লাইফস্টাইল ডেস্ক : এখনকার জীবনযাত্রায় অনেক চাপ। এই চাপে পিষে দেখা দেয় দুশ্চিন্তা,উৎকণ্ঠা। এই সমস্যা থেকে মুক্তি পেতে চাইলে নিয়মিত ব্যায়াম, প্রাণায়াম করা যেতে পারে। একটা সময় পর্যন্ত ভাবা হতো যে দুশ্চিন্তা, উৎকণ্ঠা বা অবসাদ শুধু বড়দের মনেই বাস করে। তবে বাস্তব কিন্তু একেবারে আলাদা। আসলে এখন অনেক কম বয়সেও দেখা দিতে পারে সমস্যা। এমনকী ছোটরাও অবসাদে ভুগছে, এমন উদাহরণ রয়েছে অনেক। তাই সব বয়সের মানুষকেই এই রোগ নিয়ে থাকতে হবে সতর্ক।
বিশেষজ্ঞদের দাবি, এই পরিস্থিতিতে প্রতিটি মানুষকেই হতে হবে সতর্ক। সেক্ষেত্রে কেন এখন বাড়ছে দুশ্চিন্তা, অবসাদের সমস্যা তা অবশ্যই জেনে নিতে হবে। তবেই সমস্যাকে দ্রুত চিহ্নিত করা সহজ হবে।
দুশ্চিন্তা কী?
চিন্তা হওয়া খুবই স্বাভাবিক একটা বিষয়। চিন্তা প্রতিটি মানুষেরই হয়। আর বিশ্বের যত সমস্যার সমাধান, তা এই চিন্তার মাধ্যমেই হয়েছে। কিন্তু সেই চিন্তা যখন নিয়মিত দুশ্চিন্তায় পরিবর্তন হয়, তখন প্রতিটি মানুষকে অবশ্যই সতর্ক হতে হবে। আসলে জীবনে কোনও অনিয়ন্ত্রিত পরিবর্তনের কারণে মানুষ স্ট্রেসের শিকার হন। তাই প্রতিটি মানুষকে অবশ্যই স্ট্রেস নিয়ে হতে হবে সতর্ক। এর থেকে হতে পারে অবসাদও।
কী ভাবে বুঝবেন আপনি ভুগছেন দুশ্চিন্তায়?
দুশ্চিন্তা সবসময় দেখা দিলে নেতিবাচক চিন্তা মাথায় গ্রাস করে। পাশাপাশি কাজ করতেও ভালো লাগে না। এছাড়াও মানসিক ও শরীরিক নানা পরিবর্তন দেখা দিয়ে থাকে। যেমন-
> শরীরে ব্যথা
> বুকে ব্যথা। মনে হতে পারে যে হৃৎপিণ্ড অত্যন্ত দ্রুত দৌড়াচ্ছে।
> সারাদিন ক্লান্তি গ্রাস করে থাকে, এমনকী ঠিক মতো ঘুম হয় না।
> মাথা ব্যথা, চোখে ঝাপসা দেখা, কাঁপুনি দেখা দিতে পারে।
>প্রেশার বেশি থাকতে পারে
>পেশি শক্ত হয়ে যায়।
>ইমিউনিটি দুর্বল থাকা ইত্যাদি।
কাদের সমস্যার আশঙ্কা বেশি?
আসলে কোনও মানুষের জীবনে দেখা দিতেই পারে দুশ্চিন্তা। তবে সেই দুশ্চিন্তা যদি ব্যক্তি জীবনে আঘাত আনলে অবশ্যই সতর্ক হতে হবে। এমনকী অহেতুক উৎকণ্ঠা থেকে হতে পারে অবসাদ। এক্ষেত্রে এই মানুষগুলোর মধ্যে দুশ্চিন্তা বা উৎকণ্ঠার সমস্যা দেখা যায় বেশি-
>বেশি মদ্যপান
>ইন্টারনেট বেশি ব্যবহার
>সোশ্যাল মিডিয়ায় বেশি সময় কাটানো
>পরিবার, অফিস বা সম্পর্কে সমস্যা
>অতিরিক্ত ধূমপান বা মাদকে আসক্তি
>এক্সারসাইজ না করার অভ্যাস ইত্যাদি।
দুশ্চিন্তা দূর করতে যা করবেন
দুশ্চিন্তার সমস্যা যদি সাময়িক হয় তবে এই কয়েকটি উপায়েই দ্রুত সমস্যা কমানো সম্ভব-
> এক্সারসাইজ কমাতে পারে দুশ্চিন্তা। সেক্ষেত্রে দিনে অন্তত ৩০ মিনিট অবশ্যই ব্যায়াম করতে হবে। এক্ষেত্রে সাধারণভাবে হাঁটাও যেতে পারে।
> সারাদিনের শেষে নিজের সম্পর্কে একটু ভাবুন। আজ কী ভুল হল, আগামীকাল কী করলে সমস্যা দূর করা সম্ভব- এই বিষয়গুলো নিয়ে অবশ্যই ভাবতে হবে।
> মানুষের সঙ্গে মিশুন। কথা বলুন। নিজের মত প্রকাশ করুন।
> দুশ্চিন্তা চেপে বসলে পানিপান করুন।
> করতে পারেন মাইন্ডফুলনেস বা প্রাণায়াম।
> বেশি সমস্যা হলে মনোবিদের পরামর্শ নিন। তবেই স্ট্রেস ও অবসাদ থেকে রক্ষা পাওয়া যেতে পারে।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।