Close Menu
Bangla news
    Facebook X (Twitter) Instagram
    Bangla news
    • প্রচ্ছদ
    • জাতীয়
    • অর্থনীতি
    • আন্তর্জাতিক
    • রাজনীতি
    • বিনোদন
    • খেলাধুলা
    • শিক্ষা
    • আরও
      • লাইফস্টাইল
      • বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি
      • বিভাগীয় সংবাদ
      • স্বাস্থ্য
      • অন্যরকম খবর
      • অপরাধ-দুর্নীতি
      • পজিটিভ বাংলাদেশ
      • আইন-আদালত
      • ট্র্যাভেল
      • প্রশ্ন ও উত্তর
      • প্রবাসী খবর
      • আজকের রাশিফল
      • মুক্তমত/ফিচার/সাক্ষাৎকার
      • ইতিহাস
      • ক্যাম্পাস
      • ক্যারিয়ার ভাবনা
      • Jobs
      • লাইফ হ্যাকস
      • জমিজমা সংক্রান্ত
    • English
    Bangla news
    Home ঈদের নামাজ কি ফরজ
    ইসলাম ধর্ম

    ঈদের নামাজ কি ফরজ

    Shamim RezaJune 15, 20249 Mins Read
    Advertisement

    ধর্ম ডেস্ক : আল্লাহতায়ালা মুসলিমদের দুটি ঈদ দান করেছেন। ঈদুল ফিতর ও ঈদুল আজহা। মুসলিমদের ঈদ ও উৎসব অন্যান্য জাতি-গোষ্ঠীর উৎসব থেকে ব্যতিক্রম এবং অনন্য বৈশিষ্ট্যের অধিকারী। আল্লাহর জিকির ও তার বড়ত্বের ঘোষণার মাধ্যমে শুরু হয় মুসলিমদের ঈদ। ঈদের দিনে মুসলিমদের প্রথম ও প্রধান আমল হলো ঈদের নামাজ আদায়। ঈদুল আজহার বিষয়ে হজরত রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম ইরশাদ করেন, ‘আজকের দিনে আমরা সর্বপ্রথম ঈদের নামাজ আদায় করব। এরপর কোরবানি করব…।’ -সহিহ বুখারি : ৯৬৮

    ঈদের নামাজ

    আজকের নিবন্ধে ঈদের দিনের প্রধান আমল ঈদের নামাজের কিছু জরুরি মাসয়ালা নিয়ে আলোচনা করা হবে ইনশাআল্লাহ।

    ঈদের নামাজ যাদের ওপর ওয়াজিব

       

    মাসআলা : যাদের ওপর জুমার নামাজ ফরজ, তাদের ওপর ঈদের নামাজ ওয়াজিব। অর্থাৎ প্রাপ্তবয়স্ক, সুস্থ মস্তিষ্কসম্পন্ন, যেসব মুসলিম পুরুষ, জামাতে উপস্থিত হয়ে ঈদের নামাজ আদায়ের সক্ষমতা রাখে তাদের ঈদের নামাজ পড়তে হবে। -আল মুহিতুল বুরহানি : ২/৪৭৬

    মাসয়ালা : নারীদের ওপর ঈদের নামাজ ওয়াজিব নয়। অনুরূপ এমন অসুস্থ পুরুষ, যে ঈদগাহে উপস্থিত হয়ে ঈদের নামাজ আদায়ের সক্ষমতা রাখে না, তার ওপরও ঈদের নামাজ ওয়াজিব নয়। -বাদায়েউস সানায়ে : ১/৬১৭

    মাসয়ালা : মুসাফির তথা যে ৪৮ মাইল বা ৭৮ কি.মি. দূরত্বে যাওয়ার উদ্দেশে নিজ এলাকা ত্যাগ করেছে, এমন ব্যক্তির ওপর ঈদের নামাজ ওয়াজিব নয়। তবে সে যদি ঈদের নামাজ পড়ে তাহলে তা সহিহ হবে এবং এর সওয়াব পাবে। -বাদায়েউস সানায়ে : ১/৬১৭

