লাইফস্টাইল ডেস্ক : জীবনযাত্রার ব্যয় যেভাবে দিন দিন বাড়ছে, এমন অবস্থায় অনেকেই বাদ দিয়েছেন সোনা কিংবা সোনার গহনা কেনার অভ্যাস। কিন্তু আপনি সোনা কিনেই আয় করতে পারেন প্রায় ১০ লাখ টাকা।
সোমবার (২৭ ফেব্রুয়ারি) থেকে সোনার নতুন দাম কার্যকর হয়েছে। বাংলাদেশ জুয়েলার্স সমিতি (বাজুস) জানিয়েছে, ২২ ক্যারেটের প্রতি ভরির দাম ৯১ হাজার ৯৫ টাকা কার্যকর হয়েছে।
এ ছাড়া ২১ ক্যারেটের ভরি সোনার দাম পড়বে ৮৭ হাজার ১৩ টাকা, ১৮ ক্যারেটের ভরি ৭৪ হাজার ৫৯১ টাকা এবং সনাতন পদ্ধতির প্রতি ভরির দাম হবে ৬২ হাজার ১৬৯ টাকা।
কিন্তু এ বর্তমান মূল্যে আপনি যদি সোনা কিনতে না চান, তবে আপনি একটু ভিন্ন উপায়ে সৎপথেই সোনা কিনে লাভবান হতে পারেন রাতারাতি।
কী বিশ্বাস হচ্ছে না? তবে আজকের আয়োজনে জানুন কোন উপায়ে সোনা কিনে আপনি ১০ লাখ টাকা আয় করতে পারেন অনায়াসেই।
বাংলাদেশের পাশের একটি দেশ ভুটান। এ দেশে যেতে আপনার ভিসার প্রয়োজন নেই। পাসপোর্ট থাকলেই আপনি প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের এ দেশটি ঘুরে আসতে পারেন। সেই সঙ্গে আয় করতে পারেন ১০ লাখ টাকাও।
শুক্রবার (২৪ ফেব্রুয়ারি) সকালে ভুটান সরকার এক অসাধারণ সিদ্ধান্ত নিয়েছেন তাদের দেশে পর্যটনশিল্পের উন্নয়নের জন্য। আর সেটি হলো ভুটানের ফুন্টশোলিং বা থিম্পুতে ট্যাক্স-ফ্রি রেটে সোনা কিনতে পারবেন পর্যটকরা।
এ সিদ্ধান্তে ভুটানের ফায়দার চেয়ে বাংলাদেশিদেরই ফায়দা বেশি। কারণ বাংলাদেশে বর্তমান সোনার মূল্য আর ভুটানের সোনার মূল্য টাকায় হিসাব করলে দেখা যায়, ভুটানে ভরিপ্রতি সোনার দাম অনেক কম হয়।
ভুটান সরকারের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, আবার সে সোনা ডিউটি-ফ্রি বা শুল্কমুক্ত হয়েছে। তাই ভুটান থেকে বাংলাদেশে সহজেই কম দামে সোনা নিয়ে আসতে পারছেন আপনি।
জানিয়ে রাখি, প্রত্যেক বাংলাদেশি নাগরিক বাংলাদেশে ২০ ভরি পর্যন্ত বিনা খরচায় সোনা নিয়ে আসতে পারবেন। এ হিসেবে বাংলাদেশিরা প্রতি ১০ গ্রামে ৩১ হাজার টাকার মতো কম দামে সোনা কিনতে পারবেন। কীভাবে তার বিস্তারিত হিসাব জানুন-
ভুটানের মুদ্রার নাম ন্যুলট্রাম। বাংলাদেশি ১ টাকা সমান ভুটানের ১.২৯ গুলট্রিম। যেহেতু বিভিন্ন দেশে সোনার বাজারের দাম ভিন্ন হয়, তাই ভুটানে সোনা কিনে লাভ করা যাবে।
১১ দশমিক ৬৬ গ্রামে এক ভরি ধরা হয়। এ হিসেবে একই মান ও পরিমাণের ২৪ ক্যারেটের ১০ গ্রাম সোনার বাংলাদেশের বাজারমূল্য প্রায় ৮৬ হাজার টাকা।
এই সোনারই ভারতের বাজারমূল্য ৫৭ হাজার ৪৯০ রুপি এবং ভুটানের বাজার মূল্য ৪০ হাজার ২৮৬ ভুটানিজ ন্যুলট্রাম।
এখন বাংলাদেশ আর ভুটানের মুদ্রার মান সমান না হওয়ায় বাংলাদেশিদের লাভ হবে ভরিপ্রতি প্রায় ৫০ হাজার টাকা। আর ২০ ভরিতে এ লাভের পরিমাণ দাঁড়াবে প্রায় ১০ লাখের মতো।
তবে ভুটান সরকার জানিয়েছে, ট্যাক্স ফি সোনা কেনার এ সুযোগ নিতে পর্যটকদের অন্তত একটি রাত ভুটানের ট্যুরিজম কাউন্সিলের অনুমোদিত কোনও হোটেলে কাটাতে হবে এবং সরকারের নির্ধারিত হারে এসডিএফ (সাসটেইনেবেল ডেভেলপমেন্ট ফি) দিতে হবে।
প্রতি ভারতীয়দের জন্য এ চার্জ দৈনিক ১২০০ রুপি। তবে ভারতীয় ছাড়া অন্য সব বিদেশির জন্য এ চার্জ ২০০ মার্কিন ডলার। অর্থাৎ বাংলাদেশিরা এক রাত ভুটানে থেকে ২০০ মার্কিন ডলার চার্জ দিয়েই ২০ ভরি সোনা নিয়ে বাংলাদেশে আসতে পারবেন।
ভুটান সরকারকে চার্জ দেয়ার পরও এ উপায়ে ভুটান থেকে ২০ ভরি সোনা কিনে বাংলাদেশে আসতে আপনার প্রায় ১০ লাখ টাকা কম লাগবে। সেই সোনা এবার বাংলাদেশের সোনার দামে বিক্রি করলেই মাস শেষে আপনার ১০ লাখ টাকা আয়ের সুযোগ রয়েছে। তাই দেরি না করে এ উপায়ে সোনা কিনুন আর রাতারাতি ১০ লাখ টাকা আয় করুন সহজেই।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।