লাইফস্টাইল ডেস্ক : নিরামিষ বা আমিষ সব ধরনের রান্নাতেই ব্যবহার করা হয় গরম মসলা। ভারতীয় রন্ধনশিল্পী পরিতোষ কাপুরের মতে, “খাবারের স্বাদ নির্ভর করে মসলার সুগন্ধের ওপর যা রান্নার স্বাদ বাড়ায়।”
টাইমসঅফইন্ডিয়া ডটকম’য়ে প্রকাশিত প্রতিবেদনে তিনি আরও বলেন, “বর্তমানে হাতের কাছেই রেডিমেইড গরম মসলা পাওয়া যায়। তবে বাড়িতে গরম মসলা তৈরি করলে বেশি কার্যকর হয়।”
গরম মসলা অল্প পরিমাণে তৈরি করে মুখবন্ধ পাত্রে সংরক্ষণ করলে স্বাদ ও ঘ্রাণ অবিকৃত থাকবে- জানান তিনি।
কতটুকু মসলা গ্রহণ করা দরকার
স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞদের মতে, চারজনের জন্য তৈরি করা খাবারে এক টেবিল-চামচ বা সম-পরিমাণ গরম মসলা ব্যবহার করতে হয় এবং বেশি মানুষের জন্য খাবার তৈরিতে এই অনুপাত অনুসরণ করতে হয়।
গরম মসলায় স্বাস্থ্য উপকারিতা
ফাইটোনিউট্রিয়েন্ট ও অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট সমৃদ্ধ গরম মসলা যকৃতের গ্যাস্ট্রিরিক রস নিঃসরণ করে হজমে সহায়তা করে এবং বিপাক বাড়ায়।
এলাচ, দারুচিনি প্রাকৃতিকভাবেই মুখের দুর্গন্ধ দূর করে। এছাড়াও এটা প্রদাহ ও ত্বকের রোগ থেকে রক্ষা পেতে সাহায্য করে।
বাড়িতে গরম মসলা তৈরির পন্থা
ধাপ-১
উপাদান: এক টেবিল-চামচ কাঁচা এলাচের দানা, এক টেবিল-চামচ কালো এলাচের দানা, দুই টেবিল-চামচ ধনিয়া, এক চা-চামচ জিরা, এক টেবিল-চামচ মৌরি বীজ, এক টেবিল-চামচ কালো গোলমরিচ, এক চা-চামচ সরিষার বীজ, আধা চা-চামচ আস্ত লবঙ্গ, দুটা শুকনা মরিচ এবং দুই ইঞ্চি পরিমাণ দারুচিনি।
ধাপ-২: ধাতব পাত্রে এসব উপাদান নিয়ে মাঝারি আঁচে তাপ দিন। তিন চার মিনিট তাপ দেওয়ার পর ঠাণ্ডা হতে এক মিনিট সময় দিন।
ধাপ-৩: সব উপাদান ভালোভাবে গুঁড়া করে নিন। ঠাণ্ডা হয়ে এলে বায়ুরোধী একটি পাত্রে সংরক্ষণ করুন।
ধাপ-৪: অল্প পরিমাণে গরম মসলা তৈরি করতে হবে। ভালো স্বাদ ও ঘ্রাণের জন্য এক সপ্তাহের মধ্যেই শেষ করে ফেলতে হবে।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।