    মাসয়ালা : হজের সফরে থাকা লোকদের জন্য ঈদুল আজহার নামাজের বিধান নেই। -আজজাখিরাতুল বুরহানিয়া : ২/৩৯৪

    ঈদের নামাজের ওয়াক্ত

    মাসয়ালা : ঈদের নামাজের ওয়াক্ত হচ্ছে, সূর্য উদিত হয়ে (নামাজের) নিষিদ্ধ সময় শেষ হওয়ার পর থেকে শুরু করে জাওয়াল তথা সূর্য পশ্চিম আকাশে হেলে পড়ার আগ পর্যন্ত। এ সময়ের মধ্যেই ঈদের নামাজ পড়তে হবে। জাওয়ালের পর আর ঈদের নামাজ সহিহ হবে না। -সুনানে আবু দাউদ : ১১৩৫

    মাসয়ালা : ঈদুল আজহার নামাজ ওয়াক্ত শুরু হওয়ার পর দেরি না করে একটু তাড়াতাড়ি পড়া মুস্তাহাব। যাতে কোরবানির কাজ দ্রুত শুরু করা যায়। আর ঈদুল ফিতরের নামাজও ওয়াক্ত শুরু হওয়ার পর যথাসম্ভব তাড়াতাড়ি আদায় করে নেবে। -মুসান্নাফে আবদুর রাজজাক : ৫৬৫১

    ঈদের নামাজের স্থান

    মাসয়ালা : ঈদের নামাজ ঈদগাহে ও খোলা মাঠে পড়া সুন্নত। হজরত রাসুলুল্লাহ (সা.) এবং খোলাফায়ে রাশেদিন সবাই ঈদের নামাজ ঈদগাহে পড়তেন। হজরত আবু সাঈদ খুদরি (রা.) বলেন, হজরত রাসুলুল্লাহ (সা.) ঈদুল ফিতর ও ঈদুল আজহার দিন (ঈদের নামাজের জন্য) ঈদগাহে যেতেন। -সহিহ বোখারি : ৯৬৫

    হজরত আলী (রা.) বলেন, দুই ঈদে (ঈদের নামাজের জন্য) খোলা মাঠে যাওয়া সুন্নত। -আল মুজামুল আওসাত : ৪০৪০

    মাসয়ালা : মাঠে ঈদের নামাজ পড়ার ব্যবস্থা থাকলে বিনা প্রয়োজনে মসজিদে ঈদের জামাত করবে না। তবে কোথাও বিনা প্রয়োজনে এমনটি করা হলে ঈদের নামাজ আদায় হয়ে যাবে।

    প্রকাশ থাকে যে, বর্তমানে শহরে ঈদগাহ কম, তাই অধিকাংশ মসজিদে ঈদের জামাত হয়। জায়গা সংকুলান না হওয়া বা বৃষ্টি ইত্যাদির কারণে মসজিদে ঈদের নামাজ পড়লে সুন্নতের খেলাফ হবে না। ওজরের সময় মসজিদে পড়া হাদিস দ্বারা প্রমাণিত। হজরত আবু হুরায়রা (রা.) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, কোনো এক ঈদের দিন বৃষ্টি তাদের পেয়ে বসে। ফলে হজরত রাসুলুল্লাহ (সা.) সাহাবিদের নিয়ে মসজিদে ঈদের নামাজ আদায় করেন। -সুনানে আবু দাউদ : ১১৫৩

    ঈদের নামাজে আজান-ইকামত নেই

    মাসয়ালা : ঈদের নামাজে আজান-ইকামতের বিধান নেই। হজরত জাবের (রা.) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমি হজরত রাসুলুল্লাহ (সা.)-এর সঙ্গে একাধিকবার ঈদের নামাজ পড়েছি এবং আজান-ইকামত ছাড়া পড়েছি। -সহিহ মুসলিম : ৮৭৮

    তবে কেউ অজ্ঞতাবশত ইকামত দিয়ে দিলে এর কারণে নামাজ মাকরুহ হবে না। -কিতাবুল আসল : ১/৩১৯

