ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) ২০২৫-২৬ শিক্ষাবর্ষের স্নাতক ভর্তি পরীক্ষা গত বছরের তুলনায় অন্তত দুই মাস এগিয়ে আসছে। ২০২৬ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে অনুষ্ঠেয় জাতীয় নির্বাচনের কারণে চলতি বছরই এ কার্যক্রম শেষ করতে চায় কর্তৃপক্ষ।
এ জন্য আগামী ৭ অথবা ১২ অক্টোবর অনুষ্ঠেয় কেন্দ্রীয় ভর্তি কমিটির বৈঠকে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেবে কর্তৃপক্ষ। এর মাধ্যমে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ ও জুলাই গণঅভ্যুত্থান পরবর্তী সময়ে আগের স্বাভাবিক সময়সূচিতে ফিরছে বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি পরীক্ষা।
বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি পরীক্ষার সঙ্গে সংশ্লিষ্ট দায়িত্বশীল একটি সূত্র আজ মঙ্গলবার গণমাধ্যমকে জানায়, ভর্তি পরীক্ষার বিষয়ে প্রাথমিক কিছু আলোচনা হয়েছে। সেখানে নভেম্বর মাসের শেষ সপ্তাহ থেকে ডিসেম্বর মাসের মাঝামাঝি সময়ের মধ্যে ভর্তি পরীক্ষা শেষ করার বিষয়ে উদ্যোগ নেওয়ার কথা বলেছেন সবাই। আগামী ৭ অথবা ১২ অক্টোবর ভর্তি কমিটির সভায় এ বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত আসবে।
গত বছর বিশ্ববিদ্যালয়ের অনলাইন ভর্তি কমিটির আহবায়ক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন কম্পিউটার বিজ্ঞান ও প্রকৌশল বিভাগের অধ্যাপক মোস্তাফিজুর রহমান। তিনি দায়িত্ব ছেড়ে দিচ্ছেন বলে সূত্র জানিয়েছে। তার পরিবর্তে নতুন দায়িত্বে আসছেন তথ্য-প্রযুক্তি ইনস্টিটিউটের অধ্যাপক ড. মো. শরিফুল ইসলাম।
মূলত নির্বাচনের কারণেই ভর্তি পরীক্ষা চলতি বছর শেষ করার উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে জানিয়ে ভর্তি প্রক্রিয়ার গুরুত্বপূর্ণ কাজে যুক্ত এক শিক্ষক বলেন, আগের বছরের তুলনায় এগিয়ে এলেও এটিই মূলত ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি পরীক্ষার স্বাভাবিক সময়। সাধারণত এইচএসসি পরীক্ষার ফল প্রকাশের পরপরই ভর্তির প্রক্রিয়া শুরু হয়ে যায়। তবে মাঝে করোনাভাইরাস ও আন্দোলনের কারণে সে সময়সূচি মানা যায়নি।
সূত্রটি বলছে, ফেব্রুয়ারিতে জাতীয় সংসদ নির্বাচন হলে রাজনৈতিক দলগুলো নানা ধরনের সভা-সমাবেশ করবে। বিভিন্ন স্থানে জনসমাগম থাকবে। এসব থেকে মুক্ত থেকে শিক্ষার্থীরা যাতে স্বাচ্ছন্দে পরীক্ষা দিতে পারেন, সে জন্য চলতি বছরই পরীক্ষা নেওয়ার বিষয়ে চিন্তাভানা করা হচ্ছে।
এর আগে ২০২৪-২৫ শিক্ষাবর্ষে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি পরীক্ষার জন্য অনলাইনে আবেদন শুরু হয় গত বছরের ৪ নভেম্বর থেকে। আবেদন চলে ২৫ নভেম্বর পর্যন্ত। ভর্তি পরীক্ষা চলতি বছরের ৩ জানুয়ারি শুরু হয়। আইবিএ ইউনিট ৩ জানুয়ারি, চারুকলা ইউনিট (সাধারণ জ্ঞান ও অঙ্কন) ৪ জানুয়ারি, কলা, আইন ও সামাজিক বিজ্ঞান ইউনিট ২৫ জানুয়ারি, ব্যবসায় শিক্ষা ইউনিট ৮ ফেব্রুয়ারি এবং বিজ্ঞান ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষা নেওয়া হয় ১৫ ফেব্রুয়ারি।
শিশু জন্মের সময় ৩০০টি হাড় থাকে পরে ২০৬টি, তাহলে বাকি ৯৪টি হাড় কোথায় যায়?
এ বিষয়ে জানতে চাইলে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অনলাইন ভর্তি কমিটির নতুন আহবায়ক তথ্য-প্রযুক্তি ইনস্টিটিউটের অধ্যাপক ড. মো. শরিফুল ইসলাম গণমাধ্যমকে বলেন, ‘আগামী মাসের শুরুতে কেন্দ্রীয় ভর্তি কমিটির সভায় সবকিছু চূড়ান্ত হবে। এইচএসসি পরীক্ষার ফল প্রকাশের পর শুরু হবে আবেদন প্রক্রিয়া। ডিসেম্বরের মধ্যে ভর্তি প্রক্রিয়া শেষ করার পরিকল্পনা আছে আমাদের।’
সূত্র: দ্যা ডেইলি ক্যাম্পাস
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।