বিনোদন ডেস্ক : মা.দ.ক মামলায় গত বছর ফেঁসে যান বলিউড মেগাস্টার শাহরুখ খানপুত্র আরিয়ান খান। বিষয়টি নিয়ে দীর্ঘ সময় ধরে চলছে ইডির (এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট) তদন্ত। তদন্তে সম্প্রতি জানা গেছে, আরিয়ানকে এ মামলা থেকে নিষ্কৃতি দিতে শাহরুখের কাছ থেকে ২৫ কোটি রুপি ঘুষ চেয়েছিলেন নারকোটিকস কন্ট্রোল ব্যুরোর জোনাল ডিরেক্টর সমীর ওয়াংখেড়।
ইডি ভারত সরকারের একটি বিশেষ সংস্থা, যারা অর্থ পাচারকারীদের বিরুদ্ধে বিশেষ আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা ও পদক্ষেপ গ্রহণ করে থাকে। ইডির তদন্তে ঘুষ চাওয়ার বিষয়টির সত্যতা উঠে আসায় সমীরের বিরুদ্ধে মামলা করেছে ইডি কর্তৃপক্ষ।
এদিকে ভারতীয় সংবাদমাধ্যম হিন্দুস্তান টাইমসের বরাতে জানা যায়, ইডির তদন্তে ফেঁসে যাওয়ার আগে সিবিআইয়ের তদন্তেও সমীরের ঘুষ চাওয়ার বিষয়টি প্রমাণ পাওয়া গেছে। যে কারণে সিবিআইয়ের তরফ থেকে অনেক আগেই ঘুষ চাওয়ার অভিযোগে অভিযুক্ত করা হয় সমীরকে। ইডির করা মামলার আগে সমীরের বিরুদ্ধে এফআইআর করেছিল সিবিআই।
দু-দুটি প্রতিষ্ঠান সমীরের বিরুদ্ধে একই অভিযোগ আনায় প্রিভেনশন অব মানি লন্ডারিং অ্যাক্টের অধীন সমীরের বিরুদ্ধে করা মামলার তদন্ত আবারও শুরু হয়েছে। এবার শুধু সমীরই নন, নারকোটিকস কন্ট্রোল ব্যুরোর একাধিক অফিসারকে তলব করে ইডি।
২০২১ সালের ২ অক্টোবর বন্ধুবান্ধবসহ আরিয়ান খানকে মাদক মামলায় একটি জাহাজ থেকে গ্রেফতার করা হয়। এরপর হঠাৎ করে ২০২২ সালে গ্রেফতার হওয়া শুধু আরিয়ান খানকে ক্লিনচিট দিয়ে ১৪ জন অভিযুক্তের নামে চার্জশিট করা হয়।
দুর্দান্ত অঙ্গভঙ্গিতে তুমুল ড্যান্স দিয়ে ভাইরাল সুন্দরী তরুণী
এই পুরো ঘটনা যখন ভালোই চলছিল ঠিক সেই মুহূর্তে এক সাক্ষী এসে জানান, আরিয়ানকে মাদক মামলা থেকে মুক্তি দেয়ার কারণ একজন নারকোটিকস কন্ট্রোল ব্যুরোর অফিসার এবং অন্যান্য একাধিক ব্যক্তি ঘুষ হিসেবে শাহরুখ খানের কাছ থেকে ২৫ কোটি টাকা দাবি করেন।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।