ধর্ম ডেস্ক : আর কয়েকদিন পরই মুসলামানদের দ্বিতীয় বৃহত্তম ধর্মীয় উৎসব পবিত্র ঈদুল আযহা। আর এই ঈদের প্রথম কাজ হচ্ছে নামাজ আদায়। সকাল বেলা ঘুম থেকে উঠে ফজরের নামাজ শেষ করার পর কিছুটা বিরতি দিয়ে ভাল পোশাক ও আতর সুরমা লাগিয়ে ঈদগাহে নামাজের উদ্দেশ্যে যাত্রা শুরু করতে হয়।
অনেকেই হয়তো জানেন না ঈদুল আযহার নামাজ কীভাবে আদায় করতে হয়। ঈদুল আযহার নামাজ অন্যান্য নামাজের মতোই আদায় করতে হয়। এ নামাজে রুক, সিজদা, তাশাহুদ সবই আছে। শুধু মাত্র অতিরিক্ত ছয় তাকবির দিতে হয়।
চলুন ঈদ-উল আযহার নামাজ সম্পর্কে বিস্তারিত জেনে নেই-
ঈদুল আযহার নামাযের আরবি নিয়তের বাংলা উচ্চারণ: ‘নাওয়াইতু আন উছাল্লিয়া লিল্লাহি তা আলা রাকয়াতাই ছালাতি ঈদিল আযহা মাআ ছিত্তাতি তাকবীরাতি ওয়াজিবুল্লাহি তা আলা ইক্বতাদাইতু বিহাজাল ইমামি মুতাওয়াজ্জিহান ইলা জিহাতিল কাবাতিশ শারীফাতি আল্লাহু আকবার।’
অনেকের ধারণা নামাজের নিয়ত আরবিতে করা জরুরি। এমনটি ঠিক নয়। যে কোনো ভাষাতেই নামাজের নিয়ত করা যায়। নিয়ত মনে মনে করাই যথেষ্ট।
ইমামের পেছনে কেবলামুখি হয়ে ঈদুল আযহার দু’রাকাত ওয়াজিব নামাজ ছয় তাকবিরের সঙ্গে আদায় করছি- এমন নিয়ত করে ‘আল্লাহু আকবার’ বলে হাত তুলে তাহরিমা বাঁধবে। তারপর সানা (সুবহানাকাল্লাহুম্মা…) পুরোটা পড়বে। এরপর আউযুবিল্লাহ এবং বিসমিল্লাহর আগে তিনবার ‘আল্লাহু আকবার’ বলে তাকবির বলবে। প্রথম দু’বার কান পর্যন্ত হাত উঠিয়ে ছেড়ে দেবে।
কিন্তু তৃতীয়বার বলে হাত বেঁধে নেবে। প্রত্যেক তাকবিরের পর তিনবার সুবহানাল্লাহ বলার পড়ে থামবে। তারপর আউযুবিল্লাহ এবং বিসমিল্লাহ পড়ে সূরায়ে ফাতেহার পরে একটা সূরা মেলাবে। এরপর রুকু, সিজদা করে দ্বিতীয় রাকাতের জন্য দাঁড়াবে।
এবার অন্যান্য নামাজের মতো বিসমিল্লাহর পরে সূরা ফাতেহা পড়ে আরেকটা সূরা মেলাবে। তারপর তিনবার ‘আল্লাহু আকবার’ বলার মাধ্যমে তিনটা তাকবির সম্পন্ন করবে। এখানে প্রতি তাকবিরের পর হাত ছেড়ে দেবে এবং চতুর্থবার ‘আল্লাহু আকবার’ বলে হাত না বেঁধে রুকুতে চলে যাবে। এরপর সেজদা এবং আখেরি বৈঠক করে যথারীতি সালাম ফিরায়ে নামাজ শেষ করবে।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।