    নিয়ত মুখে উচ্চারণ করা

    মাসআলা : ঈদ বা যেকোনো নামাজ, রোজা বা অন্যান্য আমলের ক্ষেত্রে অন্তরের সংকল্পই নিয়ত হিসেবে যথেষ্ট। মুখে উচ্চারণ করে বলা জরুরি নয় এবং এর প্রয়োজনও নেই। তবে অন্তরের নিয়তের সঙ্গে মুখে উচ্চারণ করা নিষেধ নয়। কেউ ইচ্ছার দৃঢ়তার জন্য মুখে উচ্চারণ করে নিলে তা দূষণীয় হবে না। মুখে নিয়ত উচ্চারণ করলে নিজের মাতৃভাষাতেই করবে। প্রচলিত আরবি নিয়তের পেছনে পড়ার দরকার নেই। -উমদাতুল কারি : ১/৩৩

    ঈদের নামাজের নিয়ম

    মাসয়ালা : ঈদের নামাজ দুই রাকাত। নিয়ত করে তাকবিরে তাহরিমা বলে নামাজ শুরু করে সানা পড়বে। সানা পড়ার পর প্রথম রাকাতে তিন বার ‘আল্লাহু আকবার’ ‘আল্লাহু আকবার’ ‘আল্লাহু আকবার’ তাকবির বলবে। প্রথম দুই তাকবির বলার সময় উভয় হাত কানের লতি পর্যন্ত উঠিয়ে হাত না বেঁধে ছেড়ে দেবে। তৃতীয় তাকবির বলার সময় কানের লতি পর্যন্ত হাত উঠিয়ে বেঁধে নেবে। অতঃপর সুরা-কেরাত পড়ে রুকুতে যাবে। দ্বিতীয় রাকাতে দাঁড়িয়ে সুরা-কেরাত পড়ে রুকুতে যাওয়ার পূর্বে আগের নিয়মে তিনটি তাকবির বলবে। দ্বিতীয় রাকাতে তৃতীয় তাকবির বলার সময়ও হাত না বেঁধে ছেড়ে দেবে। অতঃপর চতুর্থ তাকবির বলে রুকু করবে। এরপর অন্যান্য নামাজের মতো যথারীতি নামাজ শেষ করবে। -কিতাবুল আসল : ১/৩১৯

    ঈদের নামাজের কেরাত

    মাসয়ালা : ঈদের নামাজে প্রথম রাকাতে সুরা আলা এবং দ্বিতীয় রাকাতে সুরা গাশিয়াহ বা প্রথম রাকাতে সুরা কাফ এবং দ্বিতীয় রাকাতে সুরা কামার পড়া সুন্নত। হাদিসে এসেছে, হজরত রাসুলুল্লাহ (সা.) ঈদের নামাজে এ সুরাগুলো পড়তেন। তবে অন্য যেকোনো সুরাও পড়া যেতে পারে। -সহিহ মুসলিম : ৮৭৮

    মাসয়ালা : জুমার নামাজের মতো ঈদের নামাজের কেরাতও উচ্চৈঃস্বরে পড়া ওয়াজিব। হজরত আবদুল্লাহ ইবনে ওমর (রা.) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, হজরত রাসুলুল্লাহ (সা.) ঈদ ও ইসতিসকার নামাজে কেরাত উচ্চৈঃস্বরে পড়তেন। -(সুনানে দারাকুতনি : ১৮০৩) তাই ইমাম সাহেব উভয় রাকাতেই কেরাত উচ্চৈঃস্বরে পড়বেন।

    ঈদের অতিরিক্ত তাকবিরে ভুল হলে

    মাসয়ালা : ইমাম যদি প্রথম রাকাতে ভুলে অতিরিক্ত তাকবির না বলে কেরাত শুরু করে দেয় তাহলে কেরাত অবস্থায় তাকবিরের কথা স্মরণ হলে কেরাত ছেড়ে অতিরিক্ত তাকবিরগুলো বলে নেবে। অতঃপর পুনরায় কেরাত পড়ে নেবে। কেরাত শেষ হওয়ার পর তাকবিরের কথা স্মরণ হলে তাকবির বলে রুকুতে চলে যাবে। -শরহুল মুনইয়া : ৫৭২

