আন্তর্জাতিক ডেস্ক : মা ও সন্তানের সম্পর্ককে স্মৃতি বাঁধার চেষ্টা। এবার মাতৃদুগ্ধ দিয়ে গহনা তৈরির উদ্যোগ নিলেন এক বিদেশিনী। তাঁর এই গয়না রীতিমতো হু হু করে বিক্রি হচ্ছে। আর সেখান থেকে ব্য়পক মুনাফাও লাভ করছেন তিনি। জানা গিয়েছে, ওই ব্যবসায়ীর নাম সোফিয়া। তাঁর স্বামী অ্যাডাম রিয়াদের সঙ্গে তিনি এই ব্যবসাটি শুরু করেছিলেন। বিষয়টি ঠিক কী? কীভাবে এই জুয়েলারি তৈরি হয়? জেনেন নিন বিস্তারিত তথ্য।
মাতৃদুগ্ধ দিয়ে তৈরি হচ্ছে গহনা! চমকে উঠলেও এটাই সত্যি। এই জুয়েলারি বিক্রেতা এখন ১৫ কোটির ব্যবসা চালাচ্ছেন। ব্রেস্ট মিল্ক জুয়েলারির ভাবনাটি লন্ডনের এক বাসিন্দার। তিনি নিজেও তিন সন্তানের মা, নাম সাফিদা রিয়াদ। ২০১৯ সালে সোফিয়া এবং তাঁর স্বামী অ্যাডাম রিয়াদ ম্যাজেন্টা এই জুয়েলারির ব্যবসা শুরু করে। জানা গিয়েছে, প্রথমে তাঁরা পেয়েছিলেন ৪০০০টি অর্ডার। এরপর ধীরে ধীরে তাঁদের এই ব্যবসা ফুলে ফেঁপে ওঠে। ২০২৩ সালের মধ্যে তাঁরা ১৫ কোটি টাকা মুনাফার আশা করছেন। সোফিয়ার কোম্পানির নাম ম্যাজেন্টা ফ্লাওয়ার। জানা গিয়েছে, এক্ষেত্রে বুকের দুধ থেকে হার, কানের দুল এবং আংটি তৈরি করা যেতে পারে। এক একটি গয়না তৈরি করতে প্রয়োজন হচ্ছে ৩০ মিলিলিটার দুধের।
সাফিয়া বলেন, “এখনও মাতৃদুগ্ধ পান করানো নিয়ে হাজার একটা বিষয় প্রচলিত রয়েছে। প্রকাশ্যে অনেক জায়গায় মায়েরা সন্তানদের দুধ পান করাতে পারে না। এখনও এই নিয়ে রাখ রাখ ঢাক ঢাক বিষয়টি রয়েছে। কিন্তু, আমরা নতুনভাবে ভাবনা শুরু করেছিলাম। মা এবং সন্তানদের মধ্যে যে সুন্দর সম্পর্ক রয়েছে , সেই ‘বন্ড’ তুলে ধরে এই গয়নাগুলি। জানা গিয়েছে, এক্ষেত্রে একটি বিশেষ প্রযুক্তি ব্যবহার করে থাকেন সাফিয়া।
এক্ষেত্রে ডিহাইড্রেটিং পদ্ধতি ব্যবহার করেন সাফিয়া, যাতে তাঁর গয়না বছরের পর বছর অটুট থাকে। ডিহাইড্রেশনের মাধ্যমে জলীয় উপাদান কমানোর পরে তাতে মেশানো হয় বিশেষ ধরনের এক উপাদান। সাফিয়া আরও বলেন, “আমাদের অনেক গ্রাহকরাই আক্ষেপ করেন তাঁদের সন্তানরা বড় হয়ে গিয়েছে। তাই দুধ পান করানোর বিষয়টিও আর নেই। কিন্তু, মায়েরা যাতে দুধ পান করানোর চ্যালেঞ্জগুলি কখনও ভুলে না যান সেজন্য এই জুয়েলারিগুলি কাজে আসবে। তাঁরা এর মাধ্যমে স্মৃতি গচ্ছিত রাখতে পারে।”
মাতৃদুগ্ধ দিয়ে বিভিন্ন ধরনের নেকলেস, কানের দুল, আংটি তৈরি করা যাচ্ছে। সোফিয়া প্রথমে বুঝতে পারেনি তাঁর এই জুয়েলারির ভাবনা এত জনপ্রিয় হবে। তাঁর ভাবনা ছিল মা এবং সন্তানের সম্পর্কের একটি মজবুত স্মৃতি তৈরি করা। কিন্তু, তা ধীরে ধীরে গোটা বিশ্বে জনপ্রিয় হয়ে উঠছে। জনপ্রিয়তার পাশাপাশি বিভিন্ন মহলে তাঁর এই উদ্যোগ সমাদৃতও হয়েছে।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।