জুমবাংলা ডেস্ক : সারাদিন রোজা শেষে ছোলা-বেগুনি ছাড়া যেন জমে উঠে না ইফতারের স্বাদ। যুগ যুগ ধরে এমন রেওয়াজ চলে আসছে বাংলাদেশে। রমজানের সময় দোকানগুলোতে ইফতারের পসরায় যেমন শোভা পায় ছোলা-বেগুনি, তেমনি প্রতিটি বাড়িতে ইফতারের আইটেমে থাকে বেগুনি।
এই কারনে রমজান এলেই দাম বেড়ে যায় বেগুনের। এবার রোজা আসতে না আসতেই সেঞ্চুরি করে ফেলেছে এ পণ্যটি। বুধবার (২২ মার্চ ) বেগুনের কেজি গিয়ে ঠেকেছে ১০০ টাকায়। রমজানের শুরু থেকে এ দাম আরও বাড়তে পারে বলে জানিয়েছেন বিক্রেতারা।
রাজধানীর বিভিন্ন বাজার ঘুরে দেখা গেছে, লাল বেগুন, লম্বা বেগুন প্রতি কেজি বিক্রি হচ্ছে ১০০ টাকায়। সবুজ বেগুন বিক্রি হচ্ছে ৮০ টাকায়। বিক্রেতারা বলছেন, রমজানের শুরুর দিনগুলোতে বেগুনের দাম বেড়ে ১২০ টাকা হতে পারে।
যদিও এক সপ্তাহ আগে ছিল ৪০ থেকে ৬৫ টাকার মধ্যে। গত মাসে বেগুন বিক্রি হয়েছিল ৪০ থেকে ৭০ টাকার মধ্যে। গত বছরের এ সময়ে প্রতি কেজি বেগুন বিক্রি হয়েছে ৪০ থেকে ৭০ টাকার মধ্যে।
এছাড়া বাজারে ছোলা প্রতি কেজি ৯০ থেকে ১০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। ভালো মানের বেসন প্রতি কেজি বিক্রি হচ্ছে ১২০ টাকায়।
খুচরা বিক্রেতারা বলছেন, কারওয়ান বাজারে প্রতি পাল্লা (পাঁচ কেজি) বেগুন কেনা পড়েছে ৪০০ থেকে ৪৫০ টাকায়। সেই বেগুন ১০০ টাকা কেজি দরে বিক্রি না করলে পোষাবে না। রমজানের শুরুতে প্রতি কেজি বেগুনের দাম ১২০ টাকা হয়ে যেতে পারে। পাইকারি বাজারে আমরা যখন যে দামে পণ্য কিনতে পারি, সেই দামে খুচরা বাজারে বিক্রি করি। এখানে আমাদের করার কিছু নেই।
অন্যান্য পণ্যের মধ্যে বাজারে প্রতি কেজি শসা বিক্রি হচ্ছে ৫০ থেকে ৬০ টাকা, টমেটো ৪০ থেকে ৫০ টাকা, গাজর ও শসা ৫০ থেকে ৬০ টাকা।প্রতি কেজি ধনেপাতা ১২০ থেকে ২০০ টাকা, পুদিনাপাতা ২০০ থেকে ২৫০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে।
বাজারে মানভেদে মসুর ডালের দাম প্রতি কেজি ১০০ থেকে ১৪০ টাকার মধ্যে। খোলা চিনি প্রতি কেজি ১১৫ থেকে ১২০ টাকা, বাজারে প্যাকেটজাত চিনি নেই বললেই চলে। বোতলজাত সয়াবিনের দাম প্রতি কেজি ১৯০ টাকার মধ্যে।
এদিকে রোজা আসার বেশ আগেই এবার মাছ-মাংসের বাজারও অস্থির হতে শুরু করেছে। শেষ পর্যন্ত বেড়ে ব্রয়লার মুরগি এখন বিক্রি হচ্ছে ২৬০ থেকে ২৮০ টাকা দরে। সোনালি মুরগি বিক্রি হচ্ছে ৩৮০-৩৯০ টাকা কেজি। প্রতি ডজন ডিম ১৪০ টাকা। গরুর মাংস ৭৫০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে।
মুদি বাজারেও অতি প্রয়োজনীয় পণ্যগুলো উচ্চমূল্যে স্থিতিশীল। বাজারে চাল, ডাল, চিনি ও সয়াবিন তেলসহ নিত্যপ্রয়োজনীয় সব পণ্যের দাম চড়া। এখন বাজারে মোটা চাল খুচরায় বিক্রি হচ্ছে প্রতি কেজি ৫০-৫৫ টাকায়। মাঝারি মানের চালের দাম পড়ছে প্রতি কেজি ৬০-৬২ টাকা। সরু চাল (মিনিকেট ও নাজিরশাইল) কিনতে হচ্ছে ৭০ থেকে ৮৫ টাকার মধ্যে।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।