লাইফস্টাইল ডেস্ক : আনন্দ ভাগাভাগি করতে ঈদের ছুটিতে শহর থেকে পরিবার নিয়ে গ্রামের দিকে মানুষের স্রোত বয়ে যায়। বাড়িতে পৌঁছানোর পর পরিবারের বড় সদস্যাদের তুলনায় শিশুরা বেশি ঈদ আনন্দে মেতে উঠে। গ্রামে ঈদ পালন করা আনন্দের হলেও কিছু বিষয় খেয়াল রাখা জরুরি। চলুন সে সম্পর্কে জানি:
* রাতের বেলায় গ্রামে হাঁটাহাঁটি করতে হতে পারে। বিভিন্ন পোকামাকড় কিংবা সাপখোপ থাকতে পারে। তাই সঙ্গে রাখুন টর্চ। গ্রামে ইলেকট্রিসিটি বেশিরভাগ সময়েই থাকে না। পাওয়ার ব্যাংক নিয়ে যাওয়া ভালো। মশার উপদ্রব থেকে বাঁচতে সঙ্গে রাখুন মশার ওষুধ।
* গ্রামে ঈদ করতে গেলে শিশুদের নিরাপত্তার বিষয়টি খেয়ালে রাখুন। পুকুরের প্রতি শিশুদের আগ্রহ থাকে। সেক্ষেত্রে অনেক সময় ঘটে যেতে পারে দূর্ঘটনা। আবার অপরিচিত জায়গায় হারিয়ে যেতে পারে। তাই শিশুকে নজরদারিতে রাখবেন। অপরিচিত পরিবেশে হুট করে শিশু মানিয়ে নাও নিতে পারে। তার সমস্যার কথা শুনুন। সবার সঙ্গে ধীরে ধীরে পরিচয় করান।
* আপনি সাঁতার জানলে ঠিক আছে। কিন্তু সাঁতার না জানলে গ্রামে গিয়ে পুকুরে গোসল করতে না নামাই শ্রেয়। ছোট শিশুদের পুকুরে গোসল করতে দেবেন না। দুর্ঘটনা ঘটতে পারে।
* গ্রামের খাবার শহরের তুলনায় একটু বেশি ঝাল হয়। অন্য দিকে, এক মাস রোজা রাখার পর নিয়মিত খাদ্যাভ্যাসে ফিরতে শরীরের কিছুটা সময় লাগে। অতিরিক্ত ঝাল বা টক খাবার এড়িয়ে চলুন। এক দিনে দুই তিন জায়গায় দাওয়াত খেলে বুঝেশুনে খান। নয়ত ফুড পয়েজনিং হতে পারে। বিশুদ্ধ পানি পান করুন।
* গ্রামে ঈদ করলে অবশ্যই সঙ্গে ফার্স্ট এইড বক্স বা প্রাথমিক চিকিৎসার সরঞ্জামাদি রাখুন। যেকোনো সময় দুর্ঘটনা ঘটলে দ্রুত ব্যবস্থা নিতে পারবেন। ডেটল, গজ, তুলা এসব রাখুন। প্রয়োজনীয় ওষুধগুলো নিয়ে নিন। গ্রামে ওষুধ খুঁজে পেতে সময় লাগতে পারে। তাই পূর্বপ্রস্তুতি নিয়ে রাখাই ভালো। যাদের হাঁপানি রয়েছে তারা ইনহেলার নিন। গ্যাস্ট্রিক, প্রেশার, ডায়াবেটিসসহ ব্যথার ওষুধ সঙ্গে রাখুন।
* একেক স্থানের মানুষের আচার ব্যবহার একেক রকম। শহর থেকে গ্রামে গেলে সেখানকার মানুষের মতোই চলতে চেষ্টা করুন। পরিচিতদের সঙ্গে দেখা হলে ভদ্রতা বজায় রাখুন। যতটা পারা যায় সব আত্মীয়স্বজনের সঙ্গে দেখা করার চেষ্টা করুন। সামাজিক ভদ্রতা মেনে চলুন। শহরের পোশাক গ্রামে বেমানান হলে তা এড়িয়ে চলুন। নয়তো বিব্রতকর পরিস্থিতিতে পড়তে হতে পারে।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।