আন্তর্জাতিক ডেস্ক : থাইল্যান্ডের শীর্ষ আদালত এক দশকের বেশি আগে ক্ষমতায় থাকাকালীন একটি দুর্নীতির মামলায় সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইংলাক সিনাওয়াত্রাকে মুক্তি দিয়েছেন।
২০১৩ সালে ৬৭ লাখ ডলারের বেশি মূল্যের একটি প্রকল্পে দুর্নীতি হয়েছে বলে ইংলাকের বিরুদ্ধে অভিযোগ আনা হয়েছিল। তিনি ২০১১ সাল থেকে ২০১৪ সালের সামরিক অভ্যত্থানে ক্ষমতাচ্যুত হওয়ার আগ পর্যন্ত থাইল্যান্ড শাসন করেন।
মামলায় আদালতের নয়জন বিচারক সব আসামীকে বেকসুর খালাস দিয়েছেন। আদালতের এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, তারা সেই সময়কার মামলার কোনো যথার্থতা খুঁজে পাননি। কথিত প্রকল্পটি প্রবিধান অনুযায়ী করা হয়েছিল।
ইংলাকের ভাই থাকসিন গত ফেব্রুয়ারিতে প্যারোলে মুক্তি পাওয়ার পর ক্ষমতাধর সিনাওয়াত্রা পরিবারের জন্য এ রায় সর্বশেষ আইনি সাফল্য। এক সামরিক অভ্যুত্থানে থাকসিন ক্ষমতাচ্যুত হন। তিনি দুইবার থাইল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্ব পালন করেন।
জেলে যাওয়া এড়াতে ২০১৭ সাল থেকে বিদেশে রয়েছেন ইংলাক। রায়ের সময় তিনি আদালতে উপস্থিত ছিলেন না। কিন্তু তার আইনজীবী প্রতিনিধিত্ব করেছেন। থাইল্যান্ডের দুর্নীতি দমন কমিশন মূল অভিযোগ দায়ের করেছিল। সংস্থাটির কাছে আপিল করার জন্য ৩০ দিন সময় আছে।
আসামীদের মধ্যে একজন নিওয়াথামরং বুনসোংপাইসান। তিনি থাইল্যান্ডের উপ-প্রধানমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছিলেন। তিনি সাংবাদিকদের বলেন, তারা সকলেই মামলা খারিজ করার জন্য আদালতের দয়া পেয়েছেন।
২০১১ থেকে ২০১৪ সাল পর্যন্ত থাইল্যান্ডের প্রথম নারী প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্ব পালন করেছেন ইংলাক। পরে একটি অভ্যুত্থানে তার সরকারের পতন হয়।
দুর্দান্ত ক্যামেরার সেরা স্মার্টফোন, যার ছবি দেখলে আপনি চমকে যাবেন
২০১৭ সালে তার বিরুদ্ধে একটি মামলা দেওয়া হয়। এর ফলে তার অনুপস্থিতিতে তাকে পাঁচ বছরের কারাদণ্ড দেন আদালত। তার বিরুদ্ধে অভিযোগ ছিল, ২০১১ সালের নির্বাচনের সময় তিনি কৃষকদের ধানে ভর্তুকি দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়ে অবহেলা করেছেন।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।