নিজস্ব প্রতিবেদক : অর্থনীতির এই টালমাটাল পরিস্থিতিতে বলতে গেলে সবার আয়েই ভাটার টান। এই সাময়িক সংকট কাটাতে আপনার সঙ্গী হতে পারে একটি ক্রেডিট কার্ড। এর মাধ্যমে বর্তমান সময়ের অনেক অতিপ্রয়োজনীয় ব্যয় মিটিয়ে পরিশোধ করতে পারবেন দীর্ঘ সময়ে। এতে আয় কমে গেলেও আপনার জীবনযাত্রার মান অনেকটাই অপরিবর্তনীয় রাখতে পারবেন।
এক্ষেত্রে সেরা সমাধান হতে পারে ডাচ্-বাংলা ব্যাংকের ক্রেডিট কার্ড। সর্বনিম্ন সুদহারে ২০ লাখ টাকা পর্যন্ত ক্রেডিট লিমিট দিচ্ছে ব্যাংকটি। সর্বোচ্চ নিরাপত্তা বৈশিষ্টসম্পন্ন এই কার্ডটি চার্যমুক্ত। অর্থাৎ বার্ষিক চার্য ছাড়া অন্য কোন চার্য নেই। তবে প্রথম বছর বার্ষিক চার্যও দিতে হবে না। দ্বিতীয় বছরে রয়েছে এই চার্য মওকুফের সুযোগ। সারাবছরই থাকছে ডিসকাউন্ট ও অফারের সমাহার।
ডাচ্-বাংলা ব্যাংক লিমিটেড বা ডিবিবিএল বাংলাদেশ ও নেদারল্যান্ডের যৌথ উদ্যোগে প্রতিষ্ঠিত। ডিবিবিএল আনুষ্ঠানিক যাত্রা শুরু করে ১৯৯৬ সালের ৩ জুন। এটি বাংলাদেশে প্রথম অটোমেটেড ব্যাংকিং ব্যবস্থা চালু করে। এছাড়াও সারা দেশের দুর্গম এলাকাগুলোতেও ডাচ্-বাংলার সেবা পাওয়া যায়।
Dutch-Bangla Bank ভিসা ইএমভি ক্রেডিট কার্ড চালু করে ২০০৮ সালের নভেম্বর থেকে এবং মাস্টারকার্ড ইএমভি ক্রেডিট কার্ড চালু করে ২০১০ সালের এপ্রিল থেকে। পরবর্তীতে ধীরে ধীরে ভিসা প্লাটিনাম, ভিসা সিগনেচার, মাস্টারকার্ড টাইটানিয়াম এবং মাস্টারকার্ড ওয়ার্ল্ড ক্রেডিট কার্ড চালু হয়েছে। প্রতিটি কার্ডে মাইক্রোপ্রসেসর চিপ দ্বারা অত্যাধুনিক নিরাপত্তা নিশ্চিত করা হয়েছে।
ডাচ্-বাংলা ব্যাংকের ক্রেডিট কার্ড দেশে-বিদেশের ৪ কোটির বেশি মার্চেন্ট পয়েন্ট এবং ২০ লাখের বেশি এটিএম-এ গৃহীত হয়। প্রতিটি কার্ডের ভার্চুয়াল সংস্করণ রয়েছে যা NexusPay মোবাইল অ্যাপ্লিকেশনের মাধ্যমে ব্যবহার করা যায়। এর মাধ্যমে নিরাপদে কার্ডবিহীন লেনদেন করা যায়।
ভিসা সিগনেচার এবং মাস্টারকার্ড ওয়ার্ল্ডের কিছু বিশেষ সুবিধা রয়েছে; যেমন, শীর্ষ হাসপাতালে বার্ষিক স্বাস্থ্য পরীক্ষা, ঢাকা, চট্টগ্রাম এবং সিলেট আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে পিক অ্যান্ড ড্রপ সুবিধা, বিশ্বের ১৩শ বিমানবন্দরে লাউঞ্জ সুবিধা, বিশ্বের প্রায় সব পর্যটন শহরে হোটেল ও রেস্তোরাঁয় ডিসকাউন্ট এবং ডাচ্-বাংলা ব্যাংকের নির্বাচিত কয়েকটি শাখার লাউঞ্জে অ্যাক্সেস এবং আপনার প্রস্থান এবং আগমনের সময় বিমানবন্দরে শুভেচ্ছা পরিষেবা।
ডাচ্-বাংলা ব্যাংকের প্রতিটি ক্রেডিট কার্ডে রয়েছে ৫০ দিনের সুদমুক্ত সময়কাল, ফ্রিতে নগদ উত্তোলন সুবিধা, তহবিল স্থানান্তরের সুবিধা এবং কোন লেট পেমেন্ট ফি নেই।
ডাচ্-বাংলা ব্যাংকের ক্রেডিট কার্ড সেবা গ্রহণ করতে চাইলে আপনার ৩ কপি পাসপোর্ট সাইজের ছবি, নমিনির দুই কপি পাসপোর্ট সাইজ ছবি, আপনার ও নমিনির ভোটার আইডি কার্ড, পাসপোর্ট বা ড্রাইভিং লাইসেন্সের ফটোকপি, আপনার বাসার বিদ্যুৎ, গ্যাস, পানি বা টেলিফোন বিলের কপি, টিন সার্টিফিকেট, বিগত ছয় মাসের ব্যাংক লেনদেনের স্টেটম্যান্ট, চাকরিজীবী হলে মূল বেতনের সনদ, ব্যবসায়ি হলে ট্রেড লাইসেন্স সহ ডাচ্-বাংলা ব্যাংকের নিকটস্ত যেকোন শাখায় যোগাযোগ করতে পারেন। ব্যাংক প্রয়োজন মনে করলে আরো কিছু ডকুমেন্ট প্রয়োজন হতে পারে।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।