আন্তর্জাতিক ডেস্ক : গাজা যুদ্ধের প্রতিবাদে ওয়াশিংটন ডিসিতে ইসরাইলি দূতাবাসের সামনে নিজের গায়ে আগুন দেওয়া সেই মার্কিন বিমান সেনার মৃত্যু হয়েছে। সোমবার হাসপাতালে চিকিৎসাধীন তার মৃত্যু হয়েছে বলে মার্কিন সংবাদমাধ্যমগুলো জানিয়েছে। এর আগে রোববার স্থানীয় সময় দুপুরে নিজের গায়ে আগুন দিয়েছিলেন এ মার্কিন সেনা।
বার্তা সংস্থা এএফপির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, কর্মকর্তারা বলছেন— গাজায় ইসরাইলি হামলার প্রতিবাদে নিজের গায়ে আগুন দিয়েছিলেন তিনি। মার্কিন গণমাধ্যমের বরাত দিয়ে এএফপি আরও জানায়, লাইভ ভিডিও স্ট্রিমিংয়ে এসে ওই ব্যক্তি নিজের গায়ে আগুন দেওয়ার আগে ‘ফ্রি প্যালেস্টাইন’ এবং ‘গণহত্যার সঙ্গে জড়িত হবেন না’ বলে জানান।
ফায়ার ডিপার্টমেন্টের কর্মকর্তারা এ বিষয়ে বলেন, ঘটনাস্থলে আসার পর তারা দেখেন সিক্রেট সার্ভিসের অফিসাররা ইতোমধ্যে ওই বিমান সেনার শরীরের আগুন নিভিয়ে ফেলেছেন। পরবর্তী সময়ে তাকে ‘গুরুতর আহত’ অবস্থায় হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়।
বিমানবাহিনীর একজন মুখপাত্র জানান, ওই ব্যক্তি বিমানবাহিনীর একজন সক্রিয় সদস্য, তবে এ বিষয়ে বিস্তারিত কিছু জানাননি তিনি।
এয়ার ফোর্সের এক মুখপাত্র এএফপিকে নিশ্চিত করেছেন, তিনি এয়ার ফোর্সের একজন সক্রিয় সদস্য।
টেক্সাসের সান অ্যান্টোনিওর বাসিন্দা ২৫ বছর বয়সি ওই ব্যক্তির নাম অ্যারন বুশনেল বলে জানিয়েছে পুলিশ
এদিকে এক বিবৃতিতে ইসরাইলের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে জানানো হয়েছে যে, আত্মহত্যার চেষ্টা করা ওই ব্যক্তির সাথে দূতাবাসের কোনো কর্মীর পরিচয় বা সম্পর্ক নেই।
ঘটনার সময় দূতাবাসের কাছেই একটি গাড়ি রাখা ছিল। গাড়িটিতে বোমা থাকতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছিল।
পরে বোমা নিষ্ক্রিয়কারী ইউনিট ঘটনাস্থলে গিয়ে গাড়িটিতে তল্লাশি চালায়। যদিও গাড়িতে বিপজ্জনক কোনো কিছুই পাওয়া যায়নি।
ইসরাইলি দূতাবাসের একজন মুখপাত্র মার্কিন গণমাধ্যম নিউইয়র্ক টাইমসকে নিশ্চিত করেছেন যে, এ ঘটনায় তাদের কোনো কর্মী আহত হয়নি। তবে ঘটনার পর দূতাবাস এলাকার নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছে।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।