লাইফস্টাইল ডেস্ক : পাতুরি হোক কিংবা মালাইকারি— শীতের আমেজ গায়ে মেখে চিংড়ি খাওয়ার মজাই আলাদা। শীতকাল মানেই বিয়েবাড়ির মরসুম। বিয়েবাড়ির ভোজে পাঁঠার মাংস, চিকেন রেজালা, ফিশফ্রাইয়ের পাশাপাশি চিংড়িও থাকে। তা ছাড়া ছুটির দিনে বাড়িতেও চিংড়ির নানা পদ রান্না হয়। সামুদ্রিক খাবারের প্রতি যাঁদের অগাধ টান, চিংড়ি তাঁদের অত্যন্ত পছন্দের একটি খাবার। চিংড়ি পেলে চিংড়িপ্রেমীরা বাকি সব কিছু ভুলে যান। তবে একটি বিষয় মাথায় রাখা জরুরি। চিংড়ির সঙ্গে কিছু খাবার না খাওয়াই ভাল। তা হলে আবার সমস্যা হতে পারে।
দুগ্ধজাত খাবার
ক্রিম, দুধ দিয়ে চিংড়ির অনেক পদই রান্না করা হয়। খেতে অনবদ্য হলেও দুগ্ধজাত খাবারের সঙ্গে চিংড়ির এই যুগলবন্দি এড়িয়ে চলাই ভাল। বিশেষ করে অ্যালার্জির সমস্যা থাকলে, বাড়তি সতর্কতা প্রয়োজন। এর কারণ, দুগ্ধজাত খাবারে ক্যালশিয়াম আছে। অন্য দিকে, চিংড়িতে রয়েছে প্রোটিন।,ক্যালশিয়াম এবং প্রোটিন একসঙ্গে শরীরে প্রবেশ করলে মুশকিল হতে পারে।
সাইট্রাস জাতীয় ফল
চিংড়ির কিছু পদে লেবুর রস ব্যবহার করা হয়। পাতিলেবু সাইট্রাস জাতীয় ফল। পরিমাণে অল্প হলে ঠিক আছে, কিন্তু পরিমাণে বেশি হলে পেটের সমস্যা হতে পারে। লেবু ছাড়াও অন্য কোনও টকজাতীয় ফলের সঙ্গে চিংড়ি খেলে অম্বল হওয়ার ঝুঁকি আছে।
স্টার্চজাতীয় খাবার
পাউরুটি, পাস্তা, ভাতে স্টার্চের পরিমাণ অনেক বেশি। স্টার্চের সঙ্গে চিংড়ির যুগলবন্দি একেবারেই স্বাস্থ্যকর নয়। দুটো একসঙ্গে খেলে গ্যাস-অম্বলের সমস্যা বা হজমের গোলমাল হতে পারে। গ্যাস-অম্বলের প্রবণতা থাকলে খাওয়াদাওয়ায় একটু নজর দেওয়া জরুরি। বিশেষ করে চিংড়ি খাওয়ার ব্যাপারে সচেতনা থাকা প্রয়োজন।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।