    মাসয়ালা : ইমাম ঈদের অতিরিক্ত তাকবির ভুলে রুকুতে চলে গেলে (চাই প্রথম রাকাতের তাকবির হোক বা দ্বিতীয় রাকাতের) তাকবির বলার জন্য আর রুকু থেকে ফিরে আসবে না। এবং বিশুদ্ধ মত অনুযায়ী রুকুতেও তাকবির বলবে না। এক্ষেত্রে নামাজ শেষে সিজদায়ে সাহু করে নেবে (যদি জামাত ছোট হয়)। -আল বাহরুর রায়েক : ২/১৬১

    মাসয়ালা : ঈদের অতিরিক্ত তাকবির ভুলে রুকুতে চলে যাওয়ার পর তাকবির আদায়ের জন্য রুকু থেকে ফিরে আসলে যদিও কোনো কোনো ফকিহ নামাজ ফাসেদ হয়ে যাওয়ার কথা বলেছেন, তবুও বিশুদ্ধ মত অনুযায়ী কাজটি ভুল হলেও এ কারণে নামাজ নষ্ট হবে না। -রদ্দুল মুহতার : ২/১৭৪

    ঈদের নামাজে মাসবুক হলে করণীয়

    মাসয়ালা : কেউ প্রথম রাকাতে ঈদের অতিরিক্ত তাকবির বলার পর ইমামের সঙ্গে শরিক হলে সে তাকবিরে তাহরিমা বলে নামাজে শরিক হওয়ার পর নিজে নিজে অতিরিক্ত তাকবিরগুলো বলে নেবে। চাই এক্ষেত্রে ইমাম কেরাত পড়া অবস্থায় থাকুন না কেন। কিন্তু এক্ষেত্রে নামাজে শরিক হওয়ার পর দাঁড়ানো অবস্থায় (রুকুর আগে আগে) তাকবির আদায়ের সুযোগ থাকা সত্ত্বেও যদি আদায় না করে তাহলে পরে আর রুকুতে তাকবির বলবে না। -আল বাহরুর রায়েক : ২/১৬১

    মাসয়ালা : ইমামকে রুকুতে পেলে সেক্ষেত্রে যদি প্রবল ধারণা হয়, দাঁড়িয়ে অতিরিক্ত তাকবিরগুলো বললেও ইমামের সঙ্গে রুকুতে শরিক হতে পারবে তাহলে দাঁড়িয়ে অতিরিক্ত তাকবিরগুলো বলে ইমামের সঙ্গে রুকুতে শরিক হবে। আর যদি প্রবল ধারণা হয়, দাঁড়িয়ে অতিরিক্ত তাকবির বলতে গেলে ইমামকে রুকুতে পাওয়া যাবে না, তাহলে তাকবিরে তাহরিমা বলে রুকুতে চলে যাবে। রুকুতে গিয়ে ছুটে যাওয়া অতিরিক্ত তাকবিরগুলো হাত উঠানো ছাড়া বলে নেবে। এরপর যদি সময় থাকে তাহলে রুকুর তাসবিহ আদায় করবে। -আল মুহিতুল বুরহানি : ২/৪৮৮

    মাসয়ালা : ইমামের সঙ্গে রুকুতে শরিক হওয়ার পর অতিরিক্ত তাকবির বলার মতো সময় না পেলে আর তাকবির বলতে হবে না। ইমামের সঙ্গে রুকু পাওয়ার কারণে সে ওই রাকাত পেয়েছে এবং সঙ্গে সঙ্গে তাকবিরও পেয়েছে বলে ধর্তব্য হবে। -ফাতাওয়া তাতারখানিয়া : ২/৬১৮

