জুমবাংলা ডেস্ক : ট্রেন আসতেছিল, ড্রাইভার খেয়াল করে নাই। সড়কের রেল ক্রসিংয়ের সিগন্যালও ছিল না। রেল লাইনে ওঠার সঙ্গে ট্রেন এসে মাইক্রোবাসকে মেরে দেয়। তারপর আমরা যারা পিছনে বসেছিলাম, যেখানে ট্রেন মারছে সেখানেই পড়ে গেছি। মাইক্রোবাসটাকে ট্রেন সামনের দিকে ধাক্কিয়ে প্রায় এক কিলোমিটার নিয়ে যায়। এমন শ্বাসরুদ্ধকর বর্ণনা দিচ্ছিলেন, মিরসরাইয়ে ট্রেন ও মাইক্রোবাস দুর্ঘটনায় বেঁচে যাওয়া যাত্রী জুনায়েদ কায়সার ইমন (২২)। তিনি চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের সার্জারি ওয়ার্ডে চিকিৎসাধীন আছেন।
ইমন দাবি করেন রেল লাইনে কোনো ব্যারিকেড ছিল না, ছিল না কোনো বাঁশ। গেটকিপারও ছিলেন না দাবি করে দায়িত্ব অবহেলার অভিযোগে গেটকিপারের বিচারও চাইলেন তিনি। ওই মাইক্রোবাসে মোট ১৮ জন ছিলেন বলে জানান ইমন। তিনি জানান, ওই সময় কোনো লোকজনই ছিল না। দায়িত্বে অবহেলার কারণে এই দুর্ঘটনা ঘটেছে, আমার বন্ধুরা চলে গেছে, স্যারও চলে গেছে। আমি বিচার চাই, গেটম্যানের বিচার চাই।
এ দুর্ঘটনায় নিমিষেই ঝরে গেছে ১১ প্রাণ। পূর্ব খৈয়াছড়া গ্রামের ঝরনা থেকে কিছুটা দূরেই ছিল রেলের লেভেলক্রসিং। রেললাইনে ট্রেন আসছিল কিনা তা জানা ছিল না তাঁদের কারোই। হাটহাজারী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. শহিদুল আলম বলেন, আর এ-জে কোচিং সেন্টারের শিক্ষক ও ছাত্ররা সেখানে ঘুরতে গিয়েছিলেন। গাড়িতে কোচিং সেন্টারের ৪ জন শিক্ষক ছিল। বাকিরা শিক্ষার্থী।
মাইক্রোবাস চালকের ভুলে এ দুর্ঘটনা ঘটেছে বলে জানিয়েছেন রেলওয়ের পূর্বাঞ্চলের মহাব্যবস্থাপক (জিএম) মো. জাহাঙ্গীর হোসেন। তিনি বলেন, আমাদের রেলওয়ের নিযুক্ত গেটম্যানও ছিল সেখানে। এ ঘটনার পরপর গেটকিপারের সঙ্গে কথা বলেছি। গেটকিপার বলেছে, মাইক্রোবাসের চালক গেটবারটি জোর করে তুলে রেললাইনে ঢুকে পড়ে। এরপর মহানগর প্রভাতী ট্রেন মাইক্রোবাসটিকে ধাক্কা দেয়।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।