লাইফস্টাইল ডেস্ক : শরীরে বাড়তি ওজন থাকলে তা কমিয়ে ফেলাটাই বুদ্ধিমানের কাজ। কারণ এই বাড়তি ওজনই একাধিক জটিল রোগ ডেকে আনে। তাই বিশেষজ্ঞরা বারবার ওজন কমিয়ে নেওয়ার পরামর্শ দিয়ে থাকেন।
তবে ওজন কমাতে বললেই তো আর রাতারাতি কমে যাবে না। বরং মেদের বহর কমাতে চাইলে ডায়েট ও জীবনযাত্রায় বদল আনাটা খুবই জরুরি। তাহলেই একমাত্র ওজন কমলেও কমতে পারে।
কিন্তু অনেক সময় ডায়েট ও শরীরচর্চার যুগলবন্দিতেও ওজনের কাঁটা নিম্নমুখী হতে চায় না। এ রকম পরিস্থিতিতে মেদ ঝরাতে প্রয়োজন পড়ে কিছু ঘরোয়া টোটকার।
বিশেষজ্ঞদের একাংশের মতে, সকালে খালি পেটে রসুন চিবিয়ে খেলেই ওজন কমতে পারে রকেটের গতিতে। এমনকি রসুন খেলে ভুঁড়ির বহর কমতেও সময় লাগবে না। তাই আর দেরি না করে ওজন কমাতে রসুনের গুরুত্ব সম্পর্কে চটজলদি জেনে নিন।
কীভাবে ওজন কমাতে সাহায্য করে রসুন?
প্রতিদিন সকালে এক থেকে দুই কোয়া রসুন চিবিয়ে খেলে কিছুদিনের মধ্যেই দেখবেন ওজন কমবে। আসলে রসুনে এমন কিছু উপাদান রয়েছে যা বিপাকের হার কয়েকগুণ বাড়িয়ে দিতে পারে। মেটাবলিজম বাড়ার কারণে দেহ থেকে মেদের বহর দ্রুত গতিতে কমে যাবে। এছাড়া রসুন খেলে কিন্তু খিদেও কম পায়। খিদে কম পেলে তো ওজন কমবেই।
বেরিয়ে যাবে টক্সিনও
রসুনের একাধিক গুণ রয়েছে। এই প্রসঙ্গে আয়ুর্বেদ বিশেষজ্ঞরা জানাচ্ছেন, নিয়মিত রসুন খেলে শরীরে জমে থাকা ক্ষতিকারক পদার্থ বা টক্সিন বেরিয়ে যাবে। এই কারণে বিভিন্ন ক্রনিক অসুখের খপ্পর থেকে রক্ষা পাওয়া যায়।
এমনকি গবেষণায় দেখা গেছে, দেহে ক্যানসার কোষের বৃদ্ধিও আটকে দিতে পারে রসুন। তাই প্রতিদিন সকালে উঠে এক টুকরো রসুন খেতে ভুলবেন না যেন। এতেই দেখবেন একাধিক ছোট-বড় রোগের ফাঁদ এড়িয়ে যেতে পারবেন।
ব্যথা কমাতেও সিদ্ধহস্ত
রসুনের মধ্যে এমন কিছু উপাদান রয়েছে যা ব্যথা কমাতে সাহায্য করে। তাই আর্থ্রাইটিস রোগীরা নিয়মিত খেতে পারেন রসুন। এতেই দেখবেন ব্যথা কমবে। ব্যথার তীব্রতা খুব বেশি হলে রসুন খাওয়ার পাশাপাশি ব্যথার জায়গায় রসুন তেলও লাগাতে পারেন।
এক্ষেত্রে এক বাটি সরিষার তেলে ৩ থেকে ৪ কোয়া রসুন দিয়ে গরম করে নিন। তারপর সেই তেল ব্যথা জায়গায় মালিশ করুন। এতেই দেখবেন উপকার পাবেন। ব্যথা কমবে দ্রুত গতিতে। তাই ব্যথায় ভুক্তভোগী রোগীরা এই পদ্ধতি ব্যবহার করতে ভুলবেন না যেন।
কীভাবে রসুন খেলে কমবে ওজন?
ওজন কমাতে চাইলে প্রতিদিন সকালে খালি পেটে এক কোয়া রসুন খেতেই হবে। এক্ষেত্রে রসুন চিবিয়ে খেলেই সব থেকে বেশি উপকার মিলবে। তবে অনেকেই রসুনের ঝাঁঝালো স্বাদ সহ্য করতে পারেন না। তাই তারা সকালে রসুন চিবিয়ে খেতে গেলে মহা ফাঁপরে পড়েন।
এমনকি তাদের বমি বমি ভাব বা বমি হয়ে যাওয়ার আশঙ্কাও থাকে। তাই এই ধরনের সমস্যা থাকলে এক কোয়া রসুন চট করে পানি দিয়ে গিলে খেয়ে নিতে পারেন। এতেও উপকার পাবেন।
যেসব বিষয় মাথায় রাখা জরুরি
বেশি পরিমাণে রসুন খেলে পেটের সমস্যা হওয়ার আশঙ্কা থাকে। জিইআরডি-এর মতো অসুখে আক্রান্ত রোগীরা রসুন থেকে দূরে থাকুন। প্রেগন্যান্সি ও ডায়াবেটিস থাকলেও এই ঘরোয়া টোটকা ব্যবহার করে ওজন কমানোর চেষ্টা করবেন না। এতে হিতে বিপরীত হওয়ার আশঙ্কাই থাকবে বেশি।
তাই রসুন খেয়ে ওজন কমানোর আগে সাবধান থাকা জরুরি। নিজের শরীরের অবস্থা বুঝে এবং বিশেষজ্ঞের পরামর্শ মতো সিদ্ধান্ত নিন। তাহলেই সুস্থ থাকতে পারবেন।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।