    মাসয়ালা : কেউ দ্বিতীয় রাকাতে ইমামের সঙ্গে শরিক হলে ইমামের সালাম ফেরানোর পর ছুটে যাওয়া রাকাত আদায়ের জন্য দাঁড়িয়ে প্রথমে সুরা-কেরাত পড়ে তারপর রুকুর আগে অতিরিক্ত তাকবির বলবে। অর্থাৎ ছুটে যাওয়া রাকাতেও দ্বিতীয় রাকাতের মতো রুকুর আগে অতিরিক্ত তাকবির বলবে। অবশ্য যদি কেউ এক্ষেত্রে সুরা-কেরাতের আগে অতিরিক্ত তাকবির বলে নেয় তাহলেও তার নামাজ আদায় হয়ে যাবে। -কিতাবুল আসল : ১/৩২২

    মাসয়ালা : দ্বিতীয় রাকাতের রুকুর পর এমনকি শেষ বৈঠকের তাশাহহুদের পরও কেউ জামাতে শরিক হলে সে ঈদের জামাত পেয়েছে বলে ধর্তব্য হবে। এক্ষেত্রে ইমামের সালাম ফেরানোর পর দাঁড়িয়ে স্বাভাবিক নিয়মেই উভয় রাকাত আদায় করবে। অর্থাৎ প্রথম রাকাতের পর দাঁড়িয়ে কেরাতের পূর্বে অতিরিক্ত তাকবিরগুলো বলবে। আর দ্বিতীয় রাকাতে কেরাতের পর অতিরিক্ত তাকবির বলবে। -কিতাবুল আসল : ১/৩২২

    ঈদের নামাজে সাহু সিজদা

    মাসয়ালা : অন্যান্য নামাজের মতো ঈদের নামাজেও জামাত ছোট হলে এবং বিশৃঙ্খলার আশঙ্কা না থাকলে ওয়াজিব ছুটে গেলে সিজদায়ে সাহু দিতে হয়। তবে যেহেতু ঈদের জামাতে সাধারণত অনেক বড় জমায়েত হয়ে থাকে, অনেক মানুষ সিজদায়ে সাহুর নিয়ম-কানুন সম্পর্কে জ্ঞাত থাকে না, তাই সিজদায়ে সাহু আদায় করতে গেলে অনেক সময় বিশৃঙ্খলা দেখা দিতে পারে। এ জন্য কোনো কোনো ফকিহের মতে ঈদ, জুমা বা এরকম বড় কোনো জামাতের ক্ষেত্রে ইমাম সাহেব সিজদায়ে সাহু করতে গেলে যদি মুসল্লিদের মাঝে ভুল বোঝাবুঝির আশঙ্কা হয় তাহলে সেক্ষেত্রে সিজদায়ে সাহু মাফ হয়ে যাবে। ইমাম স্বাভাবিক নিয়মে নামাজ শেষ করবে। -কিতাবুল আসল : ১/৩২৪

    ঈদের নামাজের পর তাকবিরে তাশরিক

    মাসয়ালা : ঈদুল আজহার নামাজের পর তাকবিরে তাশরিক বলা যেতে পারে। তবে ফরজ নামাজের মতো ঈদের নামাজের পর তাকবির বলা ওয়াজিব নয়। -আল বাহরুর রায়েক : ২/১৬৫

    ঈদের খুতবা

    মাসয়ালা : ঈদের নামাজের পর খুতবা দেওয়া সুন্নত। আর উপস্থিত মুসল্লিদের জন্য তা শ্রবণ করা ওয়াজিব। মুসল্লিরা মনোযোগ দিয়ে খুতবা শুনবেন। -কিতাবুল আসল : ১/৩১৮

    মাসয়ালা : জুমার নামাজের মতো ঈদের নামাজেও দুই খুতবা। দুই খুতবার মধ্যে বসাও সুন্নত। হজরত আবদুল্লাহ ইবনে উবায়দুল্লাহ ইবনে উতবা (রহ.) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, সুন্নত হচ্ছে ইমাম ঈদের নামাজে দুটি খুতবা দেবে। দুই খুতবার মাঝখানে বসার দ্বারা একটিকে আরেকটি থেকে আলাদা করবে। -সুনানে কুবরা : ৬২১৩

