জুমবাংলা ডেস্ক : ঢাকা মহানগর পুলিশ কর্মকর্তাদের উদ্দেশ্যে ডিএমপি কমিশনার শেখ মো. সাজ্জাত আলী বলেছেন, রমজান উপলক্ষে ছিনতাই, চাঁদাবাজি, অজ্ঞানপার্টি, মলমপার্টির অপতৎপরতা রোধে টহল আরও জোরদার করতে হবে।
সোমবার (২৪ ফেব্রুয়ারি) ডিএমপি হেডকোয়ার্টার্সের সম্মেলন কক্ষে অনুষ্ঠিত আসন্ন পবিত্র মাহে রমজান উপলক্ষে ঢাকা মহানগর এলাকার সার্বিক নিরাপত্তা, আইনশৃঙ্খলা রক্ষা ও ট্রাফিক ব্যবস্থাপনা বিষয়ক ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের সমন্বয় সভার সভাপতিত্ব তিনি এ কথা বলেন।
সভায় ঢাকা মহানগর এলাকার ব্যাংক, শপিংমলের নিরাপত্তা, সড়ক, ভেজাল খাদ্যদ্রব্য ও দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণসহ সার্বিক নিরাপত্তা, আইনশৃঙ্খলা রক্ষা ও ট্রাফিক ব্যবস্থাপনা নিয়ে আলোচনা করা হয়।
ব্যবসায়ী নেতাদের উদ্দেশ্যে ডিএমপি কমিশনার বলেন, রমজান উপলক্ষে নানা অজুহাতে নিত্যপণ্যের দাম বাড়ানো হয়। নিত্যপণ্যের দাম যাতে বৃদ্ধি না হয় সেই দিকে আপনাদের সজাগ দৃষ্টি রাখতে হবে। প্রতিটি শপিংমলের সামনে এবং আশপাশে স্বেচ্ছাসেবক মোতায়েনের ব্যবস্থা করতে হবে। প্রতিটি মার্কেটে সিসি ক্যামেরা স্থাপন করতে হবে। বড় ক্যাশ বা মূল্যবান জিনিস বহনের ক্ষেত্রে পুলিশের সহায়তা অর্থাৎ স্কট সেবা নিতে আহ্বান জানান তিনি।
উপস্থিত পুলিশ কর্মকর্তাদের উদ্দেশ্যে তিনি আরও বলেন, রমজান উপলক্ষে ছিনতাই, টানাপার্টি, চাঁদাবাজি, অজ্ঞানপার্টি, মলমপার্টির অপতৎপরতা রোধে পুলিশি টহল আরও জোরদার করতে হবে।
তিনি আরও বলেন, ঢাকা শহরের অন্যতম সমস্যা হচ্ছে যানজট। রমজানে যানজট নিরসনে ডিএমপির ট্রাফিক বিভাগ ও ক্রাইম বিভাগের পুলিশ সদস্যদের পাশাপাশি অতিরিক্ত ফোর্স মোতায়েন থাকবে। সবাইকে ট্রাফিক আইন মেনে চলতে হবে।
সবার আন্তরিক সহযোগিতায় রমজান মাস সুন্দরভাবে শেষ হবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন ডিএমপি কমিশনার।
সমন্বয় সভায় যুগ্ম পুলিশ কমিশনার (অপারেশনস) মোহাম্মদ শহীদুল্লাহ পাওয়ার পয়েন্ট প্রেজেন্টেশনের মাধ্যমে সার্বিক নিরাপত্তা পরিকল্পনা উপস্থাপন করেন। আসন্ন রমজানে নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে সমন্বয় সভায় বিভিন্ন সংস্থার প্রতিনিধি এবং ডিএমপির ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা মতামত দেন।
সমন্বয় সভায় ডিএমপির অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (ট্রাফিক) মো. সরওয়ার, অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (ক্রাইম অ্যান্ড অপারেশনস) এস এন মো. নজরুল ইসলাম, অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (কাউন্টার টেরোরিজম অ্যান্ড ট্রান্সন্যাশনাল ক্রাইম) মো. মাসুদ করিম, যুগ্ম পুলিশ কমিশনার, উপ-পুলিশ কমিশনারসহ স্পেশাল ব্রাঞ্চ, র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব), ডিজিএফআই, এনএসআই, ফায়ার সার্ভিস অ্যান্ড সিভিল ডিফেন্স, ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন, ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন, সিটি-এসবি, পুলিশ সদরদপ্তর, এমআরটি পুলিশ, তিতাস গ্যাস, ঢাকা ওয়াসা, ডিপিডিসি, বাংলাদেশ ব্যাংক, এফবিসিসিআই, বাংলাদেশ দোকান মালিক সমিতি, ঢাকা মহানগর দোকান মালিক সমিতি, ইসলামপুর কাপড় ব্যবসায়ী সমিতি, বাংলাদেশ ডাল ও ছোলার ডাল ব্যবসায়ী সমিতি, পেঁয়াজ ব্যবসায়ী সমিতি, কারওয়ান বাজার কাঁচামাল ব্যবসায়ী সমিতি ও বাংলাদেশ জুয়েলারি সমিতির প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।