জুমবাংলা ডেস্ক : রোজার ঈদের ছুটি নিয়ে দুশ্চিন্তায় পড়েছেন সরকারি-বেসরকারি চাকরিজীবীরা। কারণ সরকারি ছুটির ক্যালেন্ডার অনুযায়ী ঈদের ছুটি শুরু হবে ১০ এপ্রিল বুধবার থেকে। কিন্তু চাঁদ দেখা সাপেক্ষে যদি এবার রোজা ২৯টি হয় তাহলে ১০ এপ্রিল (বুধবার) পবিত্র ঈদুল ফিতর অনুষ্ঠিত হবে।
সেক্ষেত্রে ঈদের আগের দিনও (৯ এপ্রিল) অফিস করতে হবে চাকরিজীবীদের। এজন্য নির্বাহী আদেশে এক-দুদিন ঈদের ছুটি বাড়ানোর পক্ষে মত তাদের।
জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব (বিধি অনুবিভাগ) মো. মুহিদুল ইসলাম বলেন, ছুটি বাড়ানোর বিষয়টি নির্বাহী আদেশের ওপর নির্ভরশীল। এখন পর্যন্ত এ বিষয়ে কোনো সিদ্ধান্ত হয়েছে বলে আমার জানা নেই। সিদ্ধান্ত হলে আমরা জানতে পারব।
তবে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের অন্য একটি সূত্র জানিয়েছে, নির্বাহী আদেশে দু-একদিন ছুটি বাড়ানো হতে পারে বলে আলোচনা আছে। ২০ রোজার পর এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত আসতে পারে।
চাকরিজীবীরা বলেন, যদি ১০ এপ্রিল বুধবার ঈদ হয় তাহলে আমাদের ৯ এপ্রিল অফিস শেষ করেই বাড়ির পথে রওয়ানা দিতে হবে। নতুবা পরের দিন ঈদের সকালে বাড়ি যেতে হবে। ঈদের নামাজ পড়তে হবে পথে।
এটা কোনোভাবেই সম্ভব না। এক-দুদিন ছুটি বাড়ানো না হলে আমাদের সমস্যা হয়ে যাবে। ঈদের ছুটি নিয়ে দুশ্চিন্তায় আছি।
২০২৪ সালের ছুটির তালিকা অনুযায়ী ঈদুল ফিতরের ছুটি ১০ ও ১১ এপ্রিল। ১০ এপ্রিল বুধবার এবং ১১ এপ্রিল বৃহস্পতিবার। ১২ এপ্রিল শুক্র এবং ১৩ এপ্রিল শনিবার সাপ্তাহিক ছুটি। ১৪ এপ্রিল রবিবার বাংলা নববর্ষের ছুটি।
সেক্ষেত্রে ঈদের ছুটি মিলছে টানা পাঁচ দিন। কিন্তু ঈদের আগের ছুটি নিয়ে চরম বিপাকে পড়েছেন সরকারি চাকরিজীবীরা। একই সংকটে পড়েছেন বেসরকারি চাকরিজীবীরাও।
এদিকে ঈদের ছুটি দুদিন বাড়ানোর দাবি জানিয়েছে বাংলাদেশ যাত্রী কল্যাণ সমিতি। সংগঠনটি মনে করে, ঢাকা ও ঢাকার পাশের দুই শিল্প জেলা গাজীপুর ও নরসিংদী থেকে ঈদে ১ কোটি ৬০ লাখ মানুষ বিভিন্ন গন্তব্যে যাবে।
ঈদের আগের দিন সব মানুষ একসঙ্গে এসব শহর থেকে বের হলে যোগাযোগব্যবস্থা ভেঙে পড়বে। তাই দুর্ভোগ এড়ানোর জন্য অতিরিক্ত দুদিনের ছুটি দাবি করেছে সংগঠনটি।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।