জুমবাংলা ডেস্ক : মিডিয়ায় প্রচার, ভোক্তা সংরক্ষণ অধিদপ্তরের অভিযান আর আতঙ্কে ডাব কেনা কমিয়ে দিয়েছে হকাররা। ফলে আড়তেই কমে গেছে ডাবের বিক্রি। পাইকাররা বলছেন, বেশি দামে ডাব বিক্রি করলেই ম্যাজিস্ট্রেট ধরে। তাই প্রতিটি ডাবে এখন গড়ে ৩০ টাকা লোকসান গুনতে হচ্ছে। আর ভোক্তা অধিদপ্তর বলছে, ডাবের পর তাদের টার্গেট ইলিশের বাজার।
বুধবার রাজধানীর ডাবের অন্যতম ও বড় পাইকারি বাজার মিরপুর বেড়িবাঁধে গেলো শুক্রবার যে ডাব প্রতি ১০০ পিস বিক্রি হয়েছ ১৪ হাজার টাকা, এখন সেই ডাব বিক্রি হচ্ছে সর্বোচ্চ ১০ হাজার টাকায়। অর্থাৎ ১৪০ টাকার ডাব পাইকারিতে নেমে এসেছে ১০০ টাকায়।
আর ১০ হাজার টাকার প্রতি ১০০ ডাব এখন বিক্রি হচ্ছে আট হাজার এবং আট হাজার টাকার ১০০ ডাব এখন বিক্রি হচ্ছে ছয় হাজার ১০০ টাকায়। যদিও খুচরায় এতোটা কমেনি ডাবের দাম।
সরবরাহ না বাড়লেও কীভাবে ডাবের দাম কমছে এর উত্তরে পাইকাররা বলছেন, ক্রমাগত মিডিয়ার প্রচার আর ভোক্তা অধিদপ্তরের নিয়মিত অভিযানের ফলেই ডাবের দাম কমাতে বাধ্য হয়েছেন।
ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক এএইচএম সফিকুজ্জামান বলেন, ডাবের বাজার পুরোপুরি নিয়ন্ত্রণে না আসা পর্যন্ত তাদের অভিযান চলবে।
এসময় তিনি বলেন, উৎপাদন খরচ শূন্য হওয়ার পরও শুধু আহরণ খরচে ইলিশের কেজি কেন দেড় হাজার টাকা হবে! তাই ডাবের বাজারের পাশাপাশি ইলিশের বাজারেও অভিযান চালানো হবে।
অসাধু ব্যবসায়ীদের বিরুদ্ধে ভোক্তা অধিদপ্তর আরও কঠোর হবে বলেও হুশিয়ারি দেন এই কর্মকর্তা।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।