লাইফস্টাইল ডেস্ক : রক্তে সোডিয়ামের মাত্রা পরিমাণ কম থাকলে ইলেকট্রোলাইটের মাত্রা অনিয়ন্ত্রিত হয়ে যেতে পারে। আর রক্তে ইলেকট্রোলাইটের মাত্রা নিয়ন্ত্রণে না থাকলে যেকোনো সময় হতে পারে বড় বিপদ। শরীর যথেষ্ট পরিমাণে লবণ না পেলে সোডিয়ামের মাত্রা কমে যেতে পারে। যদি কারো রক্তে সোডিয়ামের মাত্রা কমে যায়, তখন সেই অবস্থাকে হাইপোনাট্রেমিয়া বলে।
কোষে উপস্থিত পানির পরিমাণ নিয়ন্ত্রণ করতে সাহায্য করে এই ইলেকট্রোলাইট। ডায়রিয়া, হরমোনের ভারসাম্যহীনতা, পেশির কার্যকারিতা হ্রাস ও স্নায়ুতন্ত্রের ক্ষেত্রে মহাবিপাকে পড়তে পারেন হাইপোনাট্রেমিয়া আক্রান্ত ব্যক্তি। এ ছাড়া আরো অনেক সমস্যার সৃষ্টি হতে পারে।
হাইপোনেট্রেমিয়া হলে কী কী ধরনের ঝুঁকি আসতে পারে, তা নিয়ে বিস্তারিত জানুন এ প্রতিবেদনে।
মস্তিষ্কের কার্যকারিতায় প্রভাব
সোডিয়ামের মাত্রা কম থাকলে মস্তিষ্কের কার্যকারিতাকে প্রভাবিত করতে পারে। এর কারণে ব্যক্তির মাথা ব্যথা, কোনো কাজে মনোনিবেশ করতে অসুবিধা এবং বিভিন্ন বিষয় মনে রাখতে সমস্যা হতে পারে।
সেরিব্রাল এডিমা
হাইপোনেট্রেমিয়া থাকলে ব্যক্তির মস্তিষ্ক ফুলে যাওয়ার আশঙ্কা থাকে। সঠিক সময়ে চিকিৎসা না নিলে এই অবস্থা মারাত্মক পর্যায়ে পৌঁছে দিতে পারে।
খিঁচুনি
খুব কম সোডিয়ামের মাত্রা মস্তিষ্কের কোষের ক্ষতি করতে পারে। এই কারণে ব্যক্তির খিঁচুনি হওয়ার সম্ভাবনা বেড়ে যায়। এই পরিস্থিতিতে খুব তাড়াতাড়ি চিকিৎসককের পরামর্শ নেওয়া উচিত।
পেশির দুর্বলতা
হাইপোনাট্রেমিয়া পেশি ফাংশনকে প্রভাবিত করে। এটি পেশি দুর্বলতা, ক্র্যাম্প ও ক্লান্তি সৃষ্টি করতে পারে।
এই অবস্থায় ব্যক্তি সামান্য কাজ করার পরেও ক্লান্ত বোধ করতে শুরু করে।
স্ট্রোকের ঝুঁকি বৃদ্ধি
গুরুতর হাইপোনাট্রেমিয়ায় ব্যক্তির রক্তচাপ অনিয়ন্ত্রিত হয়ে যেতে পারে। এ কারণে স্ট্রোকের ঝুঁকি বেড়ে যায়। প্রধানত বয়স্কদের মধ্যে এই স্ট্রোকের ঝুঁকি বেড়ে যায়।
হাইপোনাট্রেমিয়া প্রতিরোধ করবেন কিভাবে
আপনার যদি কোনো দীর্ঘস্থায়ী রোগ থাকে তবে সময়ে সময়ে সোডিয়ামের মাত্রা চেক করুন।
চিকিৎসকের পরামর্শ মেনে খাদ্যতালিকায় পরিবর্তন করতে পারেন।
পর্যাপ্ত পরিমাণ পানি খান। খুব বেশি বা খুব কম পানি খাবেন না।
ডায়রিয়া বা বমি হলে ইলেকট্রোলাইট খাওয়া যেতেই পারে।
সতর্কতা
বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই হাইপোনাট্রেমিয়া একটি গুরুতর অবস্থা হতে পারে। তাই এই রোগকে উপেক্ষা করা স্বাস্থ্যের জন্য বিপজ্জনক। তবে স্বাস্থ্যকর খাবার ও পর্যাপ্ত জীবনধারা মেনে চললে এই রোগের তীব্রতা কমে যাবে। তাই নিজের মধ্যে বা চেনা মানুষের মধ্যে যদি হাইপোনেট্রেমিয়ার উপসর্গ দেখতে পান, অবিলম্বে চিকিৎসকের পরামর্শ নিন।
সূত্র : হিন্দুস্তান টাইমস
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।