বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি ডেস্ক : বিজ্ঞানীরা দীর্ঘদিন ধরেই ভাবছেন, পৃথিবীর একেবারে কেন্দ্রে কী আছে? এটা নিয়ে করা সর্বশেষ গবেষণা থেকে কিছু তথ্য পাওয়া গেছে। সেটা হলো, আমাদের গ্রহের একেবারে কেন্দ্রে রয়েছে লোহার একটি স্বতন্ত্র বল। বলটি ৪০০ মাইল প্রশস্থ।
নেচার কমিউনিকেশনস জার্নালে মঙ্গলবার প্রকাশিত একটি নতুন সমীক্ষা অনুসারে, পৃথিবীর ভূত্বকের নীচে যে শক্ত এবং গলিত-তরল স্তর আছে, তার বাইরেও একটি কঠিন ধাতব স্তর আছে। যেটি আসলে একটি লুকানো স্তর।
বিস্ময়কর এই আবিষ্কার থেকে জানা যায়, পৃথিবীতে চারটি স্তরের পরিবর্তে পাঁচটি প্রধান স্তর আছে। এ ছাড়া আমাদের গ্রহ সম্পর্কে কিছু প্রাচীন রহস্য এবং কীভাবে এটি গঠিত হয়েছিল তা জানার জন্য বা বের করার জন্য এই আবিষ্কারটি অনেক সাহায্য করবে বলে গবেষকরা মনে করছেন।
একটি সংবাদ প্রতিবেদন অনুসারে, প্রায় ২০ বছর আগেই ভূ-বিজ্ঞানীরা প্রথম জানিয়েছিল পৃথিবীর মূল অংশে একটি অতিরিক্ত এবং অদৃশ্য স্তর থাকতে পারে। বর্তমানে ভূমিকম্পের সিসমিক তরঙ্গ পরিমাপ করে নতুন তথ্য সংগ্রহ করেছে বিজ্ঞানীরা এবং এই সংগ্রহীত তথ্য ব্যবহার করেই নতুন কেন্দ্রটি অবশেষে সনাক্ত করেছেন গবেষকরা। নতুন গবেষণায় এমনটাই বলা হয়েছে।
সিসিমিক তরঙ্গ হলো এক ধরনের কম্পন যা, পৃথিবীর পৃষ্ঠতলের সঙ্গে সঙ্গে পৃথিবীর একদম ভেতরের স্তর পর্যন্তু ভ্রমন করে। যার ফলে দেখা দেয়, ভূমিকম্প ও আগ্নেয়গিরি অগ্ন্যুৎপাত।
ক্যানবেরার অস্ট্রেলিয়ান ন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির রিসার্চ স্কুল অফ আর্থ সায়েন্সেস এর একজন সিসমোলজিস্ট এবং পোস্টডক্টরাল ফেলো এবং এই গবেষণার সহ-লেখক ড. থান-সন ফাম জানান, এই গবেষণায় প্রথমবারের মতো দেখা গেছে, সিসিমিক তরঙ্গ শক্তিশালী ভূমিকম্প থেকে উপন্ন হয়ে পৃথিবীর এক পাশ থেকে অন্য পাশে গুলি বা বুলেটের মতো পাঁচবার পর্যন্ত সামনে পেছনে ভ্রমণ করে।
এই স্তরটি পূর্বে বিশদভাবে পর্যবেক্ষণ করা হয়নি। এই বিষয়ে ফাম বলেন, এর গঠন ওই স্তরের ওপরে যা রয়েছে তার অনুরূপ, এ জন্যই বিশদভাবে পর্যবেক্ষণ করা হয়নি। গবেষণার প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, নতুন শনাক্ত করা কেন্দ্র দুটিই সম্ভবত একটি ৪০০ মাইল প্রশস্ত (৬৪৪ কিলোমিটার প্রশস্ত) ধাতুর বল এবং এর বাইরের অংশ লোহা-নিকেলের খাদ দিয়ে তৈরি, সঙ্গে রয়েছে অল্প পরিমাণে অন্যান্য উপাদান।
সূত্র: সিএনএন
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।