আন্তর্জাতিক ডেস্ক : সিরিয়ার উত্তরে আজাজ শহরে ঈদের কেনাকাটায় ব্যস্ত বাজারে একটি গাড়িতে বিস্ফোরণের ঘটনায় কমপক্ষে ৮ জন নিহত হয়েছেন। এই ঘটনায় আহত হয়েছেন আরও ২৩ জন। আজাজ শহরে তুর্কি সীমান্তের কাছে অবস্থিত ও দেশটির বিদ্রোহীদের নিয়ন্ত্রিত। তাৎক্ষণিকভাবে এই বিস্ফোরণের দায় কেউ স্বীকার করেনি।
শনিবার (৩০ মার্চ) রাতে এ ঘটনা ঘটে।
রবিবার (৩১ মার্চ) এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে আরব নিউজ।
সিরিয়ান অবজারভেটরি ফর হিউম্যান রাইটসের বরাতে প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, আলেপ্পো প্রদেশের আজাজে একটি জনবহুল বাজারের মাঝখানে রাখা একটি গাড়িতে বোমা বিস্ফোরণ ঘটে। এতে কমপক্ষে ৮ জন নিহত এবং ২৩ জন আহত হয়েছেন। হতাহতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে।
উদ্ধারকারীরা জানান, পবিত্র রমজান মাসে ইফতারের পর রাতে কেনাকাটা করার সময় বিস্ফোরণের এই ঘটনা ঘটে।
বেসামরিক প্রতিরক্ষা বাহিনী জানিয়েছে, সর্বশেষ বিস্ফোরণে অন্তত ৩০ জন আহত হয়েছেন এবং তাদের মধ্যে কয়েকজনের অবস্থা গুরুতর। পরে উদ্ধার করে আহতদের স্থানীয় হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়েছে।
বিস্ফোরণের স্থানের কাছাকাছি কোনো দোকানে সপরিবারে কেনাকাটা করছিলেন স্থানীয় বাসিন্দা ইয়াসিন শালাবি।
তিনি রয়টার্সকে বলেন, ‘ক্রেতাদের প্রচণ্ড ভিড়ের মধ্যে বিস্ফোরণের শব্দ শুনতে পাই। ’
রয়টার্স বলছে, সাম্প্রতিক বছরগুলোতে সিরিয়ার উত্তরপশ্চিম সীমান্ত এলাকার প্রধান শহরগুলোতে বেসামরিক জনবহুল এলাকায় ঘন ঘন বোমা বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটেছে।
প্রধানত আরব জনসংখ্যায় পূর্ণ বিদ্রোহী-নিয়ন্ত্রিত উত্তর-পশ্চিমের বাসিন্দা এবং বিদ্রোহীরা দীর্ঘদিন ধরে কুর্দি নেতৃত্বাধীন ওয়াইপিজিকে এই ধরনের হামলার জন্য সন্দেহ করে আসছে।
যদিও ওয়াইপিজি দীর্ঘদিন ধরে এ ধরনের দাবি অস্বীকার করে আসছে।
অবশ্য অন্যরা এই ধরনের হামলার জন্য প্রেসিডেন্ট আসাদের অনুগত দলগুলোকে দায়ী করে থাকে।
২০১১ সালে সরকার শান্তিপূর্ণ বিক্ষোভ দমন করার পর সিরিয়ার যুদ্ধ শুরু হয়। এটি মারাত্মক সংঘাতে পরিণত হয়। এ যুদ্ধে ৫ লাখ ৭ হাজারের বেশি মানুষ নিহত হয়েছেন। লাখ লাখ মানুষ বাস্তুচ্যুত হয়েছে এবং দেশটির অবকাঠামো ও শিল্প ধ্বংসস্তূপে পরিণত হয়েছে।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।