    মাসয়ালা : ঈদের খুতবার আগে আজানের কোনো বিধান নেই।

    মাসয়ালা : খুতবার সময় ইমাম তাকবির বললে মুসল্লিরা চুপ থেকে খুতবা শুনবেন। নিজেরা তাকবির বলবেন না। হজরত আবদুল্লাহ ইবনে আব্বাস (রা.) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, চারটি স্থানে চুপ থাকা ওয়াজিব। জুমা, ঈদুল ফিতর, ঈদুল আজহা এবং ইসতিসকার খুতবার সময়। -মুসান্নাফে আবদুর রাজজাক : ৫৬৪২

    ঈদের নামাজ ছুটে গেলে

    মাসয়ালা : ঈদের নামাজে কাজার বিধান নেই। তাই কারও ঈদের নামাজ ছুটে গেলে সে আশপাশের অন্য কোনো ঈদের জামাতে শরিক হওয়ার চেষ্টা করবে। এমনটি সম্ভব না হলে তওবা-ইসতেগফার করবে। -শরহু মুখতাসারিত তাহাবি : ২/১৬১

    ঈদের নামাজের আগে-পরে নফল পড়া

    মাসয়ালা : হাদিস শরিফে এসেছে, হজরত আবদুল্লাহ ইবনে আব্বাস (রা.) বলেন, হজরত রাসুলুল্লাহ (সা.) ঈদুল ফিতরের দিন দুই রাকাত ঈদের নামাজ পড়ছেন। ঈদের নামাজের আগে বা পরে কোনো নামাজ পড়েননি। -সহিহ বুখারি : ৯৬৪

    ঈদুল আযহার নামাজের নিয়ত আরবিতে

    এ জাতীয় হাদিসের আলোকে ফুকাহায়ে কেরাম বলেছেন, ঈদের নামাজের আগে বাড়িতে বা ঈদগাহে পুরুষ-মহিলা সবার জন্যই নফল নামাজ পড়া মাকরুহ। তাই এ সময় কেউ ইশরাক বা অন্য কোনো নফল নামাজ পড়বে না। -কিতাবুল আসল : ১/৩২৮

    জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।
    ইসলাম ঈদের ঈদের নামাজ কি ধর্ম নামাজ ফরজ
    Related Posts
    জিহাদ

    পেশাগত কাজ কীভাবে ইবাদত ও জিহাদে রূপ নেয়

    September 14, 2025
    জুমার দিন

    যেসব আমলে জুমার দিনে গুনাহ মাফ হয়

    September 12, 2025
    হজের প্রাথমিক নিবন্ধন

    ২০২৬ সালের হজের প্রাথমিক নিবন্ধন ১২ অক্টোবরেই শেষ

    September 11, 2025
    সর্বশেষ খবর
    Fact Check: Debunking the Tyler Robinson Charlie Kirk Debate Claim

    Fact Check: Viral Video Falsely Links Charlie Kirk Shooter to Prior Debate

    Tyler Robinson roommate

    Tyler Robinson: Photos Surface of Alleged Home With Lance Twiggs

    Nano Banana AI

    Nano Banana AI vs Rivals: Who Wins the Image Generation Race?

    Tech Giant Stock Plunge

    Tech Giant Stock Plunge Sends Shockwaves Through Global Markets

    স্বর্ণ-রূপার দাম

    আজকের বাজারে স্বর্ণ-রূপার দাম যত

    Charlie Kirk donation

    Did NFL Stars Donate to Charlie Kirk’s Family? Fact Check

    বজ্রসহ বৃষ্টি

    দেশের বিভিন্ন এলাকায় দমকা হাওয়া ও বজ্রসহ বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা

    সড়ক ও রেলপথ অবরোধ

    সড়ক ও রেলপথ অবরোধে আবারও অচল ফরিদপুর

    missing woman Baltimore County

    Baltimore County Police Seek Public’s Help in Search for Missing Essex Woman

    Sam Altman Tucker Carlson Interview

    Sam Altman Defends Suicide Ruling in OpenAI Whistleblower Death

    • About Us
    • Contact Us
    • Career
    • Advertise
    • DMCA
    • Privacy Policy
    • Feed
    • Banglanews
    © 2025 ZoomBangla News - Powered by ZoomBangla

    Type above and press Enter to search. Press Esc to cancel.