সুয়েব রানা : সিলেটের জৈন্তাপুরে ঐতিহ্যবাহী বিদ্যাপীঠের উদ্যোগে শিক্ষার্থীদের মধ্যে শিক্ষা উপকরণ বিতরণ ও মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। শিক্ষার গুণগত মানোন্নয়নের লক্ষ্যে আয়োজিত এই অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন সিলেট জেলা বিএনপির সম্মানিত উপদেষ্টা, সিলেট-৪ আসনের সম্ভাব্য সংসদ সদস্য পদপ্রার্থী ও ধানের শীষের মনোনয়ন প্রত্যাশী হেলাল উদ্দিন আহমদ। বৃহস্পতিবার ২১ আগস্ট দুপুরে জৈন্তাপুর বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় প্রাঙ্গণে আয়োজনটি সম্পন্ন হয়।
সভায় সভাপতিত্ব করেন বিদ্যালয়ের এডহক কমিটির সভাপতি মাসুক আহমদ। সঞ্চালনা করেন উপজেলা যুবদলের যুগ্ম আহ্বায়ক সাব্বির আহমদ। প্রধান বক্তা হিসেবে বক্তব্য দেন জৈন্তাপুর উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক আব্দুল হাফিজ।
প্রধান অতিথি হেলাল উদ্দিন আহমদ তার বক্তব্যে বলেন, শিক্ষা ছাড়া একটি জাতির উন্নয়ন কল্পনা করা যায় না। শিক্ষা হচ্ছে আলোকিত সমাজ ও সমৃদ্ধ দেশের মূল ভিত্তি। জৈন্তাপুরের কোনো সন্তান যেন অভাব-অভাবনীয় কারণে শিক্ষার আলো থেকে বঞ্চিত না হয়, এটি আমাদের সকলের দায়িত্ব। তিনি আরও বলেন, বিদ্যালয় পর্যায়ে শিক্ষার্থীদের পাশে দাঁড়ানো মানে তাদের ভবিষ্যৎকে আলোকিত করা। এ ধরণের কার্যক্রম অব্যাহত থাকলে একদিন জৈন্তাপুর শিক্ষাক্ষেত্রে সিলেটসহ সমগ্র বাংলাদেশের জন্য একটি দৃষ্টান্ত হয়ে উঠবে।
প্রধান বক্তা আব্দুল হাফিজ বলেন, একটি জাতির মেরুদণ্ড হলো শিক্ষা। তরুণ প্রজন্মকে সঠিক পথে এগিয়ে নিতে হলে তাদের জন্য মানসম্মত শিক্ষার পরিবেশ নিশ্চিত করা জরুরি। শিক্ষার্থীদের হাতে শিক্ষা উপকরণ পৌঁছে দেওয়া শুধুমাত্র তাদের পড়াশোনায় অনুপ্রেরণা নয়, বরং সমাজ পরিবর্তনেরও শক্তি।
অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন নিজপাট ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ও উপজেলা বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক ইন্তাজ আলী। এছাড়া জেলা বিএনপি, উপজেলা বিএনপি, কৃষকদল, যুবদল, স্বেচ্ছাসেবক দল, মুক্তিযোদ্ধা দল, জাসাস ও ছাত্রদলের বিভিন্ন পর্যায়ের নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
হেলাল উদ্দিন আহমদ দীর্ঘদিন ধরে রাজনীতির পাশাপাশি সামাজিক ও মানবিক কর্মকাণ্ডে সক্রিয়। এলাকায় শিক্ষা, স্বাস্থ্য ও অবকাঠামো উন্নয়নে তার আন্তরিক প্রচেষ্টা স্থানীয়দের মধ্যে প্রশংসিত হয়েছে। বিশেষ করে দরিদ্র ও মেধাবী শিক্ষার্থীদের সহযোগিতা, বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে অবদান রাখা এবং মানবিক কার্যক্রমে অংশগ্রহণের কারণে তিনি জৈন্তাপুরবাসীর আস্থাভাজন হয়ে উঠেছেন। ফলে সিলেট-৪ আসনে তাকে সম্ভাব্য সংসদ সদস্য প্রার্থী হিসেবে দেখছেন অনেকেই।
শিক্ষা উপকরণ বিতরণকে ঘিরে বিদ্যালয় প্রাঙ্গণ ছিল উৎসবমুখর। শিক্ষার্থী, শিক্ষক, অভিভাবক ও স্থানীয় মানুষের অংশগ্রহণ অনুষ্ঠানটিকে প্রাণবন্ত করে তোলে।
অনুষ্ঠান শেষে বক্তারা এক কণ্ঠে বলেন, প্রতিটি শিশুর হাতে শিক্ষা উপকরণ পৌঁছে দেওয়ার মাধ্যমে একটি আলোকিত বাংলাদেশ গড়ে তোলা সম্ভব। জৈন্তাপুরের মানুষের এই আন্তরিক প্রচেষ্টা জাতীয় পর্যায়ে শিক্ষার উন্নয়নে অনুকরণীয় দৃষ্টান্ত হয়ে থাকবে।
জলমগ্ন গাড়িতে আটকে পড়া মানুষের বাঁচার চেষ্টা, ভিডিওতে দেখা গেল হৃদয়বিদারক দৃশ্য
শিক্ষা কেবল বিদ্যালয়ের চার দেয়ালে সীমাবদ্ধ নয়, বরং সমাজের প্রতিটি স্তরে ছড়িয়ে দেওয়াই আজকের প্রধান চ্যালেঞ্জ। এই বার্তাই পৌঁছে গেছে জৈন্তাপুর থেকে সবার হৃদয়ে।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।