আন্তর্জাতিক ডেস্ক : দুবাইয়ে বিশ্বের সবচেয়ে বড় বিমানবন্দর নির্মিত হচ্ছে। এটি হবে মূলত দুবাই ওয়ার্ল্ড সেন্টার (ডিডব্লিউসি) নামে পরিচিত আল মাকতুম আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের পূর্ণাঙ্গ রূপ। দুবাই শহরের কেন্দ্রস্থল থেকে প্রায় ২০ মাইল দক্ষিণ-পশ্চিমে বিশাল এলাকাজুড়ে এ বিমানবন্দরের অবস্থান। পরিবেশবান্ধব ও অত্যাধুনিক প্রযুক্তিসমৃদ্ধ এ বিমানবন্দর হবে ভবিষ্যৎ বিশ্বের সর্ববৃহৎ ও ব্যস্ততম।
আল মাকতুম আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর ২০১০ সালের জুনে চালু হয়। ২০১৩ সালের অক্টোবরে উইজ এয়ার এ৩২০ নামে একটি ফ্লাইট বুদাপেস্ট থেকে এখানে অবতরণ করে, যা ছিল প্রথম যাত্রীবাহী ফ্লাইট। ভবিষ্যতে বিমানবন্দরটি যাতে অর্থনীতির অন্যতম প্রধান কেন্দ্র হতে পারে, সেই অনুযায়ী নকশা করা হয়েছে। নির্মাণকাজ শেষ হলে এ বন্দর দিয়ে প্রতিবছর ১৬ কোটির বেশি যাত্রী চলাচল করতে পারবে।
এই সংখ্যা বর্তমান বিশ্বের ব্যস্ততম বিমানবন্দর যুক্তরাষ্ট্রের হার্টসফিল্ড-জ্যাকসন আটলান্টা ইন্টারন্যাশনালের তুলনায় ৬ কোটি ৩০ লাখ এবং দুবাই ইন্টান্যাশনালের চেয়ে ১০ কোটি বেশি। যদিও দুবাই ইন্টারন্যাশনাল যুক্তরাষ্ট্রের বাইরে বিশ্বের সবচেয়ে ব্যস্ততম বিমানবন্দর। একই সময়ে ১ কোটি ২০ লাখ টন মালপত্র বহন করার সুবিধা থাকবে আল মাকতুমে।
বিমানবন্দরটির দেখভালের দায়িত্বে থাকা দুবাই ইন্টারন্যাশনাল বিমানবন্দরের সিইও পল গ্রিফিথস সিএনএনকে বলেন, গ্রাহকদের প্রয়োজনীয়তা মেটাতে আল মাকতুমের সম্প্রসারণ করা হচ্ছে। এ ক্ষেত্রে অগ্রাধিকার পাচ্ছে বিনিয়োগ। বিমানবন্দরটির উন্নয়নে পর্যায়ক্রমে সর্বোচ্চ সক্ষমতা প্রয়োগ করা হবে। গতবছর বিমানবন্দরটির যাত্রী ধারণক্ষমতা ছিল ৮ কোটি ৬৮ লাখ। চলতি বছর তা ৮ কোটি ৮২ লাখ এবং আগামী বছর ৯ কোটি ৩৮ লাখে উন্নীত হবে।
বিমানবন্দরটি দুবাইয়ের ঠিক দক্ষিণে মরুভূমির ১৪৫ বর্গকিলোমিটার এলাকাজুড়ে প্রসারিত ‘দুবাই সাউথ’ নামে একটি সম্পূর্ণ নতুন শহরের কেন্দ্রবিন্দু হবে। আল মাকতুম আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর পূর্ণাঙ্গতা পাবে ২০২৭ সালে।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।