জুমবাংলা ডেস্ক : মাত্র ৬ দিনের ব্যবধানে প্রতি ডজনে ১০ টাকা বেড়েছে ডিমের দাম। বৃহস্পতিবার ডিমের ডজন ১৬০ টাকা থাকলেও বুধবার বেড়ে তা ১৭০ টাকায় দাঁড়িয়েছে। তবে বিক্রেতারা বলছেন, সরবরাহ কমায় ডিমের দাম বৃদ্ধি পেয়েছে।
রাজধানীর আগারগাঁও, তালতলা, মোহাম্মদপুর কৃষি মার্কেট, টাউন হল ও কাঁঠালবাগান বাজারে খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, এসব বাজারে প্রতি ডজন ফার্মের বাদামি ও সাদা ডিম বিক্রি হচ্ছে ১৭০ টাকায়; গত সপ্তাহেও যা ছিল ১৬০ টাকা। তবে বেশ কিছু জায়গায় ২-৩ টাকা কম নিচ্ছেন ব্যবসায়ীরা। অর্থাৎ সপ্তাহের ব্যবধানে উভয় ধরনের ডিমের দামই ডজনপ্রতি ১০ টাকা করে বেড়েছে।
ডিম বিক্রেতা আব্দুর রাজ্জাক বলেন, পাইকারি বাজারে ডিমের সরবরাহ কম। এ কারণে বাড়তি দামে ডিম কিনতে হচ্ছে। ফলে খুচরা পর্যায়েও ডিমের দাম বেড়েছে। তিনি বলেন, মঙ্গলবার পাইকারি বিক্রেতার কাছ থেকে প্রতি পিস ডিম ১৩ টাকায় কিনেছি। পরিবহন ও অবচয় খরচ যোগ করে প্রতিটি ১৪ টাকায় বিক্রি করতে হচ্ছে। এতে প্রতি ডজনের দাম দাঁড়ায় ১৬৮ টাকা। তবে ভোক্তাদের অনেক ক্ষেত্রেই ১৭০ টাকা পর্যন্ত দামে কিনতে হচ্ছে।
ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশের (টিসিবি) তথ্য অনুসারে, গত এক বছরে ডিমের দাম ১৩ শতাংশের বেশি বৃদ্ধি পেয়েছে। গত জুলাইয়ে ডিমের ডজন ছিল ১৪৫ থেকে ১৫০ টাকা। আগস্টে অপরিবর্তিত থাকলেও সেপ্টেম্বর মাসে ডিমের দাম বাড়তে থাকে। মাস শেষ হতেই তা ১৭০ টাকায় দাঁড়ায়।
কৃষি বিপণন অধিদপ্তরসূত্রে জানা গেছে, গত ১৬ সেপ্টেম্বর ফার্মের মুরগির ডিম এবং ব্রয়লার ও সোনালি মুরগির ডিমের যৌক্তিক দাম ১৪২ টাকা ডজন নির্ধারণ করে দেওয়া হয়েছে। তবে বাজারে ওই মূল্যের চেয়ে ডজনে ২৩ থেকে ২৮ টাকা বেশি দামে বিক্রি হচ্ছে ডিম।
ডিমের মূল্যবৃদ্ধি নিয়ে বিশেষজ্ঞরা জানিয়েছেন, সরকারের কোন প্রতিষ্ঠান বা সহযোগিতা না থাকায় প্রান্তিক পর্যায়ে খামারিরা ডিমের ন্যায্য মূল্য পাচ্ছে না। ফলে দিন দিন খামারির সংখ্যা কমছে। ডিমের যারা সিন্ডিকেট আছে তারা ডিমের দাম নিয়ন্ত্রণ করে। সেই সিন্ডিকেট এখনো ভাঙতে পারেনি সরকার।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।