৪ ভাগের নিয়ন্ত্রণ পাবে। আর বাকি একভাগ থাকবে দুঃস্থ এতিমদের জন্য।’
বুধবার রাতে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক এ এস এম মাকসুদ কামালের সভাপতিত্বে সিনেট অধিবেশন হয়।
আ ক ম জামাল উদ্দীন বলেন, ১৯৭৫ সালে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের হত্যার পর যে অন্ধকার যুগের সূচনা হয়েছে সেখানে বীর মুক্তিযোদ্ধাদের কোনোকিছুই দেওয়া হয়নি অথচ তারা ছিল বিজিত বাহিনী।
ঢাবির এই অধ্যাপক আরও বলেন, আমি সতর্ক করতে চাই, সম্প্রতি মুক্তিযোদ্ধা কোটা হাইকোর্ট পুনর্বহাল করেছে। এটাকে কেন্দ্র করে ২০১৮/১৯ সালে বিশ্ববিদ্যালয়ে অরাজকত পরিস্থিতি তৈরি করেছে। তারা ভাইস চ্যান্সেলরের বাড়িতে হামলা করেছে তা নজিরবিহীন। তারা আবার সেই পাঁয়তারা করছে। স্বাধীনতাবিরোধী জামায়াত-শিবির আবরণ খোলস পরে প্রগ্রেসিভ ছাত্র সংগঠনের অভ্যন্তরে লুকিয়ে আছে। তারা কোটাবিরোধী আন্দোলনে নেতৃত্ব দিচ্ছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাঙ্গণ ব্যবহার করে কোনো অরাজক পরিস্থিতি সৃষ্টি করতে না পারে সেই ব্যাপারে কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে।
সিনেট অধিবেশনে উপ-উপাচার্য (প্রশাসন) অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ সামাদ, উপ-উপাচার্য (শিক্ষা) অধ্যাপক সীতেশ চন্দ্র বাছার, কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক মমতাজ উদ্দিন আহমেদসহ সিনেট সদস্যবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
প্রসঙ্গত, অধ্যাপক ড. আ ক ম জামাল উদ্দীন তার বক্তব্যে ‘বিজয়ী’ অর্থ প্রকাশ করতে গিয়ে ভুলক্রমে ‘বিজিত’ শব্দটি ব্যবহার করেছেন। তিনি বীর মুক্তিযোদ্ধাদের ‘বিজিত বাহিনী’ বললেও প্রকৃত অর্থে মুক্তিযোদ্ধারা স্বাধীনতা যুদ্ধে জয়ী। বিজিত শব্দের অর্থ- পরাজিত। সূত্র : সমকাল
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।