জুমবাংলা ডেস্ক : ধর্মীয় ভাবগাম্ভীর্যে সারাদেশে উদযাপিত হচ্ছে পবিত্র ঈদুল আজহা। ঈদের নামাজের পর পরই পশু কোরবানি শুরু হয়েছে। অন্যদিকে অস্বচ্ছল পরিবারগুলো কোরবানি দিতে না পারলেও মাংসের দোকানে ভিড় জমাচ্ছেন। মাংসের দোকানগুলোতে গরুর মাংস টুকরো টুকরো করে সাজিয়ে রাখা।
রবিবার (১০ জুলাই) ঈদের দিনে বরগুনা পৌর মাংস বাজারে এমনই চিত্র চোখে পড়ে।
বিক্রেতারা জানান, অনেক মধ্যবিত্ত পরিবার সাধ্য অনুযায়ী পরিবারের জন্য মাংস কিনে নিচ্ছেন। আজ সকাল থেকে ভিড় জমাচ্ছে মাংস কেনার জন্য। অন্যদিনের তুলনায় আজ মাংস বাজারে নিম্ন আয়ের মানুষের উপস্থিতি লক্ষ্য করা গেছে। বিশেষ দিনে পরিবার নিয়ে একটু ভালো খাবারের আশায় কষ্ট হলেও বাজার থেকে মাংস কিনে বাড়ি যাচ্ছে। অন্যদিনের তুলনায় আজকের মাংস বিক্রি বেশি হচ্ছে বাজারে।
যারা ঈদের দিন খাসি কোরবানি দিচ্ছেন, তারাই মূলত গরুর মাংস কিনতে পৌর এই মাংসের দোকানে ভিড় করেন। গরুর মাংস বিক্রির পাশাপাশি বিক্রি হচ্ছে গরুর মাথাও। অনেকে এসে গরুর মাথা চেয়েও পাচ্ছেন না।
ক্রেতারা জানান, বছরের অন্যান্য দিন থেকে ঈদের দিন আলাদা। পরিবার নিয়ে এ দিন একবেলা ভালো খাবার সবাই খেতে চায়। তাই কষ্ট হলেও মাংস কিনছেন তারা। আর এ সুযোগে বিক্রেতারা আগের দামের তুলনায় বাড়তি দামে মাংস বিক্রি করছেন।
ক্রেতা ও বিক্রেতাদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, গরুর মাংস প্রতি কেজি ৭০০ থেকে ৭৫০ টাকা ও খাসি প্রতি কেজি ৯০০ থেকে এক হাজার টাকা পর্যন্ত বিক্রি হচ্ছে। একদিনের ব্যবধানে ৫০ টাকা থেকে ১০০ টাকা বেড়ে গেছে দাম।
মো. মহসিন ফরাজী নামে এক ক্রেতা বলেন, মহান আল্লাহর সন্তুষ্টি লাভের আশায় সামর্থ্যবান মুসলমানেরা ত্যাগের মহিমায় ঈদের নামাজের পর পরই পশু কোরবানি শুরু করেছে। এমন বিশেষ দিনে পরিবার পরিজন নিয়ে একটু ভালো খাবার কে না খেতে চায়। অভাবের মধ্যে থাকলেও ছোট্ট শিশু কন্যার মুখে এক টুকরো মাংস ভাত তুলে দেওয়ার জন্য সকাল সকাল বাজারে এসেছি।
রশিদ নামে আরেক ক্রেতা বলেন, দিনমজুর হিসেবে পশু কোরবানি দেওয়ার সামর্থ্য নেই। তবে পরিবার নিয়ে একবেলা ভালো খাওয়ার জন্য বাজার থেকে মাংস কিনেছি।
বরগুনা পৌর মাংস বাজারের মাংস ব্যবসায়ী আল আমিন বলেন, ঈদের প্রথম দিনে বড় ৩টি গরু জবাই করা হয়েছে। এই দিনে মানুষের চাহিদা বেশি থাকে। কারণ খেটে খাওয়া মানুষ পরিবার নিয়ে একটু ভালো খাবারের আশায় কষ্ট হলেও বাজার থেকে মাংস কিনে নেয়।
তিনি আরও বলেন, আমরা সাধারণ মানুষকে ন্যায্য মূল্যে মাংস খাওয়ানোর চেষ্টা করলেও গরুর ব্যবসায়ীদের জন্য বেশি দামে বিক্রি করতে হয়। কারণ বর্তমান বাজারে গরুর দাম অনেক বেশি।
সূত্র : বাংলানিউজ২৪
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।