জুমবাংলা ডেস্ক : জননিরাপত্তা ও ঝুঁকি বিবেচনা নিয়ে ধাপে ধাপে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলা হবে বলে জানিয়েছেন শিক্ষামন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল। তিনি বলেন, জননিরাপত্তার বিষয়টি বিবেচনায় নিয়ে আমরা সব কর্তৃপক্ষের সঙ্গে আলোচনা করে ধাপে ধাপে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলো খুলতে চাই।
মঙ্গলবার সন্ধ্যায় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে সাত মন্ত্রী-প্রতিমন্ত্রী, চার সচিব ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর শীর্ষ কর্মকর্তাদের সঙ্গে বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের একথা বলেন তিনি।
মহিবুল হাসান চৌধুরী বলেন, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলার প্রশ্নে আমরা বারবার বলছি জননিরাপত্তা সবার আগে।
তিনি বলেন, প্রাথমিক শিক্ষার জন্য আমাদের যে বিদ্যালয়গুলো আছে এবং মাধ্যমিক বিদ্যালয়গুলো আছে সেগুলোরও নিরাপত্তা ঝুঁকি নির্ধারণ করা হবে। এই মুহূর্তে আমরা প্রতিদিন নিরাপত্তা ঝুঁকি নিরূপণ করছি। এগুলো বিবেচনায় নিয়েই আমরা যথাসময়ে জানিয়ে দেব।
অনলাইনে ক্লাস শুরুর বিষয়ে শিক্ষামন্ত্রী বলেন, ইন্টারনেট যেহেতু সচল হয়েছে সেহেতু আমরা এই বিষয়টি বিবেচনা নেব।
এর আগে বিকালে দেশের সার্বিক আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি, কারফিউ, জামায়াত-শিবির নিষিদ্ধ, চলমান বৈষম্যবিরোধী কোটা সংস্কার আন্দোলনসহ গুরুত্বপূর্ণ কয়েকটি বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিতে আলোচনায় বসেন সাত মন্ত্রী-প্রতিমন্ত্রী, চার সচিব এবং আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর প্রধানরা।
বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান, আইনমন্ত্রী আনিসুল হক, শিল্পমন্ত্রী নূরুল মজিদ মাহমুদ হুমায়ূন, শিক্ষামন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী, শ্রম ও কর্মসংস্থান প্রতিমন্ত্রী নজরুল ইসলাম চৌধুরী, ডাক ও টেলিযোগাযোগ প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক, তথ্য ও সম্প্রচার প্রতিমন্ত্রী মোহাম্মদ এ আরাফাত। পররাষ্ট্র সচিব, বাণিজ্য সচিব, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সুরক্ষা ও জননিরাপত্তা বিভাগের দুই সচিবও ছিলেন বৈঠকে।
এ ছাড়া আইজিপি চৌধুরী আবদুল্লাহ আল মামুন এবং র্যাব, বিজিবি ও আনসার প্রধানসহ স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের গুরুত্বপূর্ণ কর্মকর্তারা বৈঠকে ছিলেন।
ব্রিফিংয়ে কোটা সংস্কার নিয়ে আন্দোলন চলার সময় কোন পরিস্থিতিতে সরকার কারফিউ জারি করতে বাধ্য হয়েছে তার ব্যাখ্যা দিয়েছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল। বলেন, ‘কোটা আন্দোলনে শিক্ষার্থীদের যে ডিমান্ড ছিল, তার সব মেনে নেয়ার পরও সহিংসতা থামেনি। তাই বাধ্য হয়েই কারফিউ জারি করে সরকার।’
পরিপূর্ণভাবে ইন্টারনেট চালুর বিষয়ে ডাক ও টেলিযোগাযোগ প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক সিদ্ধান্ত নেবেন জানিয়ে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘আইসিটি প্রতিমন্ত্রী টেকনিক্যাল বিষয়গুলো বিবেচনায় নিয়ে পরিপূর্ণভাবে ইন্টারনেট চালুর বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেবেন।’
‘আর সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে যেসব অপপ্রচার চলছে তা প্রতিরোধে তথ্য প্রতিমন্ত্রী মোহাম্মদ আলী আরাফাত ব্যবস্থা নেবেন। পররাষ্ট্রমন্ত্রী বৈঠকে ছিলেন না, পররাষ্ট্র সচিব (বৈঠকে) ছিলেন, তিনিও বিভিন্ন রাষ্ট্রে কীভাবে আমাদের সঠিক খবরটা যায় সেই ব্যবস্থা নেবেন